ফরিদুল আলম দেওয়ান, মহেশখালী :

মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা গ্রামে পাষণ্ড স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের হাতে নির্মম ভাবে খুনের শিকার হওয়া গৃহবধু আফরোজা খানমের খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবীতে  ১৯ অক্টোবর এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহেশখালী উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরাম ও হোয়ানক ইউনিয়নে নিহত আফরোজার এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে।

১৯ অক্টোবর বিকেল ৩টায় মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী আবুল বশর পারভেজের সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি ও মহেশখালী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিনুয়ারা ছৈয়দ, সাধারণ সম্পাদক মিনুয়ারা মিনু, অর্থসম্পাদক মিনুয়ারা বেগম, নিহত আফরোজার মা মনোয়ারা বেগম, বোন শারমিন আকতার ও রুমি আকতার, ভাই মিজান ও এমরান, আওয়ামীলীগ নেতা আবদুচ সালাম বাঙ্গালী, মহেশখালী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি জে এইচ এম ইউনুছ, যুবলীগ নেতা মহিউদ্দীন, মহেশখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছালামত উল্লাহ। মানববন্ধনে প্রায় শতাধিক নারী ব্যানার-ফেস্টুন হাতে উপস্থিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অপরাধীর কোন ধর্ম ও দল নেই। তাদের একমাত্র পরিচয় তারা অপরাধী। আফরোজাকে নৃসংশভাবে হত্যায় জড়িত শ্বশুরবাড়ির লোকদের দ্রুত সময়ে গ্রেপ্তার করতে হবে। নির্যাতন করে হত্যার পর লাশ গুম করার মত জঘন্য ঘটনা ধামাচাপা দিতে যারা সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে তাদেরকেও চিহ্নিত করতে হবে। আফরোজাকে খুন করার পর তার লাশ গুম করে পরকিয়া করে পালিয়েছে বলে প্রচার করে উল্টো আফরোজার পরিবারকে ফাঁসানের নীল নকশা অংকন করেছিল খুনিরা। কিন্তু আফরোজার পরিবারের চাপের কারণে তা সম্ভব হয়নি। খুনিদের কাউকে বাদ দিলে বা গ্রেপ্তারে কালক্ষেপন করলে কঠোর কর্মসূচি হাতে নেয়া হবে বলে তারা জানান।

এদিকে নিহত আফরোজার মা, ভাই ও বোনরা বলেন, বিয়ের নয় মাসের মাথায় তার স্বামী রকিব হাসান বাপ্পী, শ্বশুর হাসান বশির, শ্বাশুড়ি রোকেয়া হাসান ভাসুর হাসান আরিফ ও হাসান রাসেল সহ সবাই মিলে পরিকল্পিত ভাবে আফরোজাকে হত্যা করে লাশ গুম করেছে। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে খুনিরা লাশ খুঁজে না পেতে যাবতীয় পরিকল্পনাও করে। নিখোঁজের দিন থেকে লাশ পাওয়ার এই ৬ দিনের মধ্যে ঘাতক শ্বশুর বাড়ির লোকজন আফরোজার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি প্রদান করেছে। তারা এই হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সর্বস্তরের মানুষের সহযোগীতা কামনা করেছেন।