হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুরঃ
মুসলমানদের মধ্যে একজন অপরজনের সাথে সাক্ষাৎ হলে যে বাক্য দ্বারা পারস্পরিক সম্ভাষণ জানানোর বিধান ও ঐতিহ্য রয়েছে তা হলো সালাম তথা “আসসালামু আলাইকুম।” এর অর্থ “আপনার /আপনাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।” মানুষ যেহেতু সামাজিক জীব, সেহেতু সামাজিক বন্ধন ও ভ্রাতৃত্ববোধ অটুট রাখার জন্য ইসলাম একে অপরের প্রতি সম্ভাষণ জানানোর এমন চমকপ্রদ বাক্য ও পদ্ধতি শিখিয়েছে যা অপরিচিত মানুষের সাথে সম্পর্কের সেতুবন্ধন রচনা করে ; আর পরিচিত ব্যক্তির সম্পর্ককে করে অধিকতর সুদৃঢ়। শুধু তাই নয়; ইসলামের এই অভিবাদন পদ্ধতি পারস্পরিক মনোমালিন্য ও শত্রুতার মনোভাব দূর করে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্ব সৃষ্টি করে। সালামের মাধ্যমে সমাজে ছড়িয়ে পড়ে শান্তি-সম্প্রীতির আলো। সর্বোপরী ইসলামের রীতি মোতাবেক পারস্পরিক যে সালাম বিনিময় হয় তা গতানুগতিক ও অন্তঃসারশুণ্য কোন অভিবাদনসূলভ বাক্য নয়; বরং সালাম হচ্ছে একে অপরের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা কামনায় বিশেষ দু’আ। যাতে রয়েছে আল্লাহ তা’আলার নিকট অবারিত শান্তি, অফুরন্ত রহমত ও বরকত লাভের অনন্য আবেদন।

সালামের গুরুত্ব:
আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, “হে, নবী! আমার আয়াতের ওপর ঈমান রাখে এমন লোকেরা যখন আপনার দরবারে আগমন করে তখন আপনি তাদেরকে “সালামুন আলাইকুম” বলুন।” (সূরা -আনআম, আয়াত-৫৪।)
এ আয়াতে রাসুলে কারীম স. কে সম্বোধন করে উম্মতকে এ শিক্ষা দেয়া হয়েছে, যখন এক মুসলমান অপর মুসলমানের সাথে সাক্ষাৎ করবে তখন উভয়েই বন্ধুত্ব ও আনন্দাবেগ প্রকাশ করবে একে অন্যের জন্য শান্তি ও রহমত কামনার মাধ্যমে।
রাসুল স. ইরশাদ করেন, “তোমরা দয়াময় আল্লাহর ইবাদত করবে, সালামের প্রসার ঘটাবে, অভুক্তদের আহার করাবে। আর তাহলেই তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” -(তিরমিযী)। নবী কারীম স. আরও ইরশাদ করেন, ” যখন তোমাদের মধ্যে কেউ কোন মুসলমান ভাইয়ের সম্মুখীন হবে, তখন সে যেন তাকে সালাম করে। এরপর যদি তাদের মাঝে বৃক্ষ, প্রাচীর কিংবা পাথরের আড়াল পড়ে যাওয়ার পর পূনরায় সাক্ষাৎ হয় তখনও যেন আবারও সালাম দেয়।”-(আবু দাউদ)।

সালামের ফযীলত:
রাসুল স. ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি আসসালামু আলাইকুম বলবে, তার আমলনামায় দশটি নেকী লেখা হবে, আর যে ব্যক্তি আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ বলবে তার আমলনামায় বিশটি নেকী লেখা হবে, আর যে ব্যক্তি আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু বলবে তার আমলনামায় ত্রিশটি নেকী লেখা হবে।” -(আত্-তাবরানী)। অপর হাদীসে ইরশাদ হয়েছে, “সেই ব্যক্তি আল্লাহর সর্বাধিক নিকটবর্তী, যে প্রথমে সালাম দেয়।”-( আবু দাউদ)।
রাসুলে কারীম স. ছোট-বড় সবাইকে আগে আগেই সালাম দিতেন। এমনকি নিজের কন্যা হযরত ফাতেমা র.কেও তিনি আগে সালাম দিতেন।
এখন অনেকে সালাম নেয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন; সালাম দিতে অভ্যস্ত নন। তারা বয়সে বা মর্যাদায় ছোটদের সালাম করাকে মর্যাদাহানি বলে মনে করে। অথচ পূর্বোক্ত হাদীস শরীফ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, সালাম দেয়ার ক্ষেত্রে ছোট-বড়, ধনী-গরীব কোন ভেদাভেদ নেই। সমগ্র সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠত্ব ও সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ স. ছোট-বড় সকলকে সর্বাগ্রে সালাম দিয়ে সেই শিক্ষাই দিয়েছেন। সালাম বিনিময়ে কৃপণ ব্যক্তি সম্পর্কে রাসুল স. ইরশাদ করেন, “মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা কৃপণ ওই ব্যক্তি যে সালাম দেয়ার মধ্যে কার্পণ্য করে।”-( আত্-তাবরানী)।

