মোঃ কাউছার উদ্দীন শরীফ,ঈদগাঁও :

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও বাজারে সবজির মুল্য অনাকাংক্ষিত ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ ও দরিদ্রজনগোষ্ঠী চরম বিপাকে পড়েছে।
অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষগুলোর কষ্টে দিন কাটছে বলে জানাগেছে।
ঈদগাঁও বাজারের সবজির দোকান ঘুরে দেখা যায়, ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া আলুর দাম বেড়ে হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। ১১০ থেকে ১১৫ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিমের দাম বেড়ে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ৪০ থেকে ৫০ টাকা পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। অর্থাৎ কেজিতে কাঁচামরিচের দাম ১২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এদিকে শিম, পাকা টমেটো, গাজর, বেগুন, বরবটির সঙ্গে নতুন করে ১০০ টাকা কেজির তালিকায় নাম লিখিয়েছে । এর মধ্যে পাকা টমেটো গত কয়েক মাসের মতো এখনো ১২০ থেকে ১৪০ টাকা এবং গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের মতো শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। বেগুনও গত সপ্তাহের মতো ৮০ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। শুধু সবজি নয়, বাজারে অন্য সবজিগুলোও স্বস্তি দিচ্ছে না। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এক হালি কাঁচা কলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ঝিঙা, কাঁকরোল, ধুন্দুলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা।

অন্যদিকে সম্প্রতি চালের দাম ও দিন দিন উর্ধব গতি। এ ব্যাপারে বাজারের সবজি বিক্রেতা কামাল উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান,আমরা ছডা দামে ক্রয় করতেছি ভাই তাই ছডা দামে বিক্রি করতে হচ্ছ না হলে তো আমরা পোষাতে পারছি না। রিক্সা চালক জাহাঙ্গীর জানান, আজ সবজি কিনতে এসে সবজি না নিয়ে চলে যাচ্ছি যে দাম। সচতন মহল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।