সিরাজুল কাদের


সভ্যতা এবং সংস্কৃতির মৌলিক ধারার প্রবাহমান স্রোতে সমাজ পরিবর্তনের জোয়ার আজ বসুন্ধরার অনেক দেশ, সমাজ এবং তার অলিগলিতে দৃশ্যমান ! “ Necessity is the Mother of Invention” প্রয়োজনীয়তা হচ্ছে আবিস্কারের জননী” এই বাধ্যতামূলক বাক্যের নির্যাস থেকেই মূলত: সভ্যতা, সংস্কৃতি, শিক্ষা এবং প্রযুক্তি সহ অনেক কিছুর ক্রম বিকাশ সেই প্রস্তর যুগ থেকে শুরু করে অদ্যবদি চলমান এবং এই ধারা বহতা নদীর ন্যয় চলবে অনন্ত কাল ধরে..! এরই পরিক্রমায় সকলের আপন জন্ম ধরতীর নাড়ি ছেঁডা গ্রাম এবং সমাজ পরিবর্তনের মৌন মিছিলে নিজের সরব পথচলাতে পশ্চাদপদ থাকেনি, কখনো ধীর লয়ে আবার কখনো হাল্কা জোর কদমে এগিয়েছে সমানভাবে, আবার কখনো রুগ্নতায় পথচলা স্তব্দ হয়েছে তথাকথিত সমাজের মোড়লীপনাদের মারপ্যাঁচে এরপরও ভগ্ন অবস্থা থেকে সমাজ ঘুরে দাঁড়িয়েছ আপন মহিমায়। আর এর নেপথ্যে থাকে ও ছিল; প্রচার বিমুখ – সমাজের কীর্তিমান এবং নি:স্বার্থ পরোপকারী কিছু অতি মানব! আজ আমি তেমন একজন অতি মানবের গল্প আপনাদের তরে নিবেদন করব।

হ্যাঁ ! আমি বলছিলাম টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাটাখালীর উর্বর জমিতে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৩৫ সালে জন্ম নেওয়া একটি ইতিহাস, একটি প্রতিষ্ঠান এক জ্ঞান তাপস সর্বজন শ্রদ্ধেয় জনাব মৌলানা আবদু সালামের কথা যিনি দক্ষিন কক্সবাজারে একজন সুপরিচিত আলেমে দ্বীন এবং আব্দুল কাদের ফকির প্রকাশ কাদের ফকিরের ছোট ভাই। প্রথম দিকে উনার শিক্ষার হাতেখঁডি বার্মার হাজী মৌলভী সাহেবের হাতে; হাজী মৌলভী সাহেব উনাকে পড়া-লেখার জন্য বার্মায় নিয়ে যায় সেখানে বেশ কিছুদিন পড়ালেখা করেন। পরে তিনি ঈদগাঁও আলমাছিয়া ফাজিল মাদ্রাসা হতে দাখিল সমমান এবং পরে চট্টগ্রামের ওয়াজেদিয়া মাদ্রাসা থেকে উলা পাস করেন। গ্রামে থাকলে কাটাখালী গ্রামের সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুরুব্বী এবং অনেক ওস্তাদের ওস্তাদ জনাব মৌলানা আবদু রশিদ প্রকাশ হাজী মৌলভী সাহেবের কাছ থেকে কোরান এবং হাদিসের আলোকে বিভিন্ন ধরনের তালিম হাসিল করতেন; উল্লেখ্য মৌলানা আবদু রশিদ সাহেব ছিলেন অত্র জনপদের জ্ঞান বিতরণের ফেরিওয়ালা যার আদর্শে এবং দেখানো পথে এই কাটাখালী গ্রাম দ্বীনি আবহে শান্তির নীড় ছিল।

সময়ের প্রয়োজনে এই জন্ম ধরতীর নব প্রজন্মদের জ্ঞানএবং শিক্ষা-দীক্ষায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য জনাব মৌলানা আবদু সালামই এই এলাকা থেকে প্রথম দুরে গিয়ে জ্ঞানার্জনের অভিযাত্রিক পথ রচনা করেন। ছাত্রাবস্থায় ছুটির দিন এবং বাড়িতে থাকাকালীন সময়ে ছাত্রত্বের আভিজাত্য ধরে কোনদিন বেকার বসে থাকেননি বরং বাড়ির ক্ষেত-খামারের কাজে একজন দক্ষ চাষী হিসেবে সুনামের সাথে দিনরাত কাজ করেছেন। এখনও কাটাখালী গ্রামের মুরুব্বীদের মুখে দ্রুতগতিতে ধান রুপন বা রোয়া রুয়াতে এই গ্রামে সমসাময়িকদের মধ্যে উনার সমকক্ষ যে কেউ ছিলেন না তা আমরা জনশ্রুতি হিসেবে শুনতে পাই। তিনি রাতের আঁধারে শিক্ষার মশাল নিয়ে গ্রামের অশিক্ষিত যুবকদের স্বাক্ষর জ্ঞান এবং দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। আবার বিভিন্ন মাদ্রাসাতে শিক্ষকতা করে শিক্ষার আলো জ্বালিয়েছেন অবিরাম।

