গত ১৪ই অক্টোবর বিভিন্ন পত্রিকা,অনলাইন নিউজ পোর্টালে “মহেশখালী শাপালপুরে ছেলের হাতে বৃদ্ধ বাবা নির্যাতনের শিকার” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোছর হয়েছে। উক্ত সংবাদ নিয়ে আমার বিবৃতি হলো বৃদ্ধ লোকটি হলো আমার পিতা
শাপলাপুর ইউপিস্থ বাড়িয়াছড়ি গ্রামের আলতাফ হোছাইন (৭০) আমি তার ১ম স্থীর ছেলে মোহাম্মদ ফয়সাল। গত ১৪ ই (অক্টোবর) সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা ভিডি প্রচারিত হয়। ভিডিও ফুটেছটি পুরো ভিডিওর একটা খন্ডিত অংশ মাত্র। যেটি দুই মাস আগের। আজ থেকে আনুমানিক দুই মাস আগে আমাদের পারিবারিকভাবে একটা ঝামেলা হয়। এতে আমার পিতা আলতাফ হোছাইনের ১ম স্ত্রী জান্নাত আরা বেগম কে লোহার রড দিয়ে মেরে মাটিতে ফেলে রাখে। ঐসময় আমি বাড়িতে ঢুকে দেখি আমার পিতা খুবই উত্তেজিত অবস্থায় আছে গালিগালাজ করতেছে আমার মাকে এক পর্যায়ে পুনরায় মারতে গেলে আমি আমার পিতাকে ধরে বাহিরে বের করে দিতে চেয়েছিলাম যাতে ওনার মেজাজটা একটু ঠান্ডা হয়ে যায়।আমি ওনাকে ধরে ঘর থেকে বাহিরে নিয়ে যাওয়ার সময় আমার সৎ বোন (রেবেকা সোলতানা) এটি ভিডিও করে রাখে। যেহেতু এটি একটা পারিবারিক ঝামেলা তাই এটি পারিবারিকভাবে মীমাংসা হয়ে যায়। এবং আমি নিজেই অনুতপ্ত হয়ে আমার পিতা আলাতাফ হোছাইন থেকে ওনার পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়ে নে। তিনি আমাকে ক্ষমাও করে দেন এবং বিষয়টি ওখানে সোরাহা হয়ে যায়। এদিকে গত ১২ ই (অক্টোবর) আমার সৎ ভাই
শাহাজাহান টিপু(২২) তার চাকরী থেকে বাড়িতে এসে আমার মায়ের সাথে ঝগড়া করে এসময় আমি এবং আমার ভাইয়েরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। আমাদের কে ঘর বাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে জানে মেরে পেলার জন্য আমাদের বাড়িতে ঢুকে পেট্রোল ঢেলে ঢেলে বলতে থাকে আজকে তোদের সবাইকে জানে শেষ করে দিব।পিছনে দাঁড়িয়ে সহায়তা করে সৎ বোন “রেবেকা সোলতানা রুমা” সৎ মা আনোয়ারা বেগম ও পিতা আলতাফ হোছাইন। প্রথমে বাড়ির আসবাব পত্র ভাংচুর করে তার পরে পেট্রোল নিয়ে আসে। তখন বাড়িতে অবস্থানরত ছিল পরিবার পরিকল্পনার একজন কর্মচারী।সে আংতকে চিৎকার মেরে উটলো কারন ঐ সময় পেট্রোল তার শরীরে পড়ে কাপড় ভিজে যায়।তার পাশে ছিল আমার বড়ভাইয়ের ৫ মাসের ঘুমান্ত বাচ্চা ও ৭ বছরের ছেলে। ঘন্টাকানিক পর বাড়িতে আমার বড়ভাই জুবায়ের এসে প্রতিবাদ করলে তাকে সহ আমার মা কে মারধর করে।এবং বড়ভাইয়ের রাখা নগদ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আমাদের কে প্রথমে মৃত্যুর হুমকি দেয়।মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন মামলায় জড়ানোর ভয়ভীতি দেখায়।পরে লোকজন এসে আমার বড় ভাই তার দুই ছেলে ও আমার মাকে ঘটনার জায়গা হতে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।এ ঘটনায় ১২ই অক্টোবর ২০২০ইং আমার বড় ভাই জোবাইর হোসেন বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
