যুগান্তর : ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের না পাঠাতে আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ওপর চাপ রয়েছে, ইউএনএইচসিআর এবং অন্যান্য এনজিওগুলোর পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে না পাঠানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ রয়েছে।’

রোববার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ভাসানচর একটি খুব সুন্দর জায়গা এবং এটি একটি রিসোর্ট হওয়া উচিত ছিল। আমি যদি এর দায়িত্বে থাকতাম তবে আমি এটিকে একটি রিসোর্ট হিসেবে তৈরি করতাম। রোহিঙ্গারা রাখাইনে যেভাবে জীবিকা নির্বাহ করতেন, ভাসানচরে গেলে সেভাবেই জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন। এমন অনেক লোক আছেন যারা যেতে ইচ্ছুক…।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত, ব্রিটিশ হাইকমিশনার, কানাডিয়ান হাইকমিশনের মানবিক সহায়তা প্রধান, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের মতো বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা সম্প্রতি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, সরকার ধীরে ধীরে সেখানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরিত করতে চায়। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো গিয়ে পরিস্থিতি দেখাটি ছিল এক সমাদৃত পদক্ষপ। তবে, প্রস্তাবিত জাতিসংঘের কারিগরি ও সুরক্ষা মূল্যায়নের বিষয়টিকে এগিয়ে নেয়াও গুরুত্বপূর্ণ। সেই সাথে সেখানে ইতোমধ্যে স্থানান্তরিত ৩০৬ শরণার্থীর মানবিক ও সুরক্ষা পরিস্থিতি মূল্যায়নে আলাদাভাবে সফর দরকার।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, ‘এ সংকটের শুরু থেকে আমরা বাংলাদেশের সাথে রয়েছি এবং কক্সবাজারে উন্নয়ন সহায়তা বাড়ানো অব্যাহত রাখব। ইতোমধ্যে ৫০ কোটি ডলারের বেশি অনুদান দিয়েছি। এ সংকটকে ভুলে যাওয়া যায় না এবং যাবে না।’

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয়ের ক্ষেত্রে উদারতা এবং তাদের ফেরা অবশ্যই স্বেচ্ছামূলক, নিরাপদ ও সম্মানের সাথে হতে হবে বলে একমত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে প্রতিনিধিদলটি।

তারা পুনর্ব্যক্ত করেন যে এ সংকটের সমাধান রয়েছে মিয়ানমারে এবং সংকটের মূল কারণ সমাধান করতে হবে।

তারা উল্লেখ করেন, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগণের ওপর চালানো নৃশংসতার জন্য দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করা গেলে তা উদ্বাস্তুদের নিজ দেশে ফেরার ক্ষেত্রে আস্থা ফেরাতে অবদান রাখবে।