খোরশেদ আলম


আগামী এক বছর কম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে আমরা একধাপ এগিয়ে যাব।
বাঙ্গালী হুজুগে, চাইলে অবশ্যই পারবে । এ অভ্যাস প্রথমে নিজেকে, পরে জাতিকে সুস্থ রাখতে অবদান রাখবে । রাস্ট্রের আর্থিক সাশ্রয় হবে যা রাস্ট্রের অর্থনৈতিক ভিত্তি সূদৃঢ় রাখতে সাহায্য করবে ।
মানুষকে এভাবে জেগে উঠতে হবে । জাগো বাঙ্গালী জাগো ।  প্রত্যেকে প্রত্যেকের জন্য জেগে উঠুন, বিশ্ব অবাক দৃষ্টিতে দেখুক আমরা পারি একসঙ্গে একযোগে প্রয়োজনে সবকিছু করতে পারি ।
করোনা’য় যে পিছুটান আমাদের এবং আমাদের দেশের হয়েছে তা থেকে নিজেদের উত্তরণ ঘটাতে এরকম কিছু প্রোগ্রাম জরুরী ভিত্তিতে করা দরকার।মহান রাব্বুল আলামীনের শুকরিয়া আমাদের যা নেয়ামত দিয়েছে, পৃথিবীর কোন জাতি এতসব দেখেওনি, তাই খেয়েছি প্রচুর – বছর খানেক সাশ্রয়ের উদ্দেশ্যে কম খেতেই হবে । সকালে কেউ দুইটা রুটি কিংবা দুইটা পরটা খেলে  একটা খান । একবাটি সবজি খেলে- অর্ধেক খান, একটা ডিম পুরো না খেয়ে – অর্ধেক খান, দুপুরে এবং রাত্রে যা খেতেন তার তিন ভাগের দুই ভাগ খান।  প্রচুর পানি খান , আল্লাহ’র দেওয়া এসব ফ্রী খেতে পারবেন (রোগ ব্যধি দুরে পালাব), বিকালে মুক্ত জায়গায় হাঁটুন-নির্মল বাতাস খান । খুব ভাল ও নিরোগ থাকবেন ।

তাহলে ১৯৭১ সালের মত আমরা সবাই আবার একজায়গায়, একই মানসিকতায় একজোট হব, এক হব, একাত্ম হব । বর্তমানে আমাদেরকে একটা ফ্রাটফরমে আসতে হবে তা হবে “একতা “। একতা হওয়া খুবই জরুরী ।
বর্তমান পৃথিবীতে আমরাই একমাত্র জাতি যারা বহু মত, বহু দল, বহু চিন্তায় বিভক্ত যা কখনো কেয়ামতের আগ পর্যন্ত আর এক হবে কিনা সন্দেহ ।
তাই অন্তত বছরখানেক কম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলে একতা হওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলি । ফলে আমরা পৃথিবীতে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে
পারব ইনশাআল্লাহ ।

এক হই  লড়াই করি। একতা অর্জনের লড়াই । কম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার লড়াই ।