উনার যৌবনকালে আমাদের গ্রামে চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল অনুন্নত তাই পিছিয়ে পড়া জনপদকে নিজ সাধ্যের মধ্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের নিমিত্তে পল্লী চিকিৎসকের ট্রেনিং নিয়ে যুগ যুগ ধরে আমাদের গ্রাম সহ পার্শ্ববর্তী অধিকাংশ গ্রামের অধিবাসীদেরকে অহর্নিশ চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছেন। একজন চিকিৎসক রুপী মানব সেবক হিসেবে সকল স্তরের মানুষের কাছে উনার গ্রহনযোগ্যতা ছিল ঈর্ষনীয়।অন্যদিকে উনি ছিলেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকদের কাছে মধ্যমণি। পাশের গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের অচন্দ্র দাদা,নৈদা বাঁশী জ্যাঠাদের বিশ্বাসের একমাত্র নাম; গ্রামে কোনকিছু হলে উনার স্মরণাপন্ন হতেন। অন্যদিকে আমাদেরই গ্রামের চাকমা আদিবাসীদের কাছে উনি ছিলেন অবতার, রাত- বিরাতে যেকোন চাকমা আদিবাসী ভাই- বোনদের চিকিৎসার প্রয়োজন পড়লে উনার ওখানে গেলে; না নাই সেটি যদি অন্ধকারাচ্ছন্ন গভীর রাত হলেও আরামের ঘুম হারাম করে পল্লী চিকিৎসকের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে অসুস্থ আদিবাসীদের সু চিকিৎসা দেয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে গেছেন নিরবধি। যার কারনে সর্বদা দাদা- ঔল্ল চাকমা, কাজল চাকমা, চাচা মণি চাকমা এবং উনাদের সম্প্রদায়ের সকলের কাছে তিনি আস্থাভাজন ছিলেন! আর চাকমা ভাইদের জুম চাষের মৌসুমে বিভিন্ন ফল- ফলাদিতো উনার বাড়িতে আসত লাইন ধরে একেকদিন একেক জন করে পালাক্রমে উনার বাড়িতে ভাল ফলগুলোই দিয়ে যেত। একটি সম্প্রদায় বা জনগোষ্ঠির কাছে নিজের বিশ্বাসযাগ্য স্থান নেয়া এত সহজ না যতক্ষণ না আত্মত্যাগ এবং ডেডিকেশনের সমন্বয় করা যায়। তিনি ঐ জায়গায় নিজেকে উচ্চমাত্রায় নিয়ে গেছেন তার উল্লেখ্য সেবামূলক এবং মানবহিতৈষী কর্মের দ্বারা..!!
একজন অনলবর্ষী ওয়ায়েজ এবং মৌলানা হিসেবে উনার সু-খ্যাতি গ্রাম থেকে গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল! বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে উনার ওয়াজে সরব থাকত গ্রামের মহল্লাগুলো। শীতকালেতো উনার ঘরে থাকার ফুরসত মিলত না অনেক দূরবর্তী গ্রামে গিয়ে কোরান হাদিসের আলোকে প্রাণ্জল এবং বোধগম্য ভাষাতে ত্বাকরীর পেশ করতেন। যেকোন ধরনের শরিয়তী মসালা-মাসায়েলের ক্ষেত্রে অনেক দুর-দুরান্ত থেকে লোকজন উনার স্মরণাপন্ন হতেন রীতিমত। আমার জন্মের পর থেকে আমি দেখে আসছি আমাদের মসজিদের পেশ ঈমাম এবং খতীব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আমাদেরকে দ্বীনি সেবা দিয়ে গেছেন নিরন্তর! ঝড়- তুফানকে উপেক্ষা করে রীতিমত সুবেহ সাদিকের লগ্নে উনার সুললিত আজানের ধ্বনিতে পুরো গ্রামে নুরী আহ্বানের বারতা বয়ে যেত; আল্লাহ মহান, কল্যাণের পথে এসো ঘুমের চেয়ে নামাজ উত্তম রবে ধ্বনিত হতো গ্রাম জুড়ে!

