জসিম উদ্দিন টিপু, টেকনাফ :
টেকনাফে মাদক, চোরাচালানের আগ্রাসন এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করে জিরো টলারেন্স নীতি অর্জনের লক্ষ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অব্যাহত অভিযানে এই পর্যন্ত ১শ ৯৪ জন মাদক কারবারী ও সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। অনাকাংখিত একটি হত্যাকান্ডের পর মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান থমকে যাওয়ায় মাদক কারবারী এবং সন্ত্রাসীরা নিজ নিজ এলাকায় ফিরে এসে আবারো বিভিন্ন কৌশলে মাদক এবং সন্ত্রাসী অপতৎপরতায় লিপ্ত থাকায় মাদক চোরাচালান এবং খুনাখুনির ঘটনা বাড়ছে। মাদক চোরাচালান জিঁইয়ে থাকার কারণ হিসেবে টেকনাফের ৭টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ না থাকা, চিহ্নিত কিছু মাদক গডফাদার ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকা, বিশাল জনসংখ্যার একটি অংশ অভাবের তাড়নায় মাদক কারবারীদের বাহক হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া,স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী এবং প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ার কারণে এই জনপদকে এখনো মাদকমুক্ত করা যাচ্ছেনা বলে বিভিন্ন মহল মনে করছেন।

তথ্য পর্যালোচনা করে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২০মার্চ টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়া মাদক ও চোরাচালানের অনুপ্রবেশ টেকাতে বিজিবি, র‌্যাব সদস্যদের হাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত এবং আলোচিত মাদক কারবারী নুর মোহাম্মদ নিহতের মাধ্যমে ক্রসফায়ার শুরু হয়।
এরপর ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বিজিবির হাতে কায়ূকখালী পাড়ার মৃত জয়নাল আবেদীন সওদাগরের পুত্র জাহেদ হোছন জাকু (৪৫) ও নাইট্যং পাড়ার মৃত শামসুল আলমের ছেলে ফরিদুল আলম (৪৮) নিহত হন।
এই অভিযানের ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ২৫মে ভোররাতে সাবরাং ইউপির ২নং ওয়ার্ড মেম্বার ও আলীর ডেইলের মৃত নজির আহমদ মেম্বার পুত্র ও সাবেক ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আক্তার কামাল (৪০), ২৬মে টেকনাফ কায়ুকখালী পাড়ার মৃত আব্দুস সাত্তারের পুত্র কমিশনার একরামুল হক (৪৬), ৩০ সেপ্টেম্বর হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ার আজিজুল হক মিস্ত্রীর পুত্র মোঃ ইমরান প্রকাশ পুতিয়া মিস্ত্রী (৩৫), ২৪ অক্টোবর হ্নীলার পূর্ব লেদার মৃত লাল মিয়ার পুত্র মুফিজ আলম (৩২),২৬অক্টোবর হ্নীলা উলুচামরীর কালা মিয়া প্রকাশ কালুর পুত্র মোঃ হাসান ওরফে হামিদুল ইসলাম প্রকাশ লালাইয়া (৩৫), ২৮অক্টোবর টেকনাফ পৌর এলাকার উত্তর জালিয়া পাড়ার মোহাম্মদ হাশিমের পুত্র হাসান আলী (৪৩), নাজির পাড়ার নুরুল আলমের পুত্র মোঃ কামাল উদ্দিন (২৮), ১নভেম্বর সাবরাং কচুবনিয়ার জালাল আহমদ বৈদ্যের পুত্র মোঃ হেলাল (১৮), কোয়াংছড়ি পাড়ার মিয়া হোছনের পুত্র মোঃ মিজান (১৫), ২নভেম্বর হ্নীলা পূর্ব সিকদার পাড়ার মৃত তোফাইল আহমদের পুত্র সাদ্দাম হোসেন (৩৫), সাবরাং পূর্ব সিকদার পাড়ার সোলতান আহমদের পুত্র সাদ্দাম হোসেন (৩০), ৭ নভেম্বর হোয়াইক্যং নয়াবাজারের পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়ার মৃত মোবারক আলীর পুত্র আলী হোসেন প্রকাশ সোনা মিয়া কোম্পানী (৩৮), ১০ নভেম্বর হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ার ছৈয়দ আহমদ ছৈয়তুর পুত্র জিয়াউল বশির শাহীন (৩২), ১১নভেম্বর অজ্ঞাত ২ রোহিঙ্গা, ১৮ নভেম্বর দক্ষিণ লেঙ্গুর বিলের মৃত আব্দুল কাদেরের পুত্র ফরিদ আলম (৩০) প্রকাশ আলম, ২০ নভেম্বর র‌্যাব-৭ এর হাতে ময়মনসিংহ সদরের কোতোয়ালী পাড়ার আবু চৌধুরী মোড়ের আব্দুল হাকিমের পুত্র আশিক জাহাঙ্গীর (৪০), নারায়নগঞ্জ তেল্লাপাড়া বড় জামে মসজিদ এলাকার আব্দুল বারেকের পুত্র আরিফ হোসেন (৩১), ২১ নভেম্বর সাবরাং কচুনিয়ার আব্দুর রহিমের পুত্র নজির আহমদ প্রকাশ নজির ডাকাত (৩৮),হ্নীলা জাদিমোরা নয়াপাড়ার আমির হামজার পুত্র আব্দুল আমিন (৩৫),২৫নভেম্বর নাজির পাড়ার হাজী নুরুল ইসলামের পুত্র জিয়াউর রহমান (৩৪), ২৯ নভেম্বর সাবরাং আলীর ডেইলের মৃত ছিদ্দিক আহমদের পুত্র মোহাম্মদ হানিফ (২৮), ১ ডিসেম্বর বাহারছড়ার শাপলাপুরের মোহাম্মদ হোছনের পুত্র হাবিব উল্লাহ (৩০)সহ মোট ২৬জন নিহত হয়।

২০১৯ সালে ৪ জানুয়ারী চট্টগ্রামের পশ্চিম আমিরাবাদের কামাল উদ্দিনের পুত্র সাজ্জাদ হোসেন ইমরান (২৫), ৫ জানুয়ারী ঊনছিপ্রাং পুটিবনিয়া ক্যাম্পের মৃত আবুল কাশেমের পুত্র খাইরুল আমিন (৩৫), হাবিবুর রহমান প্রকাশ হাবির পুত্র আব্দুল্লাহ (৪০), ৮জানুয়ারী বাগেরহাট বড় বাড়ীয়ার মোঃ ইব্রাহীম শেখের পুত্র মোঃ সাব্বির হোসেন (২৫),ঢাকা সাভার নগর কুন্ডার আব্দুল মতিনের পুত্র হাফিজুর রহমান (৩৫), ১০ জানুয়ারী সাবরাং কাটাবনিয়ার আব্দুর রহমানের পুত্র আবুল কালাম (৩৫),কচুবনিয়ার মৃত এনাম শরীফের পুত্র আব্দুর রশিদ প্রকাশ ডাইলা (৪৭), ১২ জানুয়ারী মন্ডুস্থ নাগাকুরার সিকদার পাড়ার মোহাম্মদ আলমের পুত্র আয়াজ উদ্দিন (২৭), বদিউর রহমানের পুত্র ছৈয়দুল আমিন (২৫), ২০জানুয়ারী টেকনাফ পৌর এলাকার উত্তর জালিয়া পাড়ার মৃত জাকির হোসেনের পুত্র মোস্তাক আহমদ মুছু, ২১জানুয়ারী হ্নীলা পূর্ব সিকদার পাড়ায় অবস্থানকারী মোহাম্মদ হোছনের পুত্র শামসুল আলম প্রকাশ বার্মাইয়া শামসু, ২৪ জানুয়ারী সাবরাং এলাকার বেলাল ও শাকের নামে ২জন, ২৮ জানুয়ারী হোয়াইক্যং মিনা বাজারের ছফর আলীর পুত্র মোঃ রফিক (৩০) ও ঝিমংখালীর ফরিদ আলমের পুত্র দেলোয়ার হোছন প্রকাশ রুবেল (২৫)সহ ১৫জন।
২০ ফেব্রæয়ারী নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের ২৬নং মোচনী ক্যাম্পের দ্বীন মোহাম্মদের পুত্র মোঃ জাফর আলম (২৬), ২২ ফেব্রæয়ারী নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পো মৃত হোসেন প্রকাশ লাল বুইজ্জার পুত্র ডাকাত নুরুল আলম (৩০), লক্ষীপুর জেলা সদর থানার শাকচর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র মোঃ বেলাল (২৫)সহ ৩জন।

