কামাল শিশির , রামু :

একের পর এক চমকপ্রদ কাজ করে রামুবাসীর মনিকোটায় স্থান করে নিয়েছেন ইউএনও প্রনয় চাকমা।

তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন একজন কর্মঠ দায়িত্বশীল অফিসারই পারেন সততা, শ্রম ও দক্ষতার মাধ্যমে একটি উপজেলার আমুল পরিবর্তন করতে।

যা তিনি বাস্তব প্রমাণ করতে পুরোপুরি সক্ষম হয়েছেন পর্যটন নগরী কক্সবাজারের রামু উপজেলায়। উপজেলাবাসীর দীর্ঘ দু যুগের স্বপ্ন! রামুতে একটি রেষ্টহাউজ হওয়া। এবার এটির বাস্তব রুপ দিতে যাচ্ছেন তিনি। উপজেলা প্রশাসনসহ গুনি মানুষের সম্মানার্থে রামু উপজেলা পরিষদের অফিসার ক্লাব সংলগ্ন একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় করতে যাচ্ছেন আধুনিক একটি রেষ্ট হাউজ ও কনফারেন্স রুম।

উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে দ্রুত ওই রেষ্টহাউজটি উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন। এ জন্য দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন ১০/১২ জন শ্রমিক।

আর এসব নিয়মিত তদারকি করছেন ইউএনও প্রনয় চাকমা নিজেই। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে নাগরিকদের বসার জন্য দৃষ্টিনন্দন আসবাবপত্রের ব্যবস্থা, উপজেলা পরিষদ বাংলো ও কনফারেন্স রুম আধুনিকায়ণ করেন।
সম্প্রতি উপজেলা চত্বরে দৃষ্টি নন্দন জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর নির্মান ও উপজেলা পরিষদ চত্বরে জানালা নামক গোল ঘর স্থাপন করে পুরো দেশে প্রশংসিত ও আলোচিত হন ইউএনও প্রনয় চাকমা।

ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্তকরণ এবং রামুবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি রামু চৌমুহনীকে স্থায়ী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করেন। এ যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণে রামুর আলিগলি স্থায়ী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হতে চলছে।
গেল বছর ইউএনও প্রনয় চাকমা নিজ উদ্যোগে রামু উপজেলার শিক্ষার্থীদের জন্য ‘স্বপ্ন যাত্রা’ বাস উপহার দিয়ে পুরো দেশে নজির স্থাপন করেছেন। যা আজ পর্যন্তও বাংলাদেশের কোন ইউএনও করতে পারেনি। উন্নয়নমূলক কাজকর্ম স্বচক্ষে দেখে গোটা উপজেলাবাসী সাধুবাদ জানাচ্ছেন।
পাশাপাশি রামুতে আরো কয়েক বছর কর্মরত রাখার দাবী জানিয়েছে, সুশিল সমাজসহ সর্বস্থরের মানুষ।
এর আগে দেশের করোনা কালিন এই মহা দূর্যগে সাহসিকতার সাথে সামনের সারিতে থেকে রামুর ১১ ইউনিয়ন বাসীকে দেশের অন্যান্য উপজেলার তুলনায় বলতে গেলে এখনোও করোনা মুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। করোনা নিয়ন্ত্রণে নানা কর্মসুচির পাশাপাশি রাত দিন ছুটে চলছেন মানুষের ঘরে ঘরে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) প্রনয় চাকমা, কার্যকরী উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডসহ করোনা মহামারীতে সম্মুখ সারিতে থাকে, আসল নায়কের ভূমিকায় বদলে যাচ্ছে রামু উপজেলার চিত্র। তিনি ২০১২ সালের ১৬ মে রামু উপজেলায় নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন।
যোগদানের পর থেকেই উপজেলার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নবরূপে রূপান্তরিত হতে শুরু করেছে।
এছাড়াও তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই উপজেলার ১১ ইউনিয়নের নানা অপরাধ, ভূমিদূস্যু, অবৈধ বালি উত্তোলনকারী, পাহাড় খেকোঁ, সরকারী জায়গা দখলবাজ, বনবিভাগের জায়গা দখলকারী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীসহ বাল্য বিবাহ রোধে পর পর অভিযান চালিয়ে রামু থেকে নানা অপরাধকে জিরোতে নামিয়ে এনেছেন। এছাড়া গর্জনিয়া কচ্ছপিয়ার বাকঁখালীর নদী থেকে অবৈধ বালি উত্তোলনের দীর্ঘদিনের বালি সিন্ডিকেট ভেঙে অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করা হয়। উপজেলার সকল অফিসে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন করেন তিনি। যার ফলে অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে সকল উন্নয়নমূলক ফাইল তড়িৎ গতিতে হচ্ছে। সামপ্রদায়িক দাঙ্গা নিরসনে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। দীর্ঘদিন থেকে নিয়ন্ত্রণহীন বালুমহালের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রনয় চাকমা জানান, আমি রামুতে প্রজাতন্ত্রের সেবক হয়ে সরকারী দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করছি। তাছাড়া আমার সাধ্যমত প্রাপ্য বেতন ভাতার টাকা থেকে কিছু অংশ করোনাকালিন সময়ে অসহায় মানুষের সাহায্য করেছি। তবে ছোট বেলায় সাধারণ মানুষের সাথে মিলেমিশে বড় হয়েছি। তাই গবির দুঃখি ও অসহায় মানুষের কষ্ট কি জিনিস তা বুঝতে পারি।