মোহাম্মদ নুরুদ্দোজা, চকরিয়াঃ
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সেগুন বাগিচা এলাকার বাসিন্দা কায়সার হামিদের স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী রাজিয়া বেগম নামে এক গৃহবধু প্রতিবেশী লোকজনের কাছে মারধর ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে গুরতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
থানায় অভিযোগ দায়েরের পর থেকে গৃহবধু ৩ সন্তান নিয়ে বিচারের আশায় অন্তত ৩ মাস ধরে ঘুরে ফিরে প্রশাসনের প্রতি দিক্কার জানাচ্ছে।
জানা যায়, গত ৫জুলাই বৃষ্টির পানি গড়িয়ে গৃহবধুর বাড়ীর উঠান হয়ে প্রতিপক্ষের বসতভিটার উপর দিয়ে কিছু সময় চলাচল করা নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী শাহাব মিয়ার পুত্র মোঃ আরমান তার স্ত্রী খতিজা বেগম, রেজাউল করিম প্রকাশ রাজা মিয়া, লুৎফা আক্তার মিলে রাজিয়া বেগমের বসতভিটায় ঢুকে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর ও বিবস্ত্র করে শ্লিলতাহানী করে। এক পর্যায়ে নির্যাতনের শিকার রাজিয়া বেগম কে বিবস্ত্র করে বসতভিটা থেকে রাস্তায় নিয়ে গিয় আরো মারধর করেছে বলে রাজিয়া বেগম দাবী করেন।
ঘটনার সময় গৃহবধুর স্বামী বাড়ীতে না থাকার সুবাদে হিন ঘটনার সুত্রপাত হয়। পরে খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন এসে রাজিয়া বেগমকে উদ্ধার করে কার স্বামীকে খবর দিলে রাজিয়া বেগমের স্বামী কাইছার হামিদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় স্ত্রী রাজিয়াকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করে। পরে বিষয়টি নিয়ে চকরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের রাজিয়ার স্বামী কায়সার। কিন্তু ঘটনার ৩ মাস চললেও নির্যাতিত এ গৃহবধু এখনো কোন ধরনের প্রতিকার পাননি। তার স্বামী জানান, থানার এসআই মিজানের কাছে অভিযোগটি তদন্তাধীন রেখে সরেজমিন তদন্ত করে সত্যতাও পেয়েছেন।ভোক্তভোগিরা দাবী করেন, নির্যাতিত পরিবার থেকে তদন্ত কর্মকর্তা খরছপাতিও নিয়েছেন বেশ কয়েকবার। তারপরও ঘটনার মিমাংসা করে দেবে মর্মে একাধিকবার থানার বারান্দায় ঘুরিয়ে শেষমেষ ক্ষতিগ্রস্থ গৃহবধুর স্বামীকে পরামর্শ দিচ্ছেন আদালতে আরো একটি মামলা করার। এ সুযোগে প্রতিপক্ষ ও অভিযোগের বিবাদীরা বেপরোয়া হয়ে উঠে প্রতিনিয়ত তারা হুমকি দমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি গৃহবধুর পরিবারকে এলাকা ছাড়া করারও পায়তারা করছে বিবাদীরা।বর্তমানে বসতবাড়িতে নির্যতিত গৃহবধু ৩ সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।।তিনি প্রশাসনের কাছে নিজের নিরাপত্তা সহ দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তি দাবী করেছেন। ঘটনার বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য নেয়া হয়ে উঠেনি। অন্যদিকে বিবাদীরা এ নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ করতে নারাজ।এদিকে ভোক্তভোগি গৃহবধু ও তার স্বামী উপায়ন্ত না দেখে অবশেষে চকরিয়া-পেকুয়ার মাননীয় সাংসদ জাফর আলমের কাছে বিষয়টি অবগত করলে, তিনি খুটাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা বাহাদুর আলমকে ২ পক্ষের উপস্থিতিতে সুষ্ঠ সমাধানের নির্দেশ প্রদান করেন।