১মার্চ টেকনাফ চৌধুরী পাড়ার আব্দুল জলিলের পুত্র নজির আহমদ ডাকাত (৩০),হোয়াইক্যং নয়াপাড়ার হাজী মোহাম্মদ জাকারিয়ার পুত্র গিয়াস উদ্দিন (২৯), বিজিবির হাতে টেকনাফ ডেইল পাড়ার কালা মিয়ার পুত্র আব্দুস শুক্কুর (৪৮),আব্দুস শুক্কুরের পুত্র মোঃ ইলিয়াছ (২৫), ১১মার্চ পূর্ব সাতঘরিয়া পাড়ার শাহ আলমের পুত্র আব্দুর রহমান (২৩), ১৪মার্চ অজ্ঞাত ১জন, ১৯মার্চ টেকনাফ চৌধুরীর পাড়ার মোঃ আব্দুল জলিলের পুত্র ইয়াছিন আরাফাত (২৫), ২২মার্চ নাজির পাড়ার এজাহার মিয়ার পুত্র নুর মোহাম্মদ (৪০),দক্ষিণ জালিয়া পাড়ার আব্দু শুক্কুরের পুত্র নুরুল আমিন, ২৬ মার্চ নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের মোহাম্মদ জলিলের পুত্র মোহাম্মদ আবু ছৈয়দ প্রকাশ সাদেক (৩৫), ২৭ মার্চ ভোররাত সাড়ে ৪টায় অজ্ঞাত ২ রোহিঙ্গা, ৩১মার্চ আলী আকবর পাড়ার মিয়া হোছনের পুত্র মাহমুদুর রহমান (২৮), হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়া মইন্যাজুমের নুরুল ইসলামের পুত্র মোহাম্মদ আবছার (২৫)সহ ১৪জন।
৪ এপ্রিল নয়াপাড়া ক্যাম্পের পীর মোহাম্মদের পুত্র হাশেম (৩৫), ৬এপ্রিল নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের আমির হোছনের পুত্র নুরুল আলম (২৩),এইচ বøকের ইউনুছের পুত্র মোঃ জুবাইর (২০), ইমাম হোসেনের পুত্র হামিদ উল্লাহ (২০), ১১এপ্রিল হোয়াইক্যং পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়ার আনু মিয়ার পুত্র আবুল কাশেম (৩২), ২০এপ্রিল হোয়াইক্যং পশ্চিম কাঞ্জর পাড়ার আব্দুর রহমানের পুত্র শাহাবুদ্দিন (৩২), ২১এপ্রিল নাইক্ষ্যংছড়ির কম্বনিয়া পাড়ার সিরাজুল ইসলামের পুত্র মহি উদ্দিন (২৬), ২২এপ্রিল গোদার বিলের মৃত মকবুল আহমদ ওরফে পুতুর ছেলে দিল মোহাম্মদ প্রকাশ দিলু (৩৬),২৪এপ্রিল লেঙ্গুরবিলের মৃত বদিউজ্জামানের পুত্র তালিকাভুক্ত ডাকাত মোস্তাক আহমেদ (৩৮)সহ ৯জন।

৫মে পুরান পল্লান পাড়ার আব্দুর রশিদের পুত্র মোঃ আব্দুল্লাহ (২৪), ৬মে রাত নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের বাঁচা মিয়ার পুত্র মোঃ আলম (৩৫),জাদিমোরা ক্যাম্পের আলী হোসেনের পুত্র মোহাম্মদ রফিক (২০), ১১মে টেকনাফ সদরের উত্তর নাজির পাড়ার সোলতান আহমদের পুত্র দুদু মিয়া (৩৮), ১৪মে অজ্ঞাত ২জন,১৫মে আচারবনিয়ার ফজল আহমদের পুত্র মোঃ সিরাজ ওরফে (২৭), ১৮মে শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রী পাড়ার নুরুল আমিন বল্লার পুত্র মোঃ ইব্রাহীম (৩২), ২৩মে নাটমোরা পাড়ার কাশেম আলীর পুত্র মোহাম্মদ হানিফ (৩৮), ৩১মে শীলবনিয়া পাড়ার ডাঃ হানিফের পুত্র সাইফুল করিম (৪৫)সহ ১০জন।
