ইমাম খাইর#
উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হবে।

সকাল থেকেই পাতাবাড়ী ও কুতুপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এই দুইটি ভোট কেন্দ্রে প্রচুর ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

এই ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৪৫০ জন। সেখানে পুরুষ ২ হাজার ৩০৬ এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ১৪৪ জন।

পাতাবাড়ী কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১৬৬১। সেখানে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৯৫০টি। এখানে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে আছেন বদরুল আলম।

কুতুপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৭৭৯ ভোটের মধ্যে বেলা সাড়ে ১২ টায় সংগ্রহ হয়েছে ১৬০০ ভোট। এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে কাজ করছেন সুব্রত কুমার ধর।

ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে সাংবাদিক এহসান আল কুতুবী কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন)কে মুঠোফোনে জানিয়েছেন, সবকেন্দ্রে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশি। কোনো ধরনের শংকা ছাড়া ভোট দিচ্ছে ভোটারেরা। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মাঝেও সৌহার্দ্যপূর্ণ মনোভাব লক্ষ্য করা গেছে।

ভেটের মাঠে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটদের ভূমিকা সন্তুষজনক। দুই ভোটকেন্দ্র ঘিরে গণমাধ্যমকর্মীরা সরব রয়েছেন।

কেন্দ্রের বাইরে প্রচুর পরিমাণ সাধারণ ভোটার ও উৎসুক জনতার উপস্থিতি রয়েছে। উৎসবমূখর ভোট দেখতে এসেছেন পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।

রাজাপালং ৯নং ওয়ার্ডের টানা দুইবারের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন মাওলানা বখতিয়ার আহমদ। কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহতের পর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

এরপর বিধি মতে উপনির্বাচন দিলে ৮ প্রার্থী মনোনয়পত্র জমা দেন। তবে, শেষ পর্যন্ত আলোচনার মাঠে ছিলেন চারজন।

তারা হলেন- হেলাল উদ্দিন (মোরগ), নুরুল হক (আপেল), আবদুল হক (ফুটবল) এবং জাহাঙ্গীর আলম (তালা)।

বিশেষ করে মরহুম বখতিয়ার আহমদের ছেলে প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিনকে বেশ আলোচনায় রাখে ভোটারগণ। জনমত জরিপেও তিনি এগিয়ে ছিলেন।

মরহুম পিতার সমাজসেবা, পারিবারিক ইমেজ, সর্বোপরী প্রার্থী হিসেবে নিজের যোগ্যতা-স্বচ্ছতাকে ভোটের মাঠে কাজে লাগিয়েছেন হেলাল। আর ভোটারেরাও পিতা হারানো সন্তানকে সহানুভূতির দৃষ্টিতে দেখছেন-এমনটি অভিমত সাধারণ মানুষের।

তবে এখন দেখার পালা, বিজয়ের মালা কার গলায় যাচ্ছে!

কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা ছাড়া ভোট গ্রহণ হচ্ছে। বেলা ১ টা পর্যন্ত কোথাও বিশৃঙ্খ পরিস্থিতির খবর পাওয়া যায় নি। সম্পূর্ণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণ দেখে ভোটার ও প্রার্থীরা সন্তুষ্ট দেখা গেছে।