সংবাদদাতা :
কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের চান্দের পাড়া এলাকায় প্রবাসীর জায়গায় দেয়াল নির্মাণে চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠেছে সন্ত্রাসী জাকের ও কামালের বিরুদ্ধে। প্রবাসী মঈন উদ্দিন দীর্ঘ বছর যাবত প্রবাস জীবনে পরিশ্রম করে কষ্টে অর্জিত টাকা দিয়ে ৬ শতক জায়গা ক্রয় করে চাঁন্দের পাড়া এলাকায়। সেই জায়গায় সীমানা প্রাচীর দিতে গিয়ে চাঁদা দাবি করে বসে জাকের ও কামালসহ তাদের লোকজন।
তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে ধাঁরালো অস্ত্র, লোহার রড, হাতুড়ি, লাঠি নিয়ে হামলা চালায় জাকের, কামালের লোকজন । এসময় তাদের করা আঘাতে মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন মঈনের স্ত্রী নুসরাত শারমিন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নুসরাতের ভাই আমানুল হক ৬জনের নামে একটি এজাহার দায়ের করলেও এখনো অপরাধীরা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মৌ: ফজলুল করিম জানান, প্রবাসী মঈনের ক্রয়কৃত জায়গার মধ্যে দেয়াল নির্মাণ করতে গেলে চাঁদা দাবি করে সন্ত্রাসী কামালের লোকজন এমন সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এরপর নির্মাণ শ্রমিক কামাল উদ্দিন আমাকে জানিয়েছে তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয় কামালের লোকজন।
নির্মাণ শ্রমিক কামাল উদ্দিন জানান, দেয়াল নির্মাণ কাজ করতে গেলে আমার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে সন্ত্রাসী কামাল বাহিনী। তাদের চাঁদার টাকা না দেওয়ার কারণে আমার ২টি মোবাইল সেট কেড়ে নেয়। একটি মোবাইল দিলেও এখনো এনড্রয়েড মোবাইল ফোনটি দেয়নি।
আমানুল হক জানান, জাকের বাহিনী আমাদের কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা চাঁঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়াতে আমার বোনের জামাইয়ের জায়গার উপর দেয়াল নির্মাণ করতে দিচ্ছেনা। তাদের চাঁদার টাকা দিলে নাকি দেয়াল নির্মাণ করতে দেবে। আমার বোনকে আহত করার পরেও তারা এখনো প্রান নাশের হুমকি ধমকি দিচ্ছে। বর্তমানে আমরা খুব আতংকের মধ্যে রয়েছি। এই বিষয়ে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এলাকার মধ্যে এমন কোন অপরাধ কর্মকান্ড নেই যা জাকেরের লোকজন করছেনা। তাদের অপরাধ কর্মকান্ডের কোন প্রতিবাদ করার সাহস পায়না কেউ। যারা প্রতিবাদ করে তাদের জীবনে নেমে আসে মহাবিপদ। তাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অনেক মানুষ। তাদের চাঁদাবাজি, হুমকি ধমকিসহ নানা অপরাধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। তার ভাই দেলোয়ার এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী । তার ছড়িয়ে দেওয়া মাদকের ছোঁবলে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ। এই মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা না গেলে এলাকায় বাড়বে অপরাধ কর্মকান্ড। এলাকার মধ্যে শান্তি শংঙ্খলা বজায় রাখতে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল।

তবে অভিযুক্ত জাকের হোসেনের সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হলে  তিনি চাঁদা দাবীর কথা  অস্বীকার করেন।