১জুন মিয়ানমার রাইম্যাবিলের সুলতান আহমদের পুত্র আব্দুল গফুর (৪০),টেকনাফ কেরুনতলীর মৃত শরীফ আহমদের পুত্র মোঃ সাদেক (২৩),৩জুন হোয়াইক্যং কাটাখালীর সাবেক মেম্বার গোলাম আকবরের পুত্র মুফিজুর রহমান প্রকাশ মফিজ (৪১),১০জুন অজ্ঞাত ১জন রোহিঙ্গা, ১৫জুন নায়ারনগঞ্জ জেলার বন্দর থানার লক্ষণঘোনার ফয়েজ আহমদের পুত্র মোঃ রাসেল মাহমুদ (৩৬), ১৬জুন কক্সবাজার চৌধুরী পাড়ার গবী সোলতানের পুত্র দিল মোহাম্মদ (৪২), মোঃ ইউনুছের পুত্র রাশেদুল ইসলাম (২২),চট্টগ্রাম আমিরাবাদ মাস্টার হাটের আবুল কাশেমের পুত্র শহিদুল ইসলাম (৪২), ২৩জুন টেকনাফ নাইট্যং পাড়ার মৃত রশিদ আহমদের ছেলে মোঃ রুবেল (২৩),কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাবিবুল্লাহর ছেলে ওমর ফারুক (১৯), ২৮ জুন হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ার (মন্ডল পাড়া) মৃত মাহমুদুর রহমান প্রকাশ বাইট্টা মাদুর পুত্র হাত কাটা আব্দুর রহমান (২৮) এবং আব্দুস সালাম (২৬)সহ ১২জন।
২জুলাই টেকনাফ সদর ইউপির ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার মৃত আবুল হাশিমের পুত্র মোঃ হামিদ প্রকাশ হামিদ মেম্বার প্রকাশ হামিদ ডাকাত (৪৫), ৩জুলাই সদর ইউপির ইসলামাবাদের নজির আহমদের পুত্র সলিমুল্লাহ (৩৫), ১১জুলাই নতুন পল্লান পাড়ার মৃত মকবুল আহমদের পুত্র আব্দুল মালেক (৩৮), ১৪জুলাই হোয়াইক্যং নয়াপাড়ার মৃত নজির আহমদের পুত্র মুফিদুল আলম প্রকাশ মংগ্যাইয়া (৪২), ১৭জুলাই পশ্চিম জাদিমোরার ছমি উদ্দিনের স্ত্রী হামিদা বেগম (৩২), ২বিজিবির হাতে যশোরের শুক্কর আলীর পুত্র জাবেদ মিয়া (৩৪),চাঁদপুরের রেজোয়ান সওদাগরের পুত্র আসমাউল সওদাগর (৩৫), ২১জুলাই হোয়াইক্যং পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়ার মৃত আনু মিয়ার পুত্র মোঃ হোছন (৩৯), ২৩ জুলাই বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোঃ ইসলামের ছেলে মোঃ কামাল (২২), হোয়াইক্যং মহেশখালীয়া পাড়ার আবু শামার ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান (২৩), ২৯ জুলাই সাবরাং লেজির পাড়ার বশির আহমদের পুত্র আব্দুর রহমান (৪২), রামুর খুনিয়া পালংয়ের পূর্ব গোয়ালিয়া পাড়ার কবির আহমদের পুত্র ওমর ফারুক (৩১),৩১ জুলাই হ্নীলা জাদিমোরার ছৈয়দ আলীর পুত্র মোঃ ইব্রাহীম (২০)সহ ১৩জন।
৩ আগষ্ট কুতুবদিয়ার নুরুচ্ছফা ডাকাতের পুত্র আয়ুব (৩৫), শাহজাহান বাদশাহর পুত্র জুনাইদ (৩২), টেকনাফ নাইট্যং পাড়ার আব্দুল গফুরের পুত্র ইয়াবা কারবারী মেহেদী হাসান (৩২), ৫ আগষ্ট হোয়াইক্যং নয়াবাজারের জলিল আহমদের পুত্র দেলোয়ার হোছন (৩০), উখিয়া কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প-২ এর রোহিঙ্গা নাগরিক মৃত হায়দার শরীফের পুত্র নুরুল ইসলাম (২৭), ৮ আগষ্ট পুরান পল্লান পাড়ার মৃত জলিল আহমদ প্রকাশ জানে আলমের পুত্র কবির আহমদ (৪২), কবির আহমদের স্ত্রী রুবি আক্তার (২৫), ১৬ আগষ্ট হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ার আনোয়ার হোছনের পুত্র মোঃ বাবুল (২৬), ২২আগষ্ট উখিয়া কুতুপালং ৭নং ক্যাম্পের মৃত সৈয়দ হোসেনের পুত্র মোঃ সাকের (২২), নয়াপাড়া মোচনী ক্যাম্পের মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র নুর আলম (৩০), ২৪ আগষ্ট জাদিমোরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সবির আহমদের পুত্র ডাকাত মোঃ শাহ (৩৮), বালুখালী ক্যাম্পে অবস্থানকারী আকিয়াব জেলার রাসিদংয়ের আব্দুল আজিজের পুত্র শুক্কুর, ২৬ আগষ্ট নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের মোঃ আমিরুল ইসলামের পুত্র মোঃ হাসান (২০)সহ ১৩জন।
১লা সেপ্টেম্বর জাদিমোরার মৃত রোহিঙ্গা কালা মিয়ার পুত্র নুর মোহাম্মদ (৩৪), ১৩ সেপ্টেম্বর এ/পি নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড ক্যাম্পের জমির আহমদের পুত্র মোঃ আব্দুল করিম (২৪), একই বøকের ছৈয়দ হোসেনের পুত্র নেছার আহমদ ওরফে নেছার ডাকাত (২৭), ১৫ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২৬ এর বাসিন্দা মৃত আলী আহমদের পুত্র ডাকাত হাবিব উল্লাহ (৪০), ১৯ সেপ্টেম্বর বালুখালী ১৭নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ফজল আহমদের ছেলে মোঃ জামিল (২০), নবী হোসেনের ছেলে মোঃ আছমত উল্লাহ (২১), টেকনাফ বাহারছড়া নতুনপাড়ার মৃত মোঃ আলীর ছেলে মোঃ রফিক (২৪), ২২ সেপ্টেম্বর লেদা ক্যাম্পের মৃত কাদের হোছনের পুত্র দিল মোহাম্মদ (৩২),দিল মোহাম্মদের স্ত্রী জাহেদা (২৭), ২৭ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মন্ডু থানার বুড়া সিকদার পাড়ার মোস্তাকের পুত্র দিল মোহাম্মদ (২১), দিল মোহাম্মদের পুত্র দোস্ত মোহাম্মদ (১৯), ৩০ সেপ্টেম্বর মন্ডুর নাগাকুরাস্থ বুড়া সিকদার পাড়ার মৃত হারুনুর রশিদের পুত্র মোঃ জামাল (২৭), জাফর আলমের পুত্র মোঃ ইউনুছ (২১)সহ ১৩জন।
১অক্টোবর মোঃ আমিন ও হেলাল উদ্দিন সুমন, ১২ অক্টোবর নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত কালা মিয়ার পুত্র আব্দুর রহমান ওরফে জাকারিয়া ডাকাত (৪৬), ১৭অক্টোবর হোয়াইক্যং কাঞ্জরপাড়ার শামশুল আলমের পুত্র জিয়াবুল হক প্রকাশ বাবুলইল্যা ডাকাত (৩০),বাহারছড়া শীলখালীর কেফায়েত উল্লাহর পুত্র আজিম উল্লাহ (৪৬), ১৮ অক্টোবর নিহতরা কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের সোলতান আহমদের পুত্র মোঃ আবুল হাসিম (২৫) এবং বøক-সি/১ এর আবু ছিদ্দিকের পুত্র নুর কামাল (১৯), ২০ অক্টোবর মধ্যম কাঞ্জর পাড়ার মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র মোঃ রহিম উদ্দিন (৩৭) ওরফে রফিক, সদর ইউপির ডেইল পাড়ার ছালেহ আহমদের পুত্র মোঃ আজিজ (২৪), ২৩ অক্টোবর হোয়াইক্যং চাকমারকুলের কাদির হোছনের পুত্র মোঃ সেলিম (৩৪) প্রকাশ ছলিমসহ ১০জন।
১৪ নভেম্বর নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ বøকের মৃত বাকের আহমদের পুত্র মাহমুদুল হাসান (৪১), ১৫ নভেম্বর জাদিমোরা বৃটিশ পাড়ার পশ্চিমের শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থানকারী মোতালেবের পুত্র নুর কবির (২৮), ২৮ নভেম্বর হ্নীলা উলুচামরীর মৃত হায়দর আলীর পুত্র মোঃ উল্লাহ ওরফে সোনা মিয়া (৪৫)সহ ৩জন।
