এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :

মাতামুহুরী নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনের কবলে পড়ে প্রতিবছর ছোট হয়ে আসছে চকরিয়া পৌরসভার বির্স্তীণ জনপদ। নদীর তিনটি পয়েন্টে পৌরসভার ৬টি ওয়ার্ডের অবস্থান। এ অবস্থার কারণে প্রতিবছর বর্ষামৌসুমে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে বন্যার তা-বে নদীতে বিলীন হতে চলছে পৌরসভার উল্লেখিত ছয়টি ওয়ার্ডের একাধিক গ্রাম।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাতামুহুরী নদীর শুরুতে চকরিয়া পৌরসভার ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের অবস্থান। এরপর নদীর মোহনা প্রবাহিত হয়েছে ২ নম্বর ওয়ার্ড হয়ে ১নম্বর ওয়ার্ডের শেষ পয়েন্ট বেতুয়াবাজার সেতু পর্যন্ত। সেখান থেকে নদীটি ঘুরে আবার বন্যার তা-বে ধাক্কা দিচ্ছে পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের আবদুলবারী পাড়া ও চরপাড়া হয়ে কাজিরপাড়িা এলাকায়। ওই এলাকা থেকে মাতামুহুরী নদী চলে গেছে পালাকাটা রাবারড্যাম হয়ে বদরখালী সমুদ্র চ্যানেলে। যাওয়ার পথে নদীর তা-ব অব্যাহত আছে চকরিয়া পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের তরছঘাট হয়ে বাটাখালী সেতু এলাকায়। সেখান থেকে ভাঙ্গনের খেলা চলছে পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের খোন্দকারপাড়া পয়েন্টে। উত্তর কাহারিয়াঘোনা খোন্দকারপাড়ার কয়েক হাজার মানুষের বসতির পৈত্রিক ভিটেবাড়ি, কবরস্থান, মসজিদ-মাদরাসা ও চাষাবাদের শত শত একর ধানি জমি মাতামুহুরীর নদী গ্রাসে বিলীণ হতে চলেছে। সাধারণ মানুষ ও স্কুল কলেজ এবং মাদরাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের এই পথটির মাঝখানের অংশ মাতামুহুরী নদীতে বিলীণ হয়ে যাচ্ছে।

অবশ্য মাতামুহুরী নদীর ভাঙ্গনে এই তা-ব থেকে পৌরবাসি এবং জনগনের সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিতে টেকসই বেড়িবাধ ও সড়ক নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী। সম্প্রতি সময়ে চকরিয়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের খোন্দকারপাড়া অংশের নদীর ভাঙ্গন জনপদ পরিদর্শন করেছেন মেয়র আলমগীর চৌধুরী।

পরিদর্শন শেষে মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, তিনি স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে নদী ভাঙ্গন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শনে এসেছেন। পৌরসভার ফান্ড ও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে বালু আর সিমেন্টের সংমিশ্রণে ১হাজার ৫শত বস্তা মিক্সার জিও ব্যাগ দিয়ে নদীর পারে টেকসই বাধ নির্মাণ করবেন বলে তিনি স্থানীয় জনগনকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বলেছেন, জিও ব্যাগ দিয়ে টেকসই বেড়িবাধ, খোন্দকারপাড়া হতে মগবাজার পর্যন্ত সড়ক ও সোডিয়াম বাতি নির্মাণ করা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ঠিকাদার ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান কন্ট্রাক্টর, মগবাজার মহিলা মাদরাসার সহকারি শিক্ষক মৌলানা আজিজুল হক, মসজিদ কমিটির সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, সাংবাদিক অলি উল্লাহ রনি প্রমুখ এলাকাবাসি উপস্থিত ছিলেন।