কাফি আনোয়ার :

পুলিশ আর জনগণ অবিচ্ছেদ্য। পুলিশ প্রজাতন্ত্রের সেবক হিসেবে রাষ্ট্রের শান্তিশৃঙখলা বজায় রেখে জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের কাছে দায়বদ্ধ।

সাংবিধানিকভাবে পুলিশ ও জনগণ এর সম্পর্ক এক অটুট ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত।
আবহমানকাল ধরে জনতা ও পুলিশের মধ্যকার সেই সম্পর্কের মাঝপথে সৃষ্টি হয়েছে অদৃশ্য অস্পৃশ্য মতলববাজ পেটি বুর্জোয়া শ্রেণী।
কাজের ভিন্নতায় সময়ের বিবর্তনে সেই সমাজের কেউ পরজীবি,কেউ টাউট, কেউ দালাল,কেউ বাটপার।
এই নামীয় চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য এক পর্যায়ে পুলিশের পোষাকী চরিত্রকে ছাপিয়ে মানবিক চরিত্রও গ্রাস করে সমাজে নিন্দা ও ভৎসনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
কক্সবাজার জেলার বৃহত্তম জনপদ ঈদগাঁহ’র পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র যা বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ থানা হিসেবে প্রশাসনিক যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। এর ভেতরবাহির কিংবা অন্দরমহল বা সদরমহলে দীর্ঘদিন ধরে জগদ্দল পাথরের মত সেবাপ্রত্যাশী জনগণের উপর চেপে বসে আছে বিশেষ শ্রেণীর দালাল।
চাপে কিংবা তাপে সময় কিংবা অসময়ে ওই টাউট বা দালালদের সংঘবদ্ধচক্রটি নিজের রুপ অবস্থান পরিবর্তন করে ভিন্ন ভিন্ন রুপধারণ করলেও আড়ালে এদের প্রভাবপ্রতাপে জিম্মি থেকেছে সাধারণমানুষ।
১৯৯৬ সালে ঈদগাঁহ পুলিশ ফাঁড়ি হিসেবে কক্সবাজার সদর থানা এই জনপদে পুলিশী কার্যক্রম শুরু করে। বিশেষ করে ঈদগাঁহ ও তার আশেপাশে ক্রমবর্ধমান চুরি,ডাকাতি,অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়, চাঁদাবাজি’সহ অপরাধমূলক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশপ্রশাসন বিকেন্দ্রিকরণের অংশ হিসেবে ওই পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপিত হয়েছে।
পরবর্তীতে ঈদগাঁহ এলাকার পরিধি, পরিস্থিতি,পরিবেশ ও জনসংখ্যা বিবেচনায় ২০০২ সালে এটি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে উন্নীত হয়। বাড়ে পুলিশের জনবল,কার্যপরিধি। সেই সাথে শক্তপোক্ত শিকড় গেঁড়ে বসে দালালনামীয় একধরণের পরজীবী।
পুলিশ তদন্তকেন্দ্র
ঈদগাঁহ বাজারের সদরগেটে (ঈদগাঁহ ইউপি ভবনে) থাকাকালিন দালাল শ্রেণীর পরজীবিগুলি প্রকাশ্যে জনসম্মুখে নির্লজ্জভাবে চালিয়েছে তাদের অপতৎপরতা।
পুলিশ আর দালাল অনৈতিক মোহাব্বতে সাধারণ মানুষ হয়েছে নিগৃহিত।
শাহ পেঠান ফকিরের মাজার এলাকায় নতুন ভবনে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থানান্তরিত হলে নতুনরূপে আবির্ভূত হয় ওই সংঘবদ্ধচক্রটি। প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে চলে এদের রহস্যময় কাযক্রম।
জনগণ মুক্তি চায়। চায় জনবান্ধব থানা পুলিশ।