তাওহীদুল ইসলাম নূরী ,চট্টগ্রাম থেকে:

০৩ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চট্টগ্রামে।এরপর থেকে বেড়ে চলে চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা। প্রথম মাসে ৮৬ জনের মাঝে করোনাভাইরাস শনাক্ত হতে দেখা গেলেও এরপরের মাস থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ০৪ মে থেকে ০৩ অক্টোবর পর্যন্ত এই পরবর্তী পাঁচমাসে চট্টগ্রামের ১৮৯২০ জনের মাঝে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। আগের ৮৬ জনসহ যেটির সংখ্যা ১৯০০৬ জনে দাঁড়িয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট,চিকিৎসক,আইনজীবী, সাংবাদিক, শিল্পপতি,পুলিশ,বন্দর এবং গার্মেন্টসে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীসহ প্রায় সব শ্রেণিপেশার মানুষ রয়েছেন চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে। দেখা যাচ্ছে মাত্র ২/১ টা দিন ছাড়া ০৩ এপ্রিল থেকে ০৩ অক্টোবর এই ছয়মাস সময়ের প্রতিদিনই করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে চট্টগ্রামে। ০৩ অক্টোবর পর্যন্ত যার সংখ্যা ১৯০০৬ জন হল।

০৩ এপ্রিল থেকে ০৩ মে পর্যন্ত একমাসে যেখানে ৮৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়, সেখানে হঠাৎ করে পরবর্তী মাসে আগের চেয়ে প্রায় ৪২ গুণ করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়। এর পরের মাসগুলোতেও ক্রমবর্ধমানহারে বেড়ে চলে চট্টগ্রামে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা। অবশ্য শেষ দুই মাসে আগের মাসগুলোর চেয়ে করোনা সংক্রমণের পরিমাণ কিছুটা  কমেছে। সর্বশেষ গত একমাসে চট্টগ্রামে নতুন করে ১৮০৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের তথ্য মতে, গত ছয়মাসে চট্টগ্রামে ১৯০০৬ জনের মাঝে করোনা শনাক্ত করা হয়। যার মধ্যে ২৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৫৩৯৩ জন সুস্থ হয়েছে। সে হিসাবে বর্তমানে চট্টগ্রামে ৩৩১৯ জন করোনা রোগী রয়েছেন। হঠাৎ করে, এখানে করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে সারাবিশ্বে করোনার মরণ ছোবল দেখার পরও চট্টগ্রামের মানুষ এখনো যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে না। তাই, বিশিষ্টকজনরা মনে করছেন করোনায় এক অজানা সড়কে হাঁটছে চট্টগ্রাম। মাত্র ছয়মাসে ১৯০০৬ জনের মাঝে করোনা শনাক্ত এবং এখনো পর্যন্ত কোন সন্তোষজনক অবস্থায় না এসে চট্টগ্রামে করোনার ছয়মাস পেরিয়ে সাতমাসে পা রাখাটা চিন্তা শুধু নয় বরং উদ্বেগ, উৎকন্ঠা এবং আতঙ্কেরও।

বিশিষ্টজনরা বলেছেন, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সচেতন এবং সতর্কতার সাথে পথ চলা ছাড়া করোনার এই তরী কখনো পাড়ি দেয়া সম্ভব নয়। তাই, সবাইকে নিজের, পরিবার, দশ ও দেশের কল্যাণে সচেতন ও সজাগ হতে হবে।