রমজান মাসে উনার বহুমাত্রিক ত্বাকরীরতো একেবারে মন ছুঁইয়ে যেত। বিশেষ করে শবে কদরের রাতে উনার বয়ান, জিকির এবং দোয়া এক কথায় অসাধারন! কদরের দিনে সাজ সাজ রব এবং উত্তেজনাতে সান্ধ্যকালীন গোসল শেষে হরেক রকম আতর এবং নতুন পায়জামা পান্জাবী পরিধান করে সময়ের আগেই মসজিদে হাজির – বলতে গেলে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত। নামাজ শেষে উনার হৃদয়গ্রাহী বয়ান, এরপর আবচা অন্ধকারে উপচে পড়া মুসল্লিদেরকে দিয়ে তিনি যখন জিকির শুরু করতেন আল্লাহ, আল্লাহু জপে তখন আকাশ বাতাসে এক ঐশ্বরিক ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হতো মনে হত আরশের মালিক এই গ্রামকে ফিরিশতাদের চাদরে আবৃত করে জিকিরের রব সাত আসমানে পৌঁছে দিচ্ছে নিহারীকা এবং গ্যালাক্সী বেশে! আর এভাবে অনেকক্ষণ জিকির চলত উনার সু দক্ষ পরিচালনায়। এরপর শুরু হত উ মরমী দোয়া এমনভাবে উনি দোয়া করতেন সকল মুসল্লিদের ক্রন্দনরোলে আকাশ- বাতাস ভারী হয়ে কোথাও আল্লাহর আসমানে একাকার হয়ে যেত। ঐ সময় এমন একটি পরিবেশ বিরাজ করত মনে হত আল্লাহ সুবহানহু তা’লার সান্নিধ্য পাবার কি রকম আগ্রহ এবং ইচ্ছাতে আমরা বলীয়ান। বিভিন্ন জায়গায় আমি অধমের যাওয়ার এবং ইবাদত বন্দেগী করার সুযোগ হয়েছে কিন্তু উনার মত করে দোয়া এবং জিকির পরিচালনা কারী আমার জীবনে দ্বিতীয় জন দেখিনি; এক কথায় উনি এক অদৃশ্য ঐন্দ্রজালিক আকর্ষনের এক অনন্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
গ্রামের কু-সংস্কার এবং বেলাল্লাপনাকে শক্ত হাতে দমন করেছেন সব সময়। আমি তখন ছোট আমাদের পাশের গ্রামে গান এবং নাচের আসরের খবর উনার কানে আসল আর তখন কোন দেরী না করে গ্রামের সচেতন যুবকদেরকে নিয়ে এই প্রজন্ম হননকারী কর্মকান্ড বিনাশ করে দিয়েছিলেন।

