নিজস্ব প্রতিবেদক :

কক্সবাজারের প্রধান সড়ক প্রশস্ত করতে দুই পাশের  জায়গা ছেড়ে দিতে সীমানা নির্ধারণ করে দিচ্ছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।  রবিবার ১৮ অক্টোবর বিকেলে কক্সবাজারের রুমালিয়ারছড়া পিটি স্কুল এলাকা থেকে বার্মিজ মার্কেট পর্যন্ত প্রধান সড়কের সীমানা নির্ধারণ কাজের উদ্বোধন করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেঃ কর্নেল ফোরকান আহমেদ।

কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কের দুই পাশের সড়ক প্রশস্ত করার জন্য ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবন, দোকান, মসজিদে সীমানা চিহ্ন দিয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)। আবার কোন ধরনের নোটিশ বা বৈধ কাগজপত্র না দেখিয়ে কউকের সীমানা নির্ধারণ করায় অসন্তোষ জানিয়েছে প্রধান সড়কের দুই পাশের ভবন, দোকান ও জমির মালিকেরা। শহরের রুমালিয়ারছড়ার রেক্টর ভবনের মালিক মোঃ ইলিয়াস জানিয়েছেন, আমার ব্যক্তিগত জায়গায় আমার ভবনটি নির্মান করেছি। কউক আজকে আমার ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবন ভাঙ্গার জন্য চিহ্ন দিয়ে গেছে। কউক যে চিহ্ন দিয়ে গেছে তা ভাঙ্গলে পুরো ভবন ক্ষতিগ্রস্থ হবে। দেশের কোন আইনে ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা নোটিশ ও ক্ষতিপূর ছাড়া ভেঙ্গে দেয়ার নিয়ম নেই।

রুমালিয়ারছড়ার জাহেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আমার বিএস খতিয়ানের জমি ভাঙ্গার জন্য চিহ্ন দিয়ে নির্দেশ দিয়েছেন। তারা বলছেন আল্লাহর ওয়াস্তে জমি ছেড়ে দিতে। আমার কোটি টাকার সম্পদ তারা বেআইনী ভাবে ভেঙ্গে দিতে চাচ্ছে। এর জন্য আমি কউক চেয়ারম্যান ও সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে সুষ্ট সমাধান চাচ্ছি।

খোরশেদ আলম নামের আরেকজন জানিয়েছেন, আমার ভবনের সামনে সরকারী ম্যাপে ৪২ ফিটের রাস্তা রয়েছে। সরকারী রাস্তার সীমানা পিলার থেকে  ৩ ফিট খালি রেখে ভবন নির্মাণ করেছি। কউক এখন আমার ভবনের পিলার ভেতরে আরো ২ ফিট ভাঙ্গার জন্য চিহ্ন দিয়েছে।

চৌধুরী ভবনের মালিক মাহমুদুল হক চৌধুরী জানিয়েছে, প্রধান সড়কের একটি নির্দিষ্ট পরিমাপ রয়েছে। সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপ করলে সেটি বের হয়ে আসবে। কউকের সড়ক নির্মানের জন্য সরকারী জায়গার পরে যদি কোন জায়গা লাগে আইনগত ভাবে তা ক্ষতিপূরণ দিয়ে অধিগ্রহন করতে হবে।

তারাবনিয়ার ছড়ার শাহ আলম জানিয়েছেন, সরকারী ম্যাপে আমার বাসার সামনে সড়কের প্রস্থ ৩৫ ফিট। কউক ৫০ ফিট রাস্তা নির্মান করতে গেলে ১৫ ফিট ব্যাক্তিগত জায়গা প্রয়োজন। কোন ধরনের ক্ষতিপূরণ ছাড়া কিভাবে ব্যক্তিগত ভবন তারা ভেঙ্গে দিবে?

তারাবনিয়ারছড়ায় খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা সরকারী ভাবে ভাঙ্গতে অবশ্যই যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া অনুসরন করতে হবে।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ফোরকান  আহমেদ বলেছেন, সড়কের প্রশস্তের জন্য সীমানা নির্ধারণ করা হচ্ছে। যারা অবৈধ দখলদার আছেন তাদের দ্রুত সরে যেতে হবে। তিনি বলেন সরকারী আর,এস এবং বি,এস দাগের বাইরে কারো জায়গার নেয়া হবেনা। যদিও তিনি সড়কের সৌন্দর্য্যের জন্য কোন ব্যক্তিগত  জায়গা ছদগায়ে জারিয়া হিসেবে দিতে অনুরোধ করেছেন।

এদিকে রাস্তার পাশ্ববতী জায়গার মালিকেরা  রাস্তা প্রশস্ত করণে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন । অবৈধ দখলে থাকলে  সরে যাবেন।  তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্ধারিত ম্যাপ অনুসরণ করা হোক।  কারো ব্যক্তিগত জমি যদি নিতে হয়  উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিয়ে অধিগ্রহণ করার জন্য  কউক চেয়ারম্যান বরাবরে অনুরোধ করেছেন শহরবাসী।