৭ডিসেম্বর মোঃ ছিদ্দিক, ১০ডিসেম্বর হ্নীলা জাদিমোরার আব্দুস সালামের পুত্র ঈমাম হোসেন (২৫), ১৪ডিসেম্বর হ্নীলা রঙ্গীখালীর গাজী পাড়ায় বসবাসরত নয়াবাজারের মৃত দিল মোহাম্মদের পুত্র বার্মাইয়া নুর হাফিজ (৩২), সব্বির আহমদের পুত্র মোঃ সোহেল (২৭), ১৯ ডিসেম্বর লেদা ২৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আব্দুস সালামের পুত্র আব্দুল করিম (৩৮), ২৪ ডিসেম্বর হ্নীলা জাদিমোরা জুম্মা পাড়ার মোঃ ছিদ্দিকের পুত্র মোঃ রুবেল (২২), ৩১ ডিসেম্বর পশ্চিম লেদা নুর আলী পাড়ার ছৈয়দুল ইসলামের পুত্র ডাকাত আনোয়ার সলিম (৩২)সহ ৭জন। ২০১৯সালে মোট ১২২জন নিহত হয়েছে।
২০২০ সালের ৫ জানুয়ারী হোয়াইক্যং পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়ার মৃত নুর সালামের স্ত্রী ছমুদা বেগম (৪০), ১৫ জানুয়ারী কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের হোছাইন শরীফের পুত্র আবুল হাশিম (৩০), শামসুল আলমের পুত্র মোঃ আইয়ুব (২৪), ১৯ জানুয়ারী কুতুপালং ২নং ক্যাম্পের মোঃ জামাল হোসনের পুত্র মোঃ আয়াস (২৫), ২৪ জানুয়ারী উপজেলার থাইংখালী ক্যাম্পে অবস্থানকারী ১জন অজ্ঞাত রোহিঙ্গা, ২৬ জানুয়ারী হোয়াইক্যং পূর্ব সাতঘরিয়া পাড়ার জালাল আহমদের পুত্র মোঃ নাসির ওরফে মুন্না (৩০), ৩১ জানুয়ারী বালুখালী ৮নং ক্যাম্পের মোঃ জাকেরের পুত্র মোঃ আব্দুল নাসির (২৮)সহ ৭জন।
৪ ফেব্রæয়ারী শালবাগান ক্যাম্পের মৃত মোঃ শফির পুত্র মোঃ ইলিয়াছ (৪০), ১০ ফেব্রæয়ারী লেদার মকতুল হোছনের পুত্র নুরুল আমিন, ২৩ ফেব্রæয়ারী নোয়াখালী জুম্মা পাড়া মৃত হাকিম আলীর পুত্র আব্দুস ছালাম (৩০)সহ ৩জন।
২মার্চ অজ্ঞাত ৮জন রোহিঙ্গা ডাকাত, ৬মার্চ বিকাল নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সিরাজুল ইসলামের পুত্র অজি উল্লাহ ডাকাত (৩০), ১১মার্চ রামু উমখালীর আব্দু শুক্কুরের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৮) ওরফে ডিবি সাইফুল ও হ্নীলা পশ্চিম লেদার নুর আহমদের ছেলে নুর কামাল (৩৪) ওরফে সোনাইয়া, ২৮মার্চ অজ্ঞাত (১৮,১৯ ও ২১ বছর বয়সী) ৩জন, ২৮মার্চ হোয়াইক্যং তুলাতলীর আবুল বশরের পুত্র মুসা আকবর (৩৬)সহ ১৫জন।
৬এপ্রিল টেকনাফ পুরান পল্লান পাড়ার সোলতান আহমদের পুত্র মাহমুদ উল্লাহ (২৫), হোয়াইক্যং ঝিমংখালীর জাফর আলীর পুত্র মিজান (২৪), ১৯ এপ্রিল সাবরাং নয়া পাড়ার জেবর মুল্লুকের পুত্র জাফর আলম (৩০)সহ ৩জন।
৬মে রঙ্গিখালী মাদ্রাসা পাড়ার মৃত আব্দুল মজিদ ওরফে ভুলাইয়্যা বইদ্যের পুত্র নুরুল আলম (৪০), ছৈয়দ আলম (৩৫), শব্বির আহমদের পুত্র আব্দুল মোনাফ ওরফে মইন্যার (২০), ১৬মে সদর ইউপির মহেশখালীয়া পাড়ার সাবেক মেম্বার নুরুল ইসলামের পুত্র আরিফুল ইসলাম (২২)সহ ৪জন।
২৪ জুন রঙ্গিখালী লামার পাড়ার মৃত সোলেমানের পুত্র ঈমান হোছন ওরফে ইমন (৩৬)সহ ১জন।