তিনি অজপাড়া গাঁয়ে শিক্ষার এক আলোকবর্তিকা এবং দিকপাল মহাপুরুষ সর্বদা জ্ঞানগর্ভ আলোচনাতে আমাকে সিক্ত করেছেন। উনার সান্নিধ্যে আমি কেমন জানি মোহগ্রস্ত হয়ে যায়। কোরান-হাদিসের জীবন্ত বর্ণনাতে অতীত এবং বর্তমানের প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যতের সুনির্দিষ্ট দিক নিদের্শনা উনি অত্যন্ত সাবলীলভাবে যে কাউকে উপস্থাপন করতে পারেন। এক এক আলোচনার প্লটে উনার রম্যত্বক ইনডিজিনাস রেফারেন্সে চলমান দুনিয়ার তাবৎ আলোচকেরাও হার মানতে বাধ্য। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে মূল আলোচনার টপিক্সের সাথে রম্যত্বক রেফারেন্সের মণিকাণ্ছন জোড় যা আলোচনাকে আরো বেশি যুত্সই এবং বোধগম্য করে তুলে। আমি যখন উনার শ্রুতা হিসেবে থাকি তখন সংগত এবং সম্পুরক প্রশ্ন উত্থাপন করি, আর তখন উনার যৌক্তিক এবং সারগর্ভ উত্তর আলোচনার মাত্রাকে অনন্য মাত্রায় নিয়ে যায়। আজকে যে আমি জাপানে অবস্থান করছি; জাপানীদের কারিগরি দক্ষতা এবং বুদ্ধিমত্তার কথা সর্বপ্রথম উনার মাধ্যমে জানতে পারি জাপানী সৈন্যরা ধান গাছের খড় দিয়ে জুতা বানিয়ে তা পরিধান করত এবং বাঁশ দিয়ে প্লেন বানিয়ে যে যুদ্ধে তা ব্যবহার করত তা উনার কাছ থেকে শুনেছি। এছাড়াও এই জনপদে উনি আরো বহুমাত্রিক বৈশিষ্ট এবং চরিত্রে ভূমিকা পালন করে মানব সেবা এবং সামাজিক কর্মকান্ডের এক অপরিহার্য এবং কীর্তিমান পুরুষ হিসেবে অলরেডি স্বীকৃতি লাভ করেছেন। আর উনার সাত সন্তানেরা উনারই দেখানো পথ এবং আদর্শে আজ চিকিৎসা সেবা, ঈমাম এবং দেশ মাতৃকার সেবায় সফলতার সাথে সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন।
আজকাল প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে চোখ বুলালে আঁৎকে উঠার মত অবস্থা! রুগ্ন সমাজের ভংগুর অবস্থা-স্বার্থান্ধ, দুশ্চরিত্র এবং পাপিষ্ঠ সংস্কৃতির প্রসব বেদনাতে আজ সন্তানেরা নিজের পিতাকে খুন করছে, পিতা সন্তানদের খুন করছে, ভাই বোনকে খুন করছে, চাচা ভাতিজাকে খুন করছে আবার সমাজ অধিপতিরা নিজের ক্ষমতা জাহির করা; কামুক চিত্ত চরিতার্থ করার নিমিত্তে অবলা অসহায় নারীদের হাত-পা বেঁধে নিয়ে যাচ্ছে পরিষদে আরো কত কি..?!!

সকলের মনে হতে পারে এই অমানবিকতার অমানিশা শিঘ্রই কেটে যাবে, নারে সুবোধ! একবার অপসংস্কৃতি এবং অনাচার যদি বিনা বিচার, প্রতিবাদ প্রতিরোধহীনতার সংস্কৃতিতে রুপ ধারন করে তাহলে তার বহুমূখী প্রলয় নাচনে বলিভিয়ার মত দেশে পরিণত হতে বেশীদিন সময় লাগবেনা..! আর এই চলমান সামাজিক অবক্ষয় থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য আজ বর্তমান প্রেক্ষাপটের আলোকে শ্রদ্ধেয় মৌলানা আবদু সালামদের মত কিংবদন্তী সমাজহিতৈষীদের পথ আমাদের অনুসরণ করা উচিত। অন্যথায় পুঁজিবাদি শ্রেণীর জঠর থেক জন্ম নেওয়া অসাধু বণিকেরা অদূর ভবিষ্যতে বৃদ্ধাশ্রমের নামে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করে কাঠখড় পুডিয়ে সন্তানদের মানুষ করা শ্রদ্ধেয় পিতা-মাতাদের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিয়ে আধুনিকতার নামে প্রলয় নৃত্যে শামিল হয়ে আমাদের সকল ধর্মের বাতাবরণে চলে আসা শিষ্টাচার সৌষ্টব সংস্কৃতিকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে। আজ পৃথিবীর তাবৎ শ্রেণীর অধিকাংশ বলতে বাধ্য হচ্ছে ধর্মীয় অনুশাসন ছাড়া মূলত: সামাজিক অবকাঠামো, মূল্যবোধ, সংস্কৃতি এবং নৈতিকতা সহ সমাজ উপজীব্য বিষয়গুলো বিবর্ণতায় পদদলিত হতে বাধ্য। তাই আমরা যে যে ধর্মেরই হয়না কেন আপন ধর্মের বেষ্টনীতে থেকে জীবন পরিচালনা করলে হয়ত: এমন একটি সুন্দর সমাজ, দেশ এবং পৃথিবী দেখতে পাব যেখানে নীতি নৈতিকতা এবং সঠিক মূল্যবোধের সমন্বয়ে মানবতার কোরাস চলবে সর্বত্রে আর এখান থেকে শ্রদ্ধেয় মৌলানা আবদু সালামদের মত বিভিন্ন ধর্মের আইকনিক চরিত্রের উত্তরসুরীরা সমাজ এবং জাতি পরিবর্তনের হাল ধরবে অনন্তকাল ধরে!!

(বিশেষ দ্রষ্টব্য: জনাব শ্রদ্ধেয় মৌলানা আবদু সালাম এখনো বেঁচে আছেন আমাদের মাঝে তবে শারিরীকভাবে একটু অসুস্থ উনার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি!)