যুগান্তর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরসহ তার ৬ সহযোগীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণ, ধর্ষণে সহযোগিতা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চরিত্রহননের অভিযোগে দুটি মামলার পর এবার সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের কারেছেন ঢাবির সেই ছাত্রী৷

রাজধানীর শাহবাগ থানায় বুধবার মামলাটি করেন করেন ওই ছাত্রী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির একজন ছাত্রী।

গণমাধ্যমকে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ওসি মামুন অর রশিদ।

মামলার এজাহারে ওই ছাত্রী অভিযোগ করেন, আগে ওই দুটি মামলা করার পর থেকে তামান্না ফেরদৌস শিখা, তামান্না আক্তার, তাজুল ইসলাম আকাশ, শারমিন রিজিয়া, এইচএম হোসাইন বিন নূর, মো. তুহিন মোল্লা হৃদয়, মেহেদী হাসান সুজন ও রেজাউল করিম কাজল নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং ‘স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে ফেসবুক গ্রুপসহ অজ্ঞাত শতাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে তার নামে ‘যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী মিথ্যা সংলাপ’ পাবলিক পোস্ট, কমেন্ট ও শেয়ারের মাধ্যমে প্রচার করে তার ব্যক্তিগত ও সামাজিক মর্যাদাহানি করে আসছে। এ ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণসহ শাস্তির দাবি জানান।

এর আগে গত ২০ ও ২২ সেপ্টেম্বর ভিপি নূরসহ তার ৬ সহযোগীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর লালবাগ ও কোতোয়ালি থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়৷ দুটি মামলারই বাদী ওই ঢাবি ছাত্রী। প্রথম মামলাটিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে ১ নম্বর আসামি করা হয়। যাকে গেল বুধবার সংগঠনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আর দ্বিতীয় মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয় সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসানকে৷

এ ছাড়া দুটি মামলাতেই আসামি করা হয় ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা ও কর্মী আবদুল্লাহ হিল বাকিকে।

এদিকে লালবাগ থানায় ২০ সেপ্টেম্বরের মামলার প্রতিবাদে পরদিন সোমবার রাতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করাকালে ভিপি নূরসহ তার ৬ সহযোগীকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। পরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দিয়ে মুচলেকা নিয়ে রাতেই তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।