সিবিএন ডেস্ক:
গত এক সপ্তাহে মহামারি করোনাভাইরাসে নমুনা পরীক্ষা, শনাক্তকৃত রোগী ও সুস্থ রোগীর সংখ্যা কমেছে। এ তিন ক্ষেত্রে সংখ্যা কমলেও বেড়েছে মৃত্যু।

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের এপিডেমিওলজিক্যাল ৩৮তম সপ্তাহের সঙ্গে ৩৯তম সপ্তাহের তুলনামূলক পার্থক্যে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

পরিসংখ্যান অনুসারে, ৩৮তম সপ্তাহে (১৩-১৯ সেপ্টেম্বর) ৯৪ হাজার ১৯৮টি নমুনা পরীক্ষায় ১১ হাজার ৩২৮ জন রোগী শনাক্ত হয়। এ সময়ে ১৬ হাজার ১১৫ জন সুস্থ হয়ে ওঠেন। মৃত্যু হয় ২১১ জনের।

৩৯তম সপ্তাহে (২০-২৬ সেপ্টেম্বর) ৮৯ হাজার ৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ হাজার ৫০১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এ সময়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন ১৪ হাজার ৩৯১ জন। মৃত্যু হয় ২১৬ জনের।

দুই সপ্তাহের পরিসংখ্যান অনুসারে, নমুনা পরীক্ষা ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ, শনাক্ত ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং সুস্থ রোগীর হার ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ হ্রাস পায়। একই সময়ে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পায় ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ৩২ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২২ জন ও নারী ১০ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ হাজার ১৬১ জনে।

করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৫টি পরীক্ষাগারে ১০ হাজার ২৬১টি নমুনা সংগ্রহ ও ১০ হাজার ৬৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ২৭৫ জন।

ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ৫৯ হাজার ১৪৮ জনে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯ হাজার ৪৬০টি।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৭১৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৭০ হাজার ৪৯১ জনে।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৮১ শতাংশ। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭৫ দশমিক ৩১ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৯৯৬ জন (৭৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ১৬৫ জন (২২ দশমিক ৫৭ শতাংশ)।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৩২ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব দুই, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ছয়জন এবং ষাটোর্ধ্ব ২৩ জন।

বিভাগ অনুযায়ী, ৩২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২০ জন, চট্টগ্রামে পাঁচজন, রাজশাহীতে একজন, খুলনায় চারজন ও সিলেট বিভাগে দুইজন রয়েছেন।