এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :

চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের আমজাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মিতব্য শহীদ মিনার এবং বিরোধীয় জায়গার স্থান পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম। সোমবার ১২ অক্টোবর দুপুরে তিনি চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে এমপি জাফর আলম বিদ্যালয়ের জায়গায় শহীদ মিনার নির্মাণে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। একইসঙ্গে তিনি বিদ্যালয়ের জমি বিদ্যালয়কে দখল বুঝে দিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আমিনুর রশিদ দুলাল, লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার, বিদ্যালয় এসএমসি কমিটির সভাপতি মোঃ সাইদুল হক চৌধুরী, সহ-সভাপতি আবু তালেব চৌধুরী, বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক বশির আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কবির হোসেন মেম্বার, চকরিয়া সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মাওলানা আনিসুর রহমান চৌধুরী সহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ।

প্রসঙ্গত: চকরিয়া উপজেলার ১৪৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের অংশহিসেবে গত বুধবার আমজাদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব জায়গায় শহীদ মিনার নির্মান কাজ উদ্বোধন করতে আসেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আকতার ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবু জাফর।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরতে বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নিজের জমি আছে এইধরণের অভিযোগে নির্মাণ কাজে বাঁধা দেন লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আবুল কালাম ও তারভাই আইয়ুব মো. ইকবাল। পরে ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং বাঁধা প্রদানকারি উভয় পক্ষের সাথে বৈঠকে বসেন।

ওই বৈঠকে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত হয় যে বাঁধা প্রদানকারী পক্ষের দাবিকৃত ডকুমেন্ট যথাযথ না হলেও বিরোধীয় ৯ শতক জায়গা বাদ দিয়ে অন্য জায়গায় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ উদ্বোধন হবে। এ সময় বাঁধা প্রদানকারিরা এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে প্রথমে রাজি হলেও পরে শহীদ মিনার নির্মান করা যাবেনা বলে হুংকার দিয়ে জমির দাতাপক্ষের প্রতিনিধি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি নুরুল আবছার সওদাগর ও তার পুত্র নুরুল আজিমের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

বিষয়টি প্রসঙ্গে লক্ষ্যারচর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার বলেন, ১৯৭৩ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করে । স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ১৯৭৮ সালে আরএস খতিয়ান নাম্বার-১৬১৬, এমআরআর খতিয়ান নাম্বার-৫৯৬ এর দাগ নাম্বার ১৫৪৩,১৫১৬ও১৬৪৭ বিএস খতিয়ান নম্বর ৭৭২ ও৭৭৩ ও ১৯৯৬ দাগের ৩০ শতক জমি বিদ্যালয়কে দান করেন। সেই জমির উপর সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিদ্যালয়ের জন্য শহীদ মিনার নির্মাণ করতে গেলে বাধা প্রদানসহ হামলা করে কতিপয় মহল।

ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তাফা কাইছার বলেন, সোমবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গন পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসাদ আলহাজ জাফর আলম ও ইউএনও সৈয়দ সামসুল তাবরীজ। ওইসময় আমরা বিদ্যালয়ের ওই ৩০ শতক জমি দখলমুক্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে দাবি জানাই। এমপি মহোদয় আমাদের দাবির প্রতি একাত্মা পোষন করে অবিলম্বে বিদ্যালয়ের জমি দখল ছেঁেড় দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।