এম.এ আজিজ রাসেল:
শহরের বার্মিজ স্কুল রোডে ঝুঁকিপূর্ণ স্ল্যাব ও টেলিফোনের খুঁটি স্থাপন করেছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেন্স কোম্পানী লিমিটেড (বিটিসিএল)। রাস্তার পাশেই অপরিকল্পিতভাবে স্ল্যাব ও খুঁটি স্থাপিত হওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ইতোমধ্যে কয়েকটি দুর্ঘটনাও সংঘঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে আহত হয়েছে পর্যটকসহ অনেক পথচারি। গত মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চালক বুঝতে না পেরে স্ল্যাবের উপরে টমটম তুলে দিলে উল্টে যায়। এসময় টমটমে থাকা ৭ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়। এর আগের দিন একই স্থানে টেলিফোনের খুঁটিতে ধাক্কা লেগে অটো রিকশা থেকে ২ জন যাত্রী পড়ে আহত হয়।

বার্মিজ স্কুল রোডের বাসিন্দা মো. শফি জানান, রাস্তাটি এমনিতেই সরু। তার উপর বিটিসিএল’র স্ল্যাব ও খুঁটি স্থাপনে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। যেকোন মুহুর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত ওই স্ল্যাব ও টেলিফোনের খুঁটি অন্যত্র স্থানান্তর করা উচিত।

একই এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আমান উল্লাহ বলেন, এখানকার রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। দুর্ভোগ নিয়ে পথচারিসহ গাড়ি চলাচল করছে। তারমধ্যে ডা. পু চ নু ও ডা. মায়েঁনুর বাড়ি ঘেষে রাস্তাতেই বিটিসিএল এর খুঁটি ও স্ল্যাব নির্মাণ করায় যেন ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ হয়েছে। খুঁটি ও স্ল্যাব সরানো না হলে দুর্ঘটনা বাড়বে। এতে প্রাণহানিরও শঙ্কা আছে।

স্থানীয় মেসান রাখাইন বলেন, খুঁটি ও স্ল্যাব এর জন্য আমরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। কারণ আমরা পুরোনো ঘর ভেঙে নতুনভাবে নির্মাণ করবো। কিন্তু বিটিসিএল এর খুঁটি ও স্ল্যাবের কারণে নতুন করে বাড়ি এবং মার্কেট নির্মাণ সম্ভব নয়। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। তারা ৩দিনের মধ্যে খুঁটি ও স্ল্যাব সরানোর কথা থাকলেও এখনো কোন খবর নেই।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেন্স কোম্পানী লিমিটেড (বিটিসিএল) কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারি প্রকৌশলী মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিটিসিএল এর খুঁটি ও স্ল্যাব নির্মাণ করার সময় কেউ অভিযোগ দেয়নি। নির্মাণের পর অভিযোগ দিচ্ছে এলাকাবাসী। বিষয়টি উর্ধ্বতন মহলে আলাপের পর স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।