নিজস্ব প্রতিনিধি

কক্সবাজারের পেকুয়ায় শালিসী বৈঠকে ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বারবাকিয়া ইউপির উত্তর বারবাকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিচে এ ঘটনা ঘটে।

আহতেরা হলেন, বারবাকিয়া ইউপির নয়াকাটা এলাকার মৃত দুদু মিয়ার ছেলে ফরিদুল আলম (৫১), বাদশা মিয়ার ছেলে আহমদ শরীফ (৫৮),
আহমদ শরীফের ছেলে আসফাক (২৫), সাঈদুল করিম (২০) ও মৃত নুরুছফার ছেলে মোঃ ফোরকান (৫০)।

আহত সবাইকে পেকুয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র রেফার করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

আহতের পক্ষের লোকজন জানান, গত ১৮ অক্টোবর উত্তর বারবাকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে একটি ফুটবল খেলায় দুই পক্ষে হাতাহাতি হয়। হাতাহাতির ঘটনাটি স্কুলে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে থাকা সাঈদুলের দৃষ্টি পড়লে দ্রুত তিনি নিচে নেমে দুই পক্ষকে নিভৃত করার চেষ্টা করেন। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে এক পক্ষ একই এলাকার মৃত গোলাম বারীর ছেলে আহমদ ফারুককে মাঠে ডেকে আনেন। ওই সময় আহমদ ফারুক রাজমিস্ত্রী সাঈদুলকে মারধর করে আহত করে। এ ঘটনাটি সুরহা করতে স্থানীয় ইউপি মেম্বার সাহাব উদ্দিনসহ আরো বেশ কয়েকজন ব্যক্তি মঙ্গলবার রাতে শালিষী বৈঠকের মাধ্যমে সমাধা করার আশ্বাস দেন।

এদিকে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে স্কুলের নিচে ইউপি মেম্বার সাহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে স্থানীয় শালিষকারক সেলিম, মোঃ ফরিদুল আলম, নুরুল হক, সাহাব উদ্দীন, মোঃ জকির আহামদ, সাকের আহামদ, জামাল হোসেন শালিষী বৈঠকে দুইপক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। শালিষী বৈঠকে আহমদ ফারুককে দোষী সাব্যস্ত করে ১হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা দিতে হবে আহত সাঈদুল করিমকে। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আহমদ ফারুক। একপর্যায়ে তিনিসহ তার সাথে থাকা দুই ছেলে মোঃ এরশাদ ও আরফাত অপর পক্ষের ফরিদুল আলমসহ আহত অপর ৪জনকে দারালো দা ও কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।

এসময় ইউপি মেম্বার সহ স্থানীয় শালিষকার ও আগত লোকজন তাদের অস্ত্রের মহড়া দেখে পালিয়ে যায়। পরে পাড়ালিয়াগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে এলাকার ছাড়া করলে আহতেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

ইউপি মেম্বার সাহাব উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন শালিষকারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে সংযোগ বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।