সামগ্রিক জীবনে সালামের প্রভাব:
অহঙ্কার, শত্রুতা, বিদ্বেষ ও বিচ্ছেদের কালো ছায়ায় আজ পুরো পৃথিবী অন্ধকারাচ্ছন্ন। শুদ্ধতম সালামের প্রসারের মাধ্যমেই এই কালো ছায়া অপসারণ করে সমাজকে শান্তি-সম্প্রীতির আলোয় উদ্ভাসিত করা সম্ভব। কারণ সালাম ভালোবাসা সৃষ্টি করে, সামাজিক সম্প্রীতি ও মানবিক মূল্যবোধ জাগিয়ে তুলে। এ ব্যাপারে বিশ্বমানবতার শান্তির অগ্রদূত বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ স. ইরশাদ করেন, “তোমরা সালামের ব্যাপক প্রসার ঘটাবে। যাতে করে তোমাদের মধ্যে উত্তরোত্তর ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।”-( আত্-তাবরানী)।
অনুরূপভাবে সালাম অহঙ্কারমুক্ত সমাজ ও ব্যক্তিত্ব গঠনের প্রকৃষ্ট অবলম্বন। রাসুলে কারীম স. ইরশাদ করেন,”যে ব্যক্তি আগে সালাম দেয় সে অহঙ্কারমুক্ত।”-(বায়হাকী)। সালামের মাধ্যমে পরস্পরের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ, বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার বন্ধন সুসংহত হয়। রাসুল স. ইরশাদ করেন, “কোন মুসলমানের জন্য অপর মুসলমানের সাথে তিনদিন সম্পর্ক ছিন্ন করে থাকা হালাল নয়। যদি অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে, তাদের দুজনের সাক্ষাৎ হলে একজন একদিকে এবং অপরজন আরেকদিকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। (এমতাবস্থায়) তাদের মধ্যে উত্তম সে ব্যক্তি যে আগে সালাম দেয়।” এভাবে ইসলাম সালামের মাধ্যমে সম্প্রীতি স্থাপনের তাগিদ দিয়েছে।
পারস্পরিক সাক্ষাতে সালাম দেয়া সুন্নাত:
একজন মুসলমানের সাথে আরেকজন মুসলমানের সাক্ষাৎ হলে প্রথমেই ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ ওয়াবারাকাতুহু’ বলে সম্ভাষণ জানানো ইসলামের বিধান, রাসুলে কারীম স. এর পবিত্র সুন্নাত। রাসুল স. পারস্পরিক সাক্ষাতে সালামের প্রতি গুরুত্বারোপ করে ইরশাদ করেন, ‘যখন কোন মুসলমানের সাথে সাক্ষাৎ হবে তখন তাকে সালাম করবে।’ -(মিশকাত)।

অন্যের ঘরে প্রবেশে অনুমতি নেওয়া ও সালাম দেওয়া আল্লাহর নির্দেশ:
সামাজিক জীব হিসেবে মানুষকে একে অপরের বাড়ি-ঘরে যেতে হয়। আর এজন্য বাড়ির অধিবাসীর অনুমতি লাভ অবশ্যই জরুরী। অন্যথায় পারস্পরিক মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। যা সামাজিক অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই অন্যের বাড়িতে প্রবেশের প্রয়োজন হলে সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে সালাম প্রদানের মাধ্যমে অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, ‘হে, মু’মিনগণ তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের ঘর ছাড়া অন্য কারো ঘরে প্রবেশ করোনা যতক্ষণ পর্যন্ত না ঐ ঘরের অধিবাসীর সম্মতি লাভ করবে এবং তাদেরকে সালাম দিবে। এটিই তোমাদের জন্য উত্তম। এসব বলা হয় যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।’ (সূরা- নূর, আয়াত- ২৭)।

