মোঃ আকিব বিন জাকের, মহেশখালী:
মহেশখালী থেকে কক্সবাজার নৌপথের অনিয়ম নিরসন এবং সেতু বা ফেরিঘাট নির্মাণের দাবিতে ছাত্রসমাজের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ সেপেটম্বর) বিক্ষোভ পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথেও আলোচনায় বসেছে ছাত্রসমাজ।

গত ২০ সেপ্টেম্বর গামবোট দুর্ঘটনায় তোফায়েল নামক এক ছাত্র নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মূলত এই কর্মসূচি পালিত হয়।

তাদের দাবিগুলো হলো-
১. অতি শিগ্রই সেতু অথবা ফেরিঘাট চালুর ঘোষণা দিতে হবে এবং যতদ্রুত সম্ভব তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
২. সেতু/ফেরিঘাট বাস্তবায়ন হবার আগ পর্যন্ত জেটিঘাটের অনিয়ম গুলো নিরসন করতে হবে। যথাঃ
(ক)প্রতি বোটে জনপ্রতি লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা করতে হবে।
(খ)জরাজীর্ণ ও মেয়াদউত্তীর্ণ বোটগুলো ঘাট থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।
(গ)বোট চালকদের দক্ষতা লাইসেন্স দিতে হবে।
(ঘ)অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া যাবে না।
(ঙ)সন্ধ্যা ৬ টার পর (জরুরি রোগী সেবা ব্যথিত) বোট চলাচল বন্ধ করতে হবে।
(চ) রাতে চলাচল করা বোট গুলোর সিগনাল লাইট বাধ্যতামূলক করতে হবে।
(ছ) কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে নৌ ট্রাফিকের ব্যবস্থা করতে হবে।
(জ)ঘাটে সব সময় পর্যাপ্ত বোটের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
(ঝ) ৬ নং ঘাটে মালপত্র বাবদ অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধ করতে হবে।
(ঞ) ঘাট কর্তৃপক্ষের যথাযথ যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
(ট) স্পীডবোটের একচেটিয়া ব্যবসা বন্ধ করতে হবে এবং ভাড়া কমাতে হবে।

৩. নৌ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৪. নিয়মিত কোস্টগার্ড বা নৌ বাহিনীর টহল ও নজরদারি জারি রাখতে হবে।
৫. নদীর মাঝখানে যত্রতত্র জাল বসানো যাবে না।
৬. যত্রতত্র বোট এবং ট্রলার পার্ক করা যাবে না।
৭. নদীতে কেউ নিখোঁজ হলে প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়ে তাকে উদ্ধার করে দিতে হবে।

দাবী না মানলে রাজপথে বৃহৎ হতে বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণাও দেন তারা।