রাসেদুল ইসলাম মাহমুদ:
কক্সবাজারের উখিয়া এনজিওর প্রতারণা ও স্থানীয়দের চাকুরিতে অগ্রাধিকার এবং শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে নিরাপদ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়েছে৷
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর), পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী স্টেশন প্রাঙ্গনে অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন এর সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহবায়ক লায়ন ইঞ্জিঃ রবিউল হোসাইন। সভায় সংগঠনের সদস্যসহ হাজারো সাধারণ মানুষের ঢল নামে৷
আলোচনা সভায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরি৷
প্রধান অথিতির বক্তব্যে কাবেরী বলেন, প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষকে সমন্বয় করে কাজ না করলে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ হবেন৷
কাবেরী অারো বলেন, পালংখালীর মানুষ রোহিঙ্গার প্রচুর চাপে রয়েছে, যেখানে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গার বসবাস৷
বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এম.এ মনজুর,সাধারণ সম্পাদক ফজল কাদের চৌধুরী ভুট্টো, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কক্সবাজার জেলা শাখার সাবেক সফল সভাপতি আলি আহমেদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আইনজীবী এড. এম এ মালেক, আইনজীবী এড. সাইফুল্লাহ খালেদ, কক্সবাজার হাশেমিয়া মাদ্রাসার অধ্যাপক ছৈয়দ নূর, বালুখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু সবুজ সেন ও বালুখালী ১নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আব্দুর রহিম রাজা।
সভায় বিশেষ অথিতির বক্তব্যে সাবেক জেলা সভাপতি আলি আহমেদ বলেন, মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্যাতনের মুখে পালিয়া আসা উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করে আসছে। বিপুল জনসংখ্যার চাপে স্থানীয় জনগৌষ্ঠীর স্বাভাবিক জীবন যাত্রাও কর্মসংস্থানের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
খুব অল্প সময়ের মধ্যে স্রোতের মত আসা রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় জনসাধারণের জীবন নানা দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্থ।
বক্তব্য রাখেন, কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তাহিজুল আক্তার জুয়েল, কামাল হোসেন, জসীম উদ্দিন, নূরুল কবির রানা, শাহাদাত হোসেন, রিদওয়ানুল আজিজ, এসএমজি মুফিজ উদ্দিন, নূরুল আবছার সাজুসহ প্রমূখ।
আলোচনা সভায় অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি ৭ দফা দাবি উল্লেখ করেন –
(১) ইউএন ( জাতিসংঘ) অর্গনাইজেশন বা এনজিওগুলো তাদের বাজেটের ৩০ শতাংশ স্থানীয়দের উন্নয়নে ব্যয় করার যে ঘোষণা দিয়েছে সেই অনুযায়ী কাজের সঠিক বাস্তবায়ন এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
(২)সরকারের নির্দেশনা অনুসারে রোহিঙ্গা প্রোগ্রামে এনজিওর চাকুরিতে স্থানীয় জনগণের যে ৭০% কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ নং পালংখালী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য তা নিশ্চিত করতে হবে।
(৩) নিয়োগ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি মনিটরিং সেল করতে হবে।
(৪) মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য রোহিঙ্গাদের উৎসাহিত করতে এনজিওদের বিশেষ কর্মসূচি নিতে হবে।
(৫) স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কোটায় অথবা আওতাধীন করে তার ম্যাপ/ সীমানা নির্দিষ্ট করতে হবে।
(৬) এনজিওতে চাকরির জন্য প্রতিটি অফিসে সরাসরি আবেদন গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে।
(৭) ইউনিয়নের স্থানীয় জনসাধারণের জন্য আধুনিক মানের হাসপাতাল নির্মাণ করতে হবে এবং ইমার্জেন্সি রোগীর জন্য ২৪ ঘণ্টা ফ্রি এম্বুলেন্স সার্ভিসের ব্যবস্থা করতে হবে।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, এদের চাপে কৃষি জমি,বন,সার্বিক নিরাপত্তা, শ্রমবাজার এবং শিক্ষাসহ স্থানীয় মানুষের জীবন নানা দিক থেকে চরম ক্ষতিগ্রস্ত।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।