নিজ ঘরে প্রবেশের সময় সালাম দেওয়ার প্রতি তাগিদ:
সকলেই পরিবারের সদস্যদের সাথে মায়া-মমতার বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে চাই। কামনা করে পরিবারের জন্য শান্তি-কল্যাণ ও বরকত। আর পারিবারিক বন্ধন সুসংহতকরণ এবং পরস্পরের জন্য রহমত ও বরকত কামনা করার উৎকৃষ্ট পন্থা হলো সালাম। এ প্রসঙ্গে আল্লকহ তা’আলা বলেন, ’তোমরা যখন তোমাদের ঘরে প্রবেশ করবে তখন তোমাদের পরিবারবর্গ ও আপনজনদের প্রতি সালাম প্রদান করবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে শিক্ষা দেওয়া সালাম উত্তম অভিবাদন বরকতময় ও পবিত্র।’ (সূরা- নূর, আয়াত- ৬১)। একদিন রাস‚ল স. হযরত আনাস র. কে বললেন, ‘হে বৎস, যখন তুমি তোমার ঘরে পরিবার-পরিজনের নিকট প্রবেশ করবে, তখন তুমি সালাম করবে। এতে তোমার ও তোমার পরিবারের সকলের জন্য বরকত নিহিত রয়েছে।’ (তিরমিযী)।

সালাম দিয়ে মজলিসে যোগদান এবং মজলিস থেকে বিদায় গ্রহণের প্রতি প্রেরণা:
কোন সভা-মজলিস, অনুষ্ঠানে যোগদান ও বিদায় নেওয়ার সময় সালাম দেওয়া ভদ্রতা ও সৌজন্যতার পরিচায়ক। এতে করে সামাজিক সম্প্রীতির বন্ধন অধিকতর সুদৃঢ় হয়। এ বিষয়ে রাসুলে কারীম স. ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের কেউ কোন মজলিসে এলে সে যেন সালাম দেয়। এরপর সে মজলিস ত্যাগ করতে চাইলেও যেন সালাম দিয়ে চলে যায়।’ (আবু দাউদ, তিরমিযী)।

চিঠিপত্রের প্রারম্ভে সালাম দেওয়া সুন্নাত:
চিঠিপত্রের মাধ্যমে কুশলাদী বিনিময় ও প্রয়োজনীয় খবরাখবর প্রেরণ করার রীতি অতি প্রাচীন। এক্ষেত্রেও সালামের মাধ্যমে পারস্পরিক কল্যাণ কামনা করা যায়। রাস‚ল স.সেই আদর্শ আমাদের জন্য রেখে গেছেন। তিনি রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াসের নিকট ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত সম্বলিত চিঠিতে সালাম দিয়েছিলেন। যার ভাষা ছিল, ‘সালামুন আলা মানিত্তাবাআল হুদা’ অর্থ্যাৎ যে ব্যক্তি হেদায়তের অনুসরণ করবে তার প্রতি সালাম তথা শান্তি বর্ষিত হোক।

মোবাইল ফোনে সালাম:
তথ্য-প্রযুক্তির উৎকর্ষের সুবাদে এখন মোবাইল কিংবা টেলিফোনেই প্রায় পরস্পর আলোচনা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রেও আগে সালাম দিয়ে আলাপ শুরু করা উত্তম। কারণ সালামের আগে কথা বলা সুন্নাত পরিপন্থী। এসম্পর্কে রাসুল স. ইরশাদ করেন, ‘কথা বলার আগেই সালাম করতে হয়।’ (তিরমিযী, মেশকাত)। কিন্তু এখন মোবাইল বা টেলিফোনে যোগাযোগের সময় ‘হ্যালো’ বলার পর সালাম দেওয়া বা একেবারেই সালাম না দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। আসুন! এ প্রবণতা পরিহার করে সালামের পর আলোচনা শুর“ করতে অভ্যস্ত হই।

সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজিব:
সালাম দেওয়া সুন্নাত আর তার জবাব দেওয়া তথা ‘ওয়া আলাইকুমুস্ সালাম’ বলা ওয়াজিব। সালামের জবাব না দিলে বা বিকৃত উচ্চারণ ও বিকৃত ভঙ্গিতে জবাব দিলে উভয় অবস্থায় গুনাহ্ হবে। অথচ অনেকে সালামের জবাব না দিয়ে একেবারে চুপ থাকেন, আবার অনেকে জবাব দেয় অত্যন্ত বিকৃত ও দায়সারাভাবে। কেউ কেউ সালামের জবাবের ক্ষেত্রে ‘সালাম’ শব্দটিও উচ্চারণ না করে শুধুমাত্র ‘হ্যাঁ’ ইত্যাদি বলে অথবা মাথা নেড়ে দায়িত্ব শেষ করে। একটি ওয়াজিব হুকুমের ক্ষেত্রে এমন প্রবণতা অত্যন্ত দুঃখজনক।

বিশুদ্ধ উচ্চারণে সালাম দেওয়া জরুরী:
‘আসসালামু আলাইকুম’ হলো সালামের শুদ্ধ উচ্চারণ। এভাবে বিশুদ্ধ ও স্পষ্টরূপে উচ্চারণ করে সালাম দিলেই এর উদ্দেশ্য সফল হবে। তাই বিশুদ্ধ উচ্চারণে সুন্নাত মোতাবেক সালামের আদান-প্রদানে যত্নবান হওয়া একান্ত জরুরী।
সালামের প্রচলিত ভুল উচ্চারণ বর্জন করা উচিৎ:
অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বর্তমানে সালামের অনেক ভুল উচ্চারণের প্রচলন দেখা যায়। যেমন- সালামালাইকুম, সালামু-আলাইকুম, আসলামু আলাইকুম, স্লামালাইকুম ইত্যাদি। এরকম যেনতেনভাবে সালাম দেয়া চরম অজ্ঞতা ও মূর্খতার পরিচায়ক। এমন অশুদ্ধ সালামে তথাকথিত সামাজিকতা রক্ষা হলেও সালামের মৌলিক উদ্দেশ্য রহমত ও বরকত হাসিল হবেনা।
রাসুলে কারীম স. এর পবিত্র সুন্নাত সালামের ক্ষেত্রে যাবতীয় ভুল উচ্চারণ বর্জন করা উচিৎ। এজন্য সালামের শুদ্ধ উচ্চারণ শেখা ও চর্চার বিকল্প নেই।

সালাম বিনিময় সম্পর্কিত আদব:
১. অন্য কথা না বলে আগে সালাম দেওয়া। এটিই উত্তম। ২. পথচারীকে আরোহী ব্যক্তি, দাড়ানো ব্যক্তিকে পথচারী, অবস্থানকারীকে আগন্তক, অধিক সংখ্যককে কমসংখ্যক এবং অধিক বয়সীকে কম বয়সী কর্তৃক আগে সালাম দেওয়া উত্তম। ৩. একাধিক ব্যক্তি সম্মিলিত ভাবে অবস্থানকালে তৎমধ্য থেকে একজন সালাম দিলে সকলের পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যাবে। ৪. সম্মিলিতভাবে অবস্থানরতদের উদ্দেশ্যে সালাম দিলে তৎমধ্য থেকে একজন জবাব দিলে সকলের পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। ৫. সালামের জবাব সালাম দাতাকে শুনিয়ে দেওয়া। ৬. সালাম বিনিময়কালে হাত কপালে না ঠেকানো এবং মাথা না ঝুকানো। ৭. খালিঘরে প্রবেশকালে ‘আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল বাইত’ পড়া। ৮. যে সভা-সমাবেশে মুসলিম ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বীর সম্মিলিত উপস্থিতি থাকে সেখানে সালামের ক্ষেত্রে ‘আসসালামু আলা মানিত্তাবাআল হুদা’ বলা।
আসুন! যাবতীয় নির্দেশনা মেনে শুদ্ধতম সালামের ব্যাপক প্রচার-প্রসার ঘটাই।
বিশুদ্ধ সালামের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ সমাজবিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করি। আল্লাহ হাফেজ।

তথ্যসূত্র:
১। আল-কুরআনুল কারীম
২। আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব (তৃতীয় খণ্ড)।
৩। তালীমুস্ সুন্নাহ্।
৪। সালাম অনুপম ব্যক্তিত্ব ও সুন্দর সমাজ গঠনের হাতিয়ার (পুস্তিকা)।

লেখক:-
খতীব-
শহীদ তিতুমীর ইনস্টিটিউট জামে মসজিদ, কক্সবাজার।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
কক্সবাজার ইসলামী সাহিত্য ও গবেষণা পরিষদ।