মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু :
রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের মৌলভীরকাটার টেকপাড়ায় গরুর ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মাঝে গত চারদিন ধরে বিরাজ করছে টান টান উত্তেজনা। বিষয়টি নিয়ে যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনার আশংকা করছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় মোঃ ইউনুছ, নুরুন নবী জানান,মোঃ আবুল কাশেমের দুই ছেলে গত ৩ অক্টোবর ইউনিয়নের নিজ গ্রাম টেকপাড়া থেকে এক কিলোমিটার দূরে নাজু মেম্বারের ঘোনাতে গরুর জন্য ঘাস কাটতে যায়। ঐদিন কাশেমের দুই ছেলে ঘাস নিয়ে আসার সময় বর্মাইয়া হামিদের স্ত্রী লালু, শালী রোকসানা ও তার স্বামী বর্মাইয়া জাহাঙ্গীর মিলে ঘাসের বস্তা ও কাচি কেড়ে নেয়। পরে কাশেম নিজে গেলেও ঘাসের বস্তা, কাচি দেননি। পরের দিন এবিষয়টি বার্মাইয়া হামিদ হোসনকে কাশেম বলতে গেলে দুই জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর পরে ঘটনার বিচার দেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে। বার্মাইয়া হামিদ,জাহাঙ্গীর গ্রাম্য বিচারকে উপেক্ষা করে গত ৬ অক্টোবর বার্মাইয়া জাহাঙ্গীর, হামিদ এবং তাদের স্ত্রী রোকসানা বেগম, লালু,শালী রিপাসহ অনেকে লাঠি বল্লম, ধারালো দা নিয়ে নাজু মেম্বারের ঘোনা হইতে এক কিলোমিটার দুরে টেকপাড়া গ্রামে এসে আবুল কাশেমের স্ত্রী ও ছোট সন্তানদের উপর হামলা করে। এসময় কাশেম বাড়িতে না থাকার সুবাদে তার ঘেরা বেড়া ভাংচুর করে হাঁকা বকা করলে এলাকাবাসী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ব্যাপারে হামিদ হোসেন  জানান, কাশেমের ছেলে থেকে আমার স্ত্রী শালীরা ঘাস কেড়ে নিয়েছে তাই আমার উপর আক্রমণ করেন আবুল কাশেম। আবুল কাশেম থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি তার কাছে বললে সে আমার কাচি ঘাস ফেরত না দিয়ে উল্টো ঘটনা করে চলছে। তারা দেশীয় অস্ত্র, দা,লাঠি, বল্লম নিয়ে আমার বসত ঘরে হামলা চালিয়ে স্ত্রী, সন্তানদের মারধর করে ঘেরা বেড়া ভাংচুর করে। স্থানীয় সচেতন মহলের মতে এ বিষয়টি দ্রুত নিরসন না হলে যে কোন মহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। ঘটনার বিষয়ে জানতে স্থানীয় ইউনুছ মেম্বারকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী দ্রুত সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।