সিবিএন ডেস্ক:
হেফাজত ইসলামের আমির ও বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ আল্লামা শাহ আহমদ শফী এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ইসলামি শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। পাশাপাশি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নেও ভূমিকা রেখেছেন।

প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় এ আলেমে-দ্বীন এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শোক বার্তায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

প্রসঙ্গত, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী ইন্তেকাল করেছেন শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানী গেণ্ডারিয়াস্থ আসগার আলী হাসপাতালে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার ইন্তেকালের খবরে আলেম সমাজের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটনেল শুক্রবার বিকেলে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা এনে আসগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চমেক হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, আল্লামা শফীর অবস্থা সংকটাপন্ন। বৃহস্পতিবার অক্সিজেন হার্টে মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়। একই সঙ্গে ফুসফুসে পানি জমেছে।

দেশের কওমি মাদরাসাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় মাদরাসা হিসেবে পরিচিত হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসা। এই মাদরাসার মহাপরিচালক হিসেবে কওমি মাদরাসাগুলোর নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

তিনি হেফজাতে ইসলামের আমির ছাড়াও কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাক ও কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান।