বিডি জার্নাল  : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরকে আটকের পর তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। সোমবার রাতে শাহবাগে ‘হয়রানিমূলক মামলা’র প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশটি মৎস্য ভবনের সামনে আসলে নুরকে আটক করা হয়। পরে রাত নয়টা ৪৫ মিনিটের দিকে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

ভিপি নুরকে ছাড়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম।

এর আগে নুরকে আটকের বিষয়টি বাংলাদেশ জার্নালকে নিশ্চিত করে ডিএমপির রমনা জোনের সিনিয়র কমিশনার (এসি) এস এম শামীম বলেন, রাত সাড়ে আটটার দিকে মশাল মিছিল নিয়ে মৎস্য ভবন মোড় গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের উপর হামলা চালানো হয় ওই মিছিল থেকে এসময় ভিপি নুরসহ ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

রমনা জোনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, নূরের নেতৃত্বে একটা মিছিল বের হয়। মিছিলটি মৎস্য ভবন এসে শাহবাগ হয়ে টিএসসিতে যায়। সেখানে তারা লম্বা সময় ধরে কথা বলে। পরে এই মিছিল আবার ঘুরে আসে। পুলিশ তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করে। কারণ মূল রাস্তায় তাদের মিছিলের জন্য যানজট হয়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এসময় তারা আবার প্রেসক্লাবের দিকে যাওয়া শুরু করে। মৎস্য ভবনের কাছাকাছি যেয়ে তারা যানবাহন ও পুলিশের উপর আক্রমণ করে। প্রথমে পুলিশ তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা হামলা করলে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন।

এদিকে ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা জানিয়েছেন, রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে থেকে পুলিশ তাকে সহ ছাত্র অধিকার পরিষদের আরো কয়েকজন নেতাকে আটক করেছে।

নুর ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- হাসান আল মামুন, নাজমুল হাসান, মো. সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল বাকি। এদের মধ্যে হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি এবং ধর্ষণে সহযোগিতাকারী হিসেবে নুরুল হক নুরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণী ও এজহার থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি দুপুরে রাজধানীর নবাবগঞ্জ রোডের একটি বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামি হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হাসান আল মামুন, যিনি কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন।

আসামিদের তালিকায় সহযোগী হিসেবে ডাকসু ভিপি ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরের সঙ্গে একই সংগঠনে যুক্ত নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল বাকির নামও রয়েছে। এরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণী থেকে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে লালবাগ থানার ওসি কে এম আশরাফ উদ্দিন জানান, হাসান আল মামুন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। তার সাথে আরও পাঁচজনকে সহযোগী হিসেবে আসামি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে নুর তিন নম্বর।