এতদ্বারা আমার মক্কেল মাহাছুমুল ইসলাম রাসেল, পিতা- মরহুম জামাল উল্লাহ, সাং- পল্লবী লেইন, দক্ষিণ টেকপাড়া, কক্সবাজার পৌরসভা, থানা ও জেলা- কক্সবাজার- কর্তৃক অনুরুদ্ধ হইয়া সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত আবাসিক এলাকা বি ব্লকের ২৬ নং প্লটের ভূমি মালিক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে গণপূর্ত অধিদপ্তর।  গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ব্যতিরেখে হস্তান্তর না করার শর্তসহ অপরাপর শর্তাদি উল্লেখে লীজ দলিল সম্পাদনে গণপূর্ত হইতে তৈয়বা বেগম লীজ গ্রহণ করেন। তাহা হইতে আমমোক্তারনামামূলে নাছির উদ্দীন মোহাম্মদ মুহসীন স্থলাভিষিক্ত হয়। নাছির উদ্দীন মোহাম্মদ মুহসীন কর্তৃক বর্ণিত প্লটে ভবন নির্মাণের নিমিত্তে এক্সিলেন্স প্রপার্টিজ লিমিটিটেডকে রেজিষ্ট্রার্ড চুক্তিনামা ও আমমোক্তারনামামূলে ডেভেলপার নিয়োগ করেন। এক্সিলেন্স প্রপার্টিজ লিমিটেড ভবনের ৪২ (বিয়াল্লিশ) টি ফ্ল্যাটের আন্দর তাহাদের প্রাপ্ত ৬৫% সমপরিমাণ ২৯ (ঊনত্রিশ)টি ফ্ল্যাট রেজিষ্ট্রার্ড আমমোক্তারনামার ক্ষমতাবলে বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিক্রয় করিয়া দেন। যাহা গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন। কিন্তু এক্সিলেন্স প্রপার্টিজ লিমিটেড ভবনের নির্মাণকাজ অসমাপ্ত রাখেন। ফলে কক্সবাজার সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের গত ০৪-০৫-২০১৬ ইংরেজি তারিখের ১৭৫৬ নং রেজিষ্ট্রার্ড দলিলমূলে নাছির উদ্দীন মোহাম্মদ মুহসীন কর্তৃক ২৯ (ঊনত্রিশ) টি ফ্ল্যাট মালিকদের ফ্ল্যাট রেজিষ্ট্রি প্রদানের চুক্তি করতঃ এক্সিলেন্স প্রপার্টিজ লিমিটেড হইতে বহুতল ভবনের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করণের অঙ্গীকারপূর্বক ১০ (দশ) বছরের জন্য হোটেল পরিচালনার দায়িত্ব নেন। অতঃপর নাছির উদ্দীন মোহাম্মদ মুহসীন কর্তৃৃক কোনো নির্মাণ কাজ না করিয়া জনৈক সাইদুল ইসলাম, কায়ছার হামিদ গংকে দায়িত্ব দিলেও তাহারা সম্পন্ন করিতে না পারায় সর্বশেষ ২২-০৬-২০১৭ ইংরেজি তারিখের ৮৪২-এ নম্বর দলিলমূলে বহুতল ভবনের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তকরণ ও ব্যবসা পরিচালনা করার নিমিত্তে রফিকুল ইসলাম সহিত ১০ (দশ) বছরের জন্য ৩০-০৬-২০২৭ ইংরেজি তারিখ পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হন। রফিকুল ইসলাম কর্তৃক ২৫-০১-২০১৮ ইংরেজি তারিখের ২২ (০১) নং আমমোক্তারনামামূলে আমার মক্কেলকে আমমোক্তার নিয়োগ করেন। তৎমতে ডেভেলপার কাম অপারেটর চুক্তির আলোকে আমমোক্তারনামা দলিলমূলে আমার মক্কেল স্বত্বাধিকারী হন প্রায় ২-২/১ (আড়াই) কোটি টাকারও অধিক বিনিয়োগে ভবনের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করণ সাপেক্ষে ‘হোটেল পিংকশোর’ নামকরণে হোটেলটি চলমান ও দায়বদ্ধ রহিয়াছে। যাহা গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন আছে। বর্তমানে আমার মক্কেল অবগত হইয়াছেন যে, বর্ণিত হোটেল নাছির উদ্দীন মোহাম্মদ মুহসীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নিকট অবৈধ হস্তান্তর করার পাঁয়তারায় লিপ্ত। উপরোক্ত মতে একদিকে হোটেলের সিংহভাগ ২৯ (ঊনত্রিশ) টি ফ্ল্যাট বিক্রিত-চুক্তিবদ্ধ, অন্যদিকে সম্পূর্ণ হোটেল আমার মক্কেলের নিকট চুক্তি ও দায়বদ্ধ। ফলে দায়মুক্তি না নিয়া যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উক্ত নাছির উদ্দীন মোহাম্মদ মুহসীনের সহিত কোনো হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় আবদ্ধ হন তবে তাহা বেআইনী, অবৈধ, অকার্যকরী ও এখতিয়ারবিহীন বলিয়া গণ্য হবে। তৎজন্য আমার মক্কেল কোনোভাবেই দায়ী থাকিবে না।

উল্লেখ্য, আমার মক্কেল কর্তৃক বর্ণিত হোটেল সংক্রান্তে উক্ত নাছির উদ্দীন মোহাম্মদ মুহসীনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রহিয়াছে।

নিবেদক
আবু হায়দার ওসমানী
এডভোকেট
জেলা ও দায়রা জজ আদালত, কক্সবাজার।