বার্তা পরিবেশক:
সদর উপজেলার পিএমখালীর আলোচিত হুমায়ুন হত্যা প্রচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মতি বাহিনীর প্রধান কেতা মতিকে কারাগারে পাঠিয়েছে অতিরিক্ত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত । কেতা মতির কারাগারে যাওয়ার খবরে এলাকায় মিষ্টি বিতরন করে আনন্দ প্রকাশ করে হামলার শিকার হুমায়ুনের স্বজনরা।

গত ৪ জুলাই পিএমখালীর মাছুয়াখালী বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে মতি বাহিনীর নেতৃত্বে ৮/৯ সন্ত্রাসী ধাওনখালীর মৌলানা কবির আহমদের পুত্র হুমায়ুন কবিরকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে হাত পা ভেঙে দেয় এবং তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল এবং টাকা ছিনিয়ে নেয়। ঐ সন্ত্রাসীরা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে হুমায়ুনকে মৃত ভেবে গুলি ছুটতে ছুটতে বীরদর্পে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন অর্ধমৃত অবস্থায় হুমায়ূনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় কক্সবাজার মডেল থানায় মতি বাহিনীর প্রধান মতিউল ইসলাম সহ আরও ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নম্বর জিআর ৫২০/২০।

এই মামলার অপর অপর আসামিরা হলো মাছুয়াখালী নুসরাত আলিফা আর মৃত শফিউল আলমের পুত্র তাহেরুল ইসলাম ওরফে আমির তাহের,আজহার, শেখাউল, সাইফুল এবং নুনিয়াছড়ার আশেক। উত্ত সন্ত্রাসীরা পিএমখালীর বিভিন্ন এলাকায় দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি, ডাকাতি এবং ভাড়াটে খুনি হিসেবে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিলে। তাদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার মডেল থানায় এবং বিভিন্ন থানায়১৩ টি মামলা রয়েছে। তারা স্থানীয় এলাকাবাসী কে জিম্মি করে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলে টাকা আদায় করে আসছিল। লোকজন উক্ত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা না হয় তাহলে যে কোনো মুহূর্তে খুনের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। প্রশাসন যদি প্রচেষ্টা চালায় তাদের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে১৩ টি মামলা। বেশিরভাগ মামলায় তাদের ওয়ারেন্ট রয়েছে। মামলাগুলো হল ২৮০/১১, ১৯৬/০২, ২৩৮/০১, ১৪৯/১১,৭৮/০২,৪৭৭/০২,২৫৩/০৯,৩৫১/০৯, ৫৯৭/১১, ২৯৬/২০, ১১২/০৩, ২৫৫/ ১৩ এবং সবশেষ ৫২২/২০।এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে হুমায়ুনের উপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্র, মোটরসাইকেল উদ্ধার এবং অপরাপর আসামীদের গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।