ফাইল ছবি

বার্তা পরিবেশক:
দোহাজারী-ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্পের চলমান কাজে চকরিয়া অধিগ্রহণ করার পর মিথ্যা ও ভুয়া এওয়ার্ডের মাধ্যমে মুল মালিকের ক্ষতিপূরণ অন্যজনকে দেয়ার পাঁয়তারা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ভুক্তভোগী হলেন চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের মৃত খলিলুর রহমানের পুত্র ডা. আবু সৈয়দ। ভুক্তভোগী এবং প্রকৃত মালিক আবু সৈয়দ এওয়ার্ড সংশোধন করে ক্ষতিপূরণ তাকে দেয়ার জন্য গত জেলা প্রশাসকে কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। যার নং-১২৪/১৯।

ভুক্তভোগী ডা. আবু সৈয়দ জেলা প্রশাসকের দেয়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন, চলমান রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পে ২০১১ সালে পালাকাটা মৌজার বিএস ৪০৮ নং খতিয়ানের ১৩৯৭ থেকে ১৩৯৯ নং দাগের প্রায় ১ একর জমি অধিগ্রহণ করে। উক্ত জমির মধ্যে পশ্চিম পাশে আবেদনকারী ডা. আবু সৈয়দের ৫৫ শতক জায়গায় বসতবাড়ি, ছয়টি দোকান, পুকুর, গাছপালা, দুটি নলকূপ, এবং গোয়ালঘর রয়েছে।

অপরপক্ষে তার ভাই মৃত শাহাজাহানের ওয়ারিশ স্ত্রী রেজিয়া বেগম গং এর পূর্বপাশে একই খতিয়ানের ১৪০০ ও ১৩৯৬ দাগের ৫৪ শতকে ভোগ দখলে রয়েছে। ইতোমধ্যে রেজিয়া বেগম গং প্রভাবশালীদের সাথে হাত মিলিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মোটা অংকের টাকার ঘুষ দিয়ে ১৩৯৯ থেকে ১৩৯৯ দাগে তার কোনো অবকঠামো এবং স্বত্ব না থাকার পরও তার নামে ফেরবী সম্পূর্ণ জাল এওয়ার্ড সৃজন করে ক্ষতিপূরণ দাবি করে আসছে। এ সংক্রান্ত জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় মামলা চলমান রয়েছে যার নং এলএ মামলা ০২/২০১৬-১৭ ইং।

রেজিয়া বেগম গং চকরিয়া ভূমি অফিসের একটি চক্র, স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও চিহ্নিত দালাল সিন্ডিকেট হাত করে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ১৩৯৫ থেকে ১৪০০ দাগে রেজিয়া বেগমের কোনো স্থাপনা ও জায়গা না থাকারও পরও অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ দাবি করে ডা. আবু সৈয়দকে হয়রানি করে আসছে।

অন্যদিকে ক্ষতিপূরণ না দিয়েই রেললাইনের একটি রাতের আঁধারে ডা. আবু সৈয়দের ছয়টি দোকান সব স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়। এমনকি মালামালগুলো লুট করে নিয়ে যায়। এতে ডা. আবু সৈয়দের ২০ লাখ টাকার মালামালের ক্ষতি ও লুট হয়েছে। রেজিয়া বেগম গংয়ের সাথে যোগসাজস করে রেললাইনের একটি চক্র এই বেআইনী কাজ করেছে দাবি করেছেন ডা. আবু সৈয়দ।

ডা. আবু সৈয়দের দাবি, সরেজমিনে তদন্তপূর্বক মিথ্যা এবং ভুল তথ্যের ভিত্তিতে করা ভুয়া এওয়ার্ড বাতিল করে বা সংশোধন করে অধিহগ্রহণকৃত জমিতে প্রকৃত স্থাপনার মালিক ডা. আবু সৈয়দকে যেন ক্ষতি পূরণের অর্থ প্রদান করা হয় তার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। পাশপাশি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রকৃত মালিকের ক্ষতিপূরণের টাকা ভুয়া ব্যক্তিকে না দেয়া আহŸান জানান। একই সাথে এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানান ভুক্তভোগী ডা. আবু সৈয়দ।

তিনি অভিযোগ করেন বলেন, আমাকে দুর্বল করে দেয়ার জন্য আমার সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছেলে রবিউল হাসানের নামে বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দায়ের করেছে রেজিয়া বেগম- যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। আমি আমার ক্ষতিপূরণ পেতে ষড়যন্ত্রকারীসহ এই ভুয়া কার্যক্রমের বিরুদ্ধে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মাননীয় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও গোয়েন্দা সংস্থার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।