সিবিএন ডেস্ক:
ভারত হঠাৎ পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণার পর প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম পাইকারিতে কমতে শুরু করেছে। তবে এর কোনো প্রভাব নেই খুচরা বাজারে।

পাইকাররা বলছেন, বাজারে নতুন করে পেঁয়াজ আসায় কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে, তবে খুচরার বিষয়ে তথ্য জানা নেই। আর খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারদের কাছ থেকে বেশি দামে পেঁয়াজ কেনা। সেখানে কম দামে পেলে খুচরায়ও দাম কমবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, কাঁঠালবাগান, মগবাজার চারুলতা মার্কেট, মালিবাগ ও খিলগাঁও বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

এদিন কারওয়ান বাজারের আড়তে পাইকারি দেশি পেঁয়াজ প্রতিপাল্লা (পাঁচ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ৪৩০ টাকা বা ৮৬ টাকা কেজি দরে, দেশি (কিং) বিক্রি হচ্ছে ৪শ টাকা পাল্লা (পাঁচ কেজি) বা ৮০ টাকা কেজি। আর আমদানি করা (এলসি) পেঁয়াজ প্রতিপাল্লা ৩১০ টাকা বা ৬২ টাকা কেজি দরে।

অন্যদিকে কাঠালবাগান, মগবাজার চারুলতা মার্কেট, মালিবাগ ও খিলগাঁও বাজার খুচরা প্রতিকেজি দেশি (কিং) পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকা, আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকার মধ্যে।
পেঁয়াজের দাম বাড়ায় সরকারিভাবে টিসিবির ট্রাকসেলে ৩০ টাকা কেজিদরে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সরকারিভাবে বন্ধের দিন ছাড়া প্রতিদিন এ বিক্রি অব্যাহত থাকবে।

পেঁয়াজের দাম নিয়ে অন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। হামিদ মিয়া নামে কারওয়ান বাজারের এক ক্রেতা বলেন, আজ নতুন এলসি পেঁয়াজ বাজারে এসেছে কিন্তু সে তুলনায় ব্যবসায়ীরা দাম কমাচ্ছে না। তারা এভাবে কতদিন আমাদের জিম্মি করে বেশি দামে বিক্রি করবে ওপরওয়ালা ভালো জানেন।

কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা আশরাফ আলী বলেন, একদিনের ব্যবধানে কেজিতে পাঁচ টাকা কমেছে আজ। এলসির পেঁয়াজ এসেছে দেখেই দাম কমেছে, বাজারে পর্যাপ্ত এলে দাম আরও কমবে।

চারুলতা মার্কেটের ব্যবসায়ী হাসান বলেন, আগের দামে কেনা আছে, তাই সে দামে বিক্রি চলছে। তবে নতুন দামে পেঁয়াজ এলে এখানেও দাম কমে আসবে।