সিবিএন ডেস্ক:

রাজধানী ঢাকা থেকে ট্রেনে চড়ে বাংলাদেশের শেষ প্রান্ত কক্সবাজারের ঘুমধুম পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মায়ানমারের কাছে গুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণ কাজ চলমান। প্রকল্পের দোহাজারী অংশের কাজের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। তবে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৪৬ ভাগ।

শনিবার (১০ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের সরেজমিনে দোহাজারী ঘুরে দেখা যায়, সাগু নদীর উপর বড় ব্রিজ নির্মাণ শেষ হয়ে গেছে। এ ব্রিজ দিয়েই দোহাজারীতে যুক্ত হবে রেললাইন যা এখন পুরোটাই দৃশ্যমান।

দোহাজারী, চকরিয়া, সাতকানিয়াসহ পুরো প্রকল্প এলাকায় বর্তমানে কাজ চলছে। জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। মূল রেললাইন মাটি ভরাট করে লেভেলিং করার পর বসানো হবে।

সাগু নদীর উপর বড় ব্রিজ নির্মাণ শেষ হয়ে গেছে


তাছাড়া দোহাজারী অংশে প্রথম রেলস্টেশন নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে এখন ভবনের মূল কাজ ডিজাইন অনুযায়ী শুরু হবে। একইসাথে এই প্রকল্পে বড় ও ছোট ব্রিজ নির্মাণের ৬৫ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে।

দোহাজারী থেকে কক্সবাজার অংশে নয়টি স্টেশন হবে দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, দুলাহাজরা, ইসলামাবাদ এবং কক্সবাজার। মায়ানমারের নিকট গুনদুম পর্যন্ত দুটি স্টেশন হবে উখিয়া ও গুনদুম।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটি চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার রেলপথ প্রথম ধাপে নির্মাণ করা হবে। পরবর্তীতে কক্সবাজার থেকে মিয়ানমার সীমান্তের গুনদুম পর্যন্ত আরও ২৮ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার নির্মাণ করা হবে।এই রেলপথ নির্মাণ হলে ট্রান্স এশিয়া করিডোরের সাথে সংযোগ স্থাপন হবে একইসাথে পর্যটন শহর কক্সবাজার রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে।

এই প্রকল্পে বড় ও ছোট ব্রিজ নির্মাণের ৬৫ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে


প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যাতায়াতের জন্য খুবই সহজ হবে এবং দেশি-বিদেশি অধিক সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজারে আগমন করবে। একইসাথে এই রেল লাইনটি আমাদের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ফলে এ অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।

উল্লেখ, করোনাভাইরাসের কারণে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির ফলে এবং সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষার প্রয়োজনে গত ২৬ মার্চ থেকে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল। বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা মেনে প্রকল্পের কাজ চলছে।

তাছাড়া, সব জটিলতা কাটিয়ে ২০১৮ সালে প্রকল্প নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করে। ফার্স্ট ট্র্যাক এই প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালে শেষ হবার কথা রয়েছে। -বার্তা২৪.কম