মো. নুরুল করিম আরমান, লামা:
বান্দরবানের লামা উপজেলার প্রায় দুই লাখ মানুষের মধ্যে অধিকাংশই দরিদ্র। তার উপর গত কয়েক মাস ধরে করোনার প্রাদুর্ভাবে খেটে খাওয়া মানুষগুলো প্রায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে সবজির দাম উর্ধ্বমুখি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে ওইসব অসহায় ও গরীব খেটে খাওয়া মানুষ গুলো। করোনার কারনে অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ গুলো কাজ-কর্ম থেকে ছিটকে পড়েছে। যার ফলে সামর্থ্য অনুযায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পন্যের দাম দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মহীন মানুষেরা। এমনকি নাভিশ্বাস অবস্থা সাধারণ মানুষেরও। এতে তাদের নাকের পানি ও চোঁখের পানি একাকার হলেও এ বিষয়ে প্রশাসনের কোন নজরদারী নেই বললেই চলে।
শনিবার লামা উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির বাজার লাগামহীন। কাঁচা মরিচ ২৪০’টাকা, টমেটো ১২০টাকা, কচুর ছরা ৫০টাকা, পটল ৪০টাকা, পিয়াজ ৫০ টাকা, আলু ৩৫ থেকে ৪৫টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, বরবটি ৪০টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, ঢেড়শ ৪০ টাকা, শশা ৪০টাকা, পোটল ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৪০টাকা করে প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজিও বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েকমাস ধরে সবজি বাজারে এমন অবস্থা বিরাজ করছে।
অটো-ভ্যান চালক আবদুল আজিজ, টমটম চালক আজাদ, আবদুল হামিদ, সুমনসহ আরো অনেকে বলেন, সারাদিন পরিশ্রম করে ৩০০-৪০০ টাকা কামাই করা যায়। কিন্তু করোনার সময়তো এমনিতে কামাই কম হচ্ছে, তার উপর সবজির বাজার চড়া। একই কথা তুলে ধরেন রুপসীপাড়া ইউনিয়নের দিনমজুর একরামুল হক, সলিমুল্লাহ, মো. ইউনুছসহ আরো অনেকে। তারা বলেন, প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে সবজির দাম বেশি নিচ্ছে। তাই সবজির দাম নাগালের মধ্যে আনতে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অপরদিকে দিনমজুর জাহাঙ্গীর হোসেন, জুয়েল, জসিম বলেন, ‘ আমরা গরীব মানুষ, এতো দাম দিয়ে কি শাক-সবজী কিনে খাওয়া যায়? তার চেয়ে মাছ কিনলেই তো ভালো। উপজেলা শহরের কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাজমুল হোসেন নিপুল ও সবজি ব্যবসায়ী মো. মিরাজ বলেন, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ও উত্তর বঙ্গে বন্যার কারণে গুদামে সবজির সংকট রয়েছে। তাই সবজির বাজারে দামটা একটু বেশি।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজা রশীদ বলেন, ব্যবসায়ীরা সবজির দাম বেশি নিয়ে থাকলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।