প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

আইনগত সহায়তা পরিসেবা সরবরাহের জন্য আইনী সহায়তা কমিটির সদস্যদের সাথে অ্যাডভোকেসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায়  ৬০জনের বেশি অংশগ্রহণকারি নিয়ে “অ্যাডভোকেসি বৈঠক ” সম্পন্ন করে জেলা উপকূলীয় পল্লী উন্নয়ন পরিষদ( জপপ্)। বাচার অধিকারের মধ্যে নিজেকে সরকারি প্রদত্ত সব সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জেনে আদায় করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন বৈঠকে আলোচকগণ।

আজ  ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় উখিয়া উপজেলা জালিয়া পালং ইউনিয়নের সম্মেলন কক্ষে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন সভাপতিত্বে তিনি নিজেই অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন। জেলা উপকূলীয় পল্লী উন্নয়ন পরিষদের( জপপ্) প্রধান নিবার্হী নুরুল আমিন সিদ্দিক সংস্থার উপজেলা সমন্বয়কারী জাহেদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সেল কলেজের অধ্যক্ষ জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম, জালিয়াপালং ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার, মোহাম্মদ রফিক উল্লাহ,সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য জুলেখা বেগম,ইউপি সদস্য আনোয়ারা বেগম, সমাজকর্মী শফিউল আলম প্রমুখ।

সরকারি কলেজে আইন সহায়তা প্রাপ্তির উপর বিশেষ বক্তব্য বলেন, সরকার আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ অর্থ সামাজিক কারণে বিচার পেতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী আইন সহায়তা প্রদান আইন ২০০০”এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সংস্থা কর্তৃক সময় সময় চিহ্নিত আর্থিকভাবে অসচ্ছল সহায়-সম্বলহীন নানাবিধ আর্থসামাজিক এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি জেনি আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে অধিকার প্রতিষ্ঠার মামলা পরিচালনায় অসমর্থ। এই পর্যায়ে সহায়তা করতে জেলা আইনগত সহায়তা কমিটি আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০ শ্রম আইনের মাধ্যমে অসহায় ও দরিদ্র জনগণকে সরকারি কলেজে আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য সংস্থার অধীনে দেশের ৬৪ টি জেলায় জেলা আইনগত সহায়তা কমিটি রয়েছে এ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে সংশ্লিষ্ট জেলার মাননীয় জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং সদস্য সচিব হিসাবে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করেন। বক্তারা আরো জানান যে, আইনগত সহায়তা প্রদানের কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক পূর্ণাঙ্গ রূপ দেয়ার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০” পাস করেন। আইনটি মুখবন্ধে বলা হয় আর্থিকভাবে অসচ্ছল সহায়-সম্বলহীন নানা বিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচার প্রার্থী জনগণকে আইনগত সহায়তা। প্রদান কল্পে আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে। তন্মধ্যে
অসচ্ছল আর্থিকভাবে অসচ্ছল ব্যক্তি যাহার বার্ষিক গড় আয় সুপ্রিমকোর্টে আইনগত সহায়তা প্রদান করতে দেড় লক্ষ টাকা এবং অন্যান্য আদালতের ক্ষেত্রে এক লক্ষ টাকার উর্ধে নয় কোন ব্যক্তি। বাৎসরিক ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকার উর্ধে আয় করতে অক্ষম কোন মুক্তিযোদ্ধা। যাহার বাসিক কোন শ্রমিক যাহার বার্ষিক গড় আয় ১ লক্ষ টাকার উর্ধে নয়। কোনো শিশু শ্রম,মানব পাচার, ইত্যাদি তুলে ধরে সচেতনতা মূলক ফিট বেক আলোচনা করে সহজে অংশগ্রহণকারী বুঝতে সক্ষম হয়।

কক্সবাজার জেলা মানবাধিকার বিষয়ে এডভোকেসি এবং সচেতনতা বাড়াতে সিএসও/সিবিও দের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায়
অর্থায়নে ঃ – মানবাধিকার প্রকল্প, ইউএনডিপি,বাংলাদেশ।
সহায়তায় : – একলাব এবং কক্সবাজার এনজিও, সিএসও মানবাধিকার কোয়ালিশন বাস্তবায়নের জেলা উপকূলীয় পল্লী উন্নয়ন পরিষদ( জপপ্)।
অনুষ্ঠানের বিষয় ছিলো,
” আইনগত সহায়তা পরিসেবা সরবরাহের জন্য আইনী সহায়তা কমিটির সদস্যদের সাথে অ্যাডভোকেসি বৈঠক “