এলাকাবাসির মানববন্ধন পরবর্তী প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার

এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া

পারিবারিক কলহ, কিশোরী তরুনীদের ইভটিজিং, নারী নির্যাতন সামাজিক ঝগড়া-বিবাদ জমি সংক্রান্ত বিরোধ, মাদক সেবন বিক্রি ও চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে মামলা করেছে ভুক্তভোগী জনসাধারণ। জনপ্রতিনিধি হিসেবে গ্রাম আদালতে পরিষদের মেম্বার এবং এলাকার সমাজপতিদের নিয়ে স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এসব অপরাধমুলক কর্মকা-ের শালিসী বিচার করেছেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার।

আর এসব শালিসী বিচারে দোষী প্রমাণিত হওয়া কতিপয় চক্রের রোষানলে পড়েছেন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার। সম্প্রতিসময়ে সংঘবদ্ধ ওই চক্রের সদস্য দলবদ্ধ হয়ে সংবাদ সম্মেলনের ইস্যুতে চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদারের বিরুদ্ধে নানাধরণের অপপ্রচারে নেমেছেন। এমনকি চক্রটি ইতোমধ্যে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কল্পকাহিনী সাজিয়ে সম্মাণহানি করছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী। আগামী ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন কোনাখালী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারণ। এতে সংহতি প্রকাশ করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের সকল মেম্বার, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দিদারুল হক সিকদারের বিরুদ্ধেঅপপ্রচারের প্রতিবাদে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। পরে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে করা হয় জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনও। বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় সড়কে শত শত মানুষ এই প্রতিবাদ কর্মসূচীতে অংশ নেয়। তাদের হাতে বিভিন্ন ধরণের ব্যানার ও প্লাকার্ডও শোভা পায় কর্মসূচীতে।

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত কর্মসূচীতে স্থানীয় বক্তারা বলেন, ‘কোনাখালী ইউনিয়নের পরিষদের পর পর দুইবারের চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার এলাকায় অধিক জনপ্রিয়। দায়িত্ব পালনকালে পরিষদের গ্রাম আদালতে স্থানীয় অনেক সমস্যার সমাধানও করেছেন। চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এবং বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে শালিসের পর গ্রাম আদালত কর্তৃক রায় দিতে গিয়ে হেরে যাওয়া পক্ষের রোষানলেও শিকার হয়েছেন বিভিন্নসময়। এমনকি রায়ে হেরে যাওয়া কয়েকজন নারী-পুরুষ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলাও করেছেন। যেসব অভিযোগ একেবারেই অবান্তর।’

তারা বলেন, ‘আবার রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষ সেসব মিথ্যা অভিযোগকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারেও লিপ্ত হয়েছেন। কেননা সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। তাই এই সময়কে মোক্ষম সময় হিসেবে অপপ্রচারে ব্যবহার করছে প্রতিপক্ষ।’

জানতে চাইলে কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার বলেন, ‘চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গ্রাম আদালতের বিচারের রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে আমি চেষ্টা করি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে। এতে একপক্ষ তো সংক্ষুদ্ধ হবেই। কিন্তু সামনে নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় হেরে যাওয়া পক্ষের কাউকে কাউকে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে ভাড়াটে বাদী সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা রুজুও করিয়েছে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অপপ্রচার শুরু করায় আমার এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করেছে।

ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার অভিযোগ করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী স্থাণীয় কোনাখালী চরপাড়া এলাকার আবদুল হাকিম, পরিষদের চৌকিদার ইয়াসমিন আক্তার, কোনাখালীর মোহাম্মদ হোসেন, আক্তার উদ্দিন আজাদ, জিয়াবুল হক, আয়েশা বেগমসহ চক্রটি পরিষদের গ্রাম আদালতে সালিশী বিচারে স্বাক্ষ্য প্রমাণে প্রতিপক্ষের কাছে পরাজিত হয়েছে। মুলত তাঁরা সংক্ষুদ্ধ হয়েই আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

কোনাখালী বাংলাবাজারে চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদারের পক্ষে এলাকাবাসির আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচিতে অংশনেন কোনাখালী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারণ। এতে সংহতি প্রকাশ করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের সকল মেম্বার, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী।##