বার্তা পরিবেশক :

রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের তরুন রেমিট্যান্স যোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম।  ঈদগড় ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বাইতুশ শরফ পাড়া গ্রামের বাসিন্দা জহির আহাম্মদের পুত্র। তিনি মালেশিয়া প্রবাসী। বিগত ২০১২ সাল থেকে মালয়েশিয়াই প্রবাস জীবন অতিবাহিত করে আসছে। মা-বাবা ভাই বোন স্ত্রী সন্তান দেশে রেখে দীর্ঘ ৮ বছর বিদেশ করার পর যখন দেশে ছুটিতে আসার জন্য প্রস্ততি নিচ্ছিল টিক তখনই জানতে পারেন তাকে একটি মামলায় আসামী করা হয়েছে।
তিনি জানান ঈদগড় ইউনিয়নের আলোচিত ডাকাত সর্দার সাহাব উদ্দীন গত ২০১৪ সালে বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে গনপিঠুনিতে নিহত হয়। এই ঘটনার ২ বছর পুর্ব হইতে আমি মালয়েশিয়ায় অবস্থান করে আসছি। গণপিঠুনিতে ডাকাত সাহাব উদ্দিন নিহত হওয়ার পর তার স্ত্রী পারভিন আকতার বাদী হয়ে যে এজাহার দায়ের করেছে (জি-আর নং-১৮/১৪) সে এজাহারে আমাকে আসামী করা হয়নি। থানার ফাইনাল রিপোর্ট এবং সিআইডির চার্জশিটেও আমাকে আসামী করা হয়নি।
সম্প্রতি পিবিআই কক্সবাজার কর্তৃক দাখিলকৃত চার্জশিটে আমাকে এজাহার বর্হিভূত তদন্তে পাওয়া হিসাবে আসামী করা হয়েছে।
আমাকে মিথ্যাভাবে চার্জশিটে আসামী করার জন্য পিবিআই কে দোষারোপ করব না, কারন তদন্ত কর্মকর্তাকে যারা আসামী করার জন্য মিথ্যা ভাবে সাক্ষী দিয়েছে মুলত তারাই দায়ী।
এই মামলায় আমাকে মিথ্যা ভাবে আসামী করার কারনে দেশে আসার জন্য ছুটি নিয়েও আমি হতভাগার দেশে আসা সম্ভব হচ্ছে না।তিনি জানান আমি কোন অপরাধ বা কারো ক্ষতি করিনি, তারপরও কেন আমি মিথ্যা মামলায় আসামী হলাম।
কারন একটাই আমি আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে আসলে ঈদগড়ের  কিছু অমানুষের পরাজয় নিশ্চিত। তাই তারা আমার দেশে আসার পথ বন্ধ করার জন্য আমাকে মিথ্যা মামলায় আসামী করেছে।
তিনি আরো জানান, আমি এখন বুঝতে পারলাম আমার বাড়ীর পাশের আপনজনরা আমার বড় শক্র।তারা সব সময় চাইত আমি যাতে তাদের তাবেদারী করি। কিন্ত আমি কখন ও মানুষ পুঁজা করিনি।
ভবিষ্যতে যাতে আমাকে দিয়ে তারা তাঁবেদারি করাতে পারে সেই আশায় আমাকে মিথ্যা মামলায় আসামী করেছে।
মিথ্যা মামলা করলেও আমাকে দিয়ে তাবেদারী করা সম্ভব হবে না। আমার প্রতিবাদী কন্ঠস্বর রুদ্ধ করতে পারবে না কেহ । আল্লাহ আমার সহায়।
তিনি এই মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিস্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা ও ঈদগড়বাসীর দোয়া কামনা করেছে।