আমার পিতার সাথে আমাদের ঘটনার মুল কারণ হল তাহার ১ম স্ত্রী সন্তানদের নির্যাতন বৈষম্য মুলক আচরণ করে তবুও আমরা পিতাকে যথেষ্ট সন্মান করে আসছি। বিগত ২০০০ সালে তার ১ম স্ত্রী অর্থাৎ আমার মা জান্নাত আরা বেগম কে নিজের উত্তরাধীকার সুত্রে পাওয়া জায়গা বিক্রি করে আলতাফ হোসাইন থেকে ৪০ শতক জায়গা ক্রয় করে।যার মধ্যে ১৪ শতক বসতবাড়ি বাকী গুলো ফসলি জমি।আমরা দুই ভাই স্কুল কলজে পড়ুয়া ছাত্র। ৩ বছর অতিক্রম হতে না হতেই ২০০৩ সালে আমাদেরকে মারধর করে ফসলী জমি থেকে উচ্ছেদ করে দেয় এবং ঐ জমিতে আমার সৎ ভাই শাহাজাহান টিপুকে একটি রাইচ মিল তৈরী করে দে। বিষয় টি আমরা নিরুপায় হয়ে তৎকালীন ও বর্তমান চেয়ারম্যান তৎকালীন ও বর্তমান চেয়ারম্যান ছিলেন জনাব আবদুল খালেক চৌধুরী। ঘটনাটি যখন শাপলাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কে জানানো হয়।তখন তাদের দাদার বিশেষ অনুরোধে কালারমার ছাড়ার সাবেক চেয়ারম্যান জনাব আলহাজ জাবের আহমদ চৌধুরী শালিশের মাধ্যমে একটা সোরাহাা করে দেন। এবং অন্য জায়গায় তাহার ১ম স্ত্রীকে বাকী ফসলী জমি দিতে হয়। এটি একবছর পরে চিনিয়ে নেয়। এবং রাতের অন্ধকারে ২য় স্ত্রীর কথায় আমার মাকে
খুন করার চেষ্টা করে। এতে আমার মা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে পরে আমরা মাকে শহরে নিয়ে যায়। দীর্ঘ দিন পর যখন আমার পিতা জায়গা বিক্রি করার জন্য চেষ্টা করলে চাচাদের অনুরোধে আমরা ভাইয়েরা মিলে জায়গা ক্রয় করি ১২ শতক।কিছু দিন পরে আমার পিতা আলতাফ হোছাইন

অস্ত্র ও নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেফতার হলে।জামিনে মুক্তি করার জন্য ৫০ হাজার টাকা খরচ করি আমরা দুই ভাই। জেল থেকে এসে আমরা ১ম স্ত্রীর দুইছেলের সাথে আলোচনা করে বাড়ী তৈরি করার জন্য নগদ ৩ লক্ষ টা নেন যাতে তাদেরও অর্ধেক অংশ থাকে। সম্প্রতি যখন আমরা ব্যবসা করার জন্য টাকা সংকটে পড়ে আমার পিতাকে বলি আমাদে ক্ররয়কৃত জায়গাটা দেন আমরা বিক্রি করে দিব টাকা দরকার এখন আমাদের তখন সে বলে আমার অধীনে এখন যে জায়গাটি আছে এটা খতিয়ানভুক্ত জমি না এটি খাস।তখন আমরা বিক্রি করতে সমস্যা পড়ে যায়। যার পৃর্বে বেশকয়েক বার জমি সংক্রান্ত কারণে আমার বাবা আর চাচাদের মধ্যে মারামারি হয়। একদিন জমির কারণে মারামারি জড়িয়ে গেলে পৃর্বে বেশকয়েক বার জমি সংক্রান্ত কারণে তাদের বাবা আর চাচাদের মধ্যে মারামারি হয়।১ন বউয়ের ছেলে ফয়সাল তখন বাড়িতে অবস্থান করে।একদিন জমির কারণে মারামারি জড়িয়ে গেলে আমি চাচাদের সাথে জগড়া না করে বরং মীমাংসা করার জন্য অনুরোধ করি। চাচারা অনুরোধ গ্রহন করে। পরে জমিনের হিসাব বন্টন করা হয়ে যায়। তখন আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করি আমাদের জায়গাটা দেন আমরা বিক্রি করবো। তখন আমার পিতা বড় ভাই জুবায়ের কে অনুরোধ করে যে তোদের টাকায় বাড়িঘর তৈরি করলাম তোরা এখানে চলে আয়।এখানে ব্যবসা কর।তখন জুবায়ের তার বউ ছেলেসহ আমার মাকে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে পুনরায় বাড়িতে চলে আসে। যখন বাড়িতে এসে যায় কিছুকিছু দিন পরে আমার পিতার সাথে আলোচনা করি যে আমাদের ক্রয় কৃত জাগটা বিক্রি করে আমরা এখানে ব্যবসা করবো। তখন আমার পিতার প্রতি বিরোধ হয় আমাদের এবং তিনি আমাদেরকে কিভাবে তাড়ানোর যায় এই পরিকল্পনা করে আসছে যার কারনে গণমাধ্যমকে ভুুুল তথ্য দিয়ে এই নিউজটি করানো হয়েছে।

এই পরিকল্পিতভাবে এই নিউজটি করানো হয়ে