৩জুলাই মহেশখালীয়া পাড়ার ফজল আহমদের পুত্র আবুল কাশেম (৩২), ৬জুলাই কুতুপালং ৫নং ক্যাম্পের মোঃ শফির পুত্র মোঃ আলম (২৬), ২নং বালুখালী ১৮নং ক্যাম্পের মোঃ এরশাদ আলীর পুত্র মোঃ ইয়াছিন (২৪), ৭জুলাই হ্নীলা মৌলভী বাজারের মৃত সোলতান আহমদ ওরফে চামড়া বাদশাহর পুত্র সাদ্দাম হোসেন (২০), হোয়াইক্যং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ার মৃত হাজী আলী আহমদের পুত্র আব্দুল জলিল ওরফে গুরা পুতুইক্কা (৩০), ২৪ জুলাই কুতুপালংয়ের কালা মিয়ার পুত্র মৌলভী বখতিয়ার ওরফে বখতিয়ার মেম্বার (৫৫),কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইউছুপ আলীর পুত্র মোঃ তাহের (২৭), বালুখালী ১নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা হাবিব উল্লাহর পুত্র মোঃ ফেরদৌস (৩০), একই ক্যাম্পের বাসিন্দা মৃত ছৈয়দ আহমদের পুত্র মোঃ আব্দুস সালাম (৩৫), ২৮জুলাই নয়াবাজার পূর্ব সাতঘরিয়া পাড়ার নুর আহমদের পুত্র মোহাম্মদ ইসমাঈল ওরফে ইমাইন্যা (২৫), পূর্ব মহেশখালীয়া পাড়ার মৃত হাকিম আলীর পুত্র মোঃ আনোয়ার (২৪), মৃত আব্দুস সালামের পুত্র নাছির (২৩) এবং হোয়াইক্যং আমতলী ঘোনা পাড়ার আব্দুল মালেকের পুত্র আনোয়ার হোসেন (২৫) সহ ১৩জন।
সর্বশেষ ৩১ জুলাই অব: মেজর সিনহা মোঃ রাশেদ খান হত্যাকান্ডের পর সারাদেশে পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান নিয়ে হৈ চৈ সৃষ্টি হলে থেমে যায় অভিযান। তখন দেশ-বিদেশ এবং পাহাড়ি জনপদে আশ্রয় নেওয়া মাদক কারবারী, সন্ত্রাসী, ডাকাত ও অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা স্ব স্ব এলাকায় ফিরে আসে। এদের মধ্যে অনেকে স্বাভাবিক দিনযাপন করার চেষ্টা করলেও বেশীর ভাগই আবারো পুরনো অপতৎপরতায় লিপ্ত থেকেছে। গত মাসে আইন-শৃংখলা বাহিনীর অভিযানে বিপূল পরিমাণ ইয়াবাসহ আটকের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা নিয়ে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতির পাশাপাশি নিরীহ সাধারণ মানুষ আতংকে দিনযাপন ব্যাহত হচ্ছে।
এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার নবাগত অফিসার্স ইনচার্জ মোহাম্মদ হাফিজ বলেন,নতুনভাবে ইয়াবা কারবারীদের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। মাদকসহ যাবতীয় অপরাধ দমনে শীঘ্রই সাঁড়াশি অভিযান শুরু করা হবে। এরই মাধ্যমে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্সনীতি অর্জন সম্ভব বলে মনে করেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা জানান, এই সীমান্ত জনপদে মাদক দমনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ জোন কাজ করে যাচ্ছে। এই জনপদে মাদক দমন করতে হলে রোহিঙ্গা ইস্যু একটি ফ্যাক্টর। আগামীতে যৌথ টাস্কফোর্সের মাধ্যমে মাদক বিরোধী অভিযান জোরদার করা হবে। র‌্যাব-১৫ (সিপিসি-১) টেকনাফ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এএসপি বিমান চন্দ্র কর্মকার বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান জোরদার থাকবে। সুত্র: দেশ বিদেশ