শাহেদুল ইসলাম মনির, কুতুবদিয়া:

কক্সবাজার জেলার দ্বীপ কুতুবদিয়া উপজেলায় আর মাত্রদুইদিন পরই শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গা পূজা। আগামী ২২ অক্টোবর মা দুর্গার বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এই দুর্গোৎসব। এরই মধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে বেশিরভাগ ম-পে। এখন চলছে রং তুলির কাজ। করোনাকালীন কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সীমিত আয়োজনের মধ্য দিয়েই তারা ধর্মীয় উৎসব পালন করবেন।

উপজেলা পুঁজা উদযাপন সুত্রে জানা গেছে, কুতুবদিয়া প্রতিমা ও ঘট পুঁজাসহ মোট ৪১টি পুঁজা মন্ডপে দূর্গোৎসব পালিত হবে। তন্মধ্যে প্রতিমা পূঁজা ১২টি আর ঘট পূঁজা ২৯টি।

কুতুবদিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাজীব সেন বলেন, ৬ টি ইউনিয়নের মধ্যে বড়ঘোপ বাজারে কুতুবদিয়া কেন্দ্রীয় কালি মন্দির, মধ্যম বড়ঘোপ কৈবর্ত্য পাড়ায় বানেশ্বর কালি মন্দির, পূর্ব বড়ঘোপ কৈবর্ত্য পাড়ায় সর্বমঙ্গলা কালি মন্দির, দক্ষিণ ধূরুং নাথ পাড়ায় বিমল নাথের দুর্গা মন্দির ও ভবানী মহাজনের দুর্গা মন্দির, ধুপি পাড়ায় লেমশীখালী সর্বমঙ্গলা দুর্গা মন্দির, আলী আকবর ডেইল কুমিরা ছড়ায় রাধাকৃষ্ণ নন্দধাম মন্দির, বড়ঘোপ মগডেইলে রাধাগোবিন্দ দুর্গা মন্দির, উত্তর ধূরুং প্রদীপ পাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, বড়ঘোপ মিয়ার ঘোনা মায়ের বাড়ি কালি মন্দির, পূর্ববড়ঘোপ কৈবর্ত্য পাড়ায় শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির এবং দক্ষিণ ধূরুং জলদাশ পাড়ায় শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দিরে প্রতিমা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ব্যক্তিগত ভাবে ২৯টি বাড়িতে ঘটপূজার আয়োজন করা হয়েছে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: জালাল উদ্দিন বলেন, করোনার কারণে প্রতিটি ম-পে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আসন্ন দুর্গা পূজায় পুলিশ, আনসার বাহিনী মোবাইল টীম হিসেবে সবগুলো মন্ডপে দায়িত্ব পালন করবেন। আশা করি সুষ্ঠভাবে দূর্গোৎসব সম্পন্ন হবে।

তাছাড়া উপজেলা নির্বাহি অফিসার প্রতিটি মন্ডপ পরিদর্শন করবেন বলে জানান তিনি।