চকরিয়া সংবাদদাতা:
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় জমজমাট চলছে ইয়াবা ব্যবসা। পাইকারী ও খুচরা দু’টোই মিলছে সেখানে। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাদকের হাট। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও তাদের নিকট অসহায়। অনেকটা দায়সারা ভাব। শক্তিমানরা চলছে মাদক কারবারীদের মাসোহারায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড রংমহল নামের এলাকার অবস্থান। মাদক সেবন ও পাচারে এটি পুরো উপজেলার মধ্যে প্রসিদ্ধ। পাইকারি ইয়াবা ব্যবসায়ীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে রহস্যজনক কারণে ঘুরেফিরে তারা আবার এ ব্যবসা চালাচ্ছে। ক্ষমতাবান ও প্রভাবশালী লোকজন এসব ব্যবসায়ীদের সাথে জড়িত থাকার আশংকা করা হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ডের শাহ সুজাপুর এলাকার লোকজনের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দেয়া তথ্য মতে, শাহ্ সুজাপুর নামক এলাকার একটি আধাপাকা বাড়ি রয়েছে। যে বাড়ির প্রধান কর্তা তথা স্বামী-স্ত্রী দুইজনই মাদক কারবারী। যা এলাকায় ওপেন সিক্রেট!
এলাকাবাসী জানিয়েছে, চিহ্নিত সেই বাড়িতে মেলে পাইকারী-খুচরা ইয়াবা। এই সুবাদে মাদকে জড়িয়ে পড়ছে কিশোর, যুবক ও শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, ওই বাড়িতে যারা আসা-যাওয়া করছে তাদের সর্বাধিক সংখ্যক খুচরা ইয়াবা ব্যবসায়ী।
প্রতিদিন বিকেল ৪টার পর থেকে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাদের আসা-যাওয়া। রাত ১০-১১টা পর্যন্ত এ অবস্থা চলে। এখান থেকে পাইকারি কিনে গ্রামের অলিগলিতে ইয়াবা বিক্রি করবে।
এসব পাইকারী ইয়াবা ব্যাবসায় জড়িত রয়েছে ওই এলাকার মোহাম্মদুল, মঈনুদ্দিন ও তার স্ত্রী। ওই এলাকার ইয়াবা ব্যবসায়ী নুরুল আমিন ইতোপূর্বে পটিয়ায় ১ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। বর্তমানে সে জেল হাজতে রয়েছে। কিন্তু অন্যান্য ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিব্যি চালিয়ে তাদের ইয়াবার জমজমাট বাণিজ্য। ফলে মরন নেশা ইয়াবার ছোবল থেকে রেহাই পাচ্ছে না এলাকার যুব সমাজ। ধ্বংস হচ্ছে ওঠতি বয়সের শিক্ষার্থীসহ কিশোর ও যুবকরা।
মাদকের ছোবল থেকে এলাকাকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার জসিম উদ্দিন বলেন, ওই এলাকায় ইয়াবা বেচাকেনার খবর বিভিন্ন জনের কাছ থেকে আমি শুনেছি। তাদের অনেকবার ধরার চেষ্টা করেছি কিন্তু সম্ভব হয়নি। এখনো আমাদের প্রচেষ্টা চলছে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় যেকোনো সময় তাদের আটক করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।