জহির খন্দকার , ঈদগড় :
সংগীত শিল্পী জনি হত্যাকান্ডে আলোচিত বোরকা নেকাব পরা ৩ যাত্রীর সন্ধান পাওয়া গেছে। ৩ জনের মধ্যে ২ জন মহিলা ও ১ শিশু ছিল।
তারা হলেন নাইক্ষংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ের ২ নং ওয়ার্ডের মৃত ইব্রাহীমের স্ত্রী ললিতা বেগম(৬০) গোলাপ মিয়ার স্ত্রী বকুল বেগম (৩০) ও একজন শিশু।
প্রত্যক্ষদর্শী ললিতা বেগম জানান, আমরা ৩ জন পিছনের সিটে বসা ছিলাম আর সংগীত শিল্পী জনি ও অপর এক কিশোর যুবক সিএনজি চালকের দুই পাশের সিটে বসা ছিল। একটি ব্যাগ (গানের ডাইরী ভর্তি) জনি’র গলায় ঝুলানো ছিল।
তিনি আরো জানান, ঈদগাঁও ষ্টেশন থেকে রওয়ানা দিয়ে সিএনজি ঢালায় পৌছার সাথে সাথে ডাকাতদল সিএনজি থামাতে জঙ্গল থেকে চলন্ত গাড়ী লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করলে গাড়ী থেকে জনি মাটিতে লুটে পড়ে। সিএনজি চালক আমাদেরকে বাঁচানোর জন্য দ্রুত চালিয়ে চলে আসে। তিনি আমাদেরকে গজালিয়া মসজিদের পাশে নামিয়ে দিলে টমটমে করে আমরা বাড়ীতে চলে আসি। পরে কি হয়েছে আমরা জানি না।
সিএনজি চালকের কোন রকম দুর্বলতা থাকতে পারে কি জানতে চাইলে তিনি জানান, গাড়ী লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার পরে ও চালক সাহসিকতার সাথে আমাদের কে নিয়ে গাড়ী চালিয়ে চলে আসতে পেরেছে। চালকের কোন রকম দোষ আছে বলে মনে হয় না।
ডাকাতের হামলায় নিহত অপর যাত্রী মোঃ কালু সম্পর্কে ললিতা বেগমের ভাষ্য , পেছনে পেছনে আসা অপর সিএনজির যাত্রী ছিল মোঃ কালু । আমাদের গাড়ির নয় ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।