মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া :

কক্সবাজারের মহেশখালীতে নিহত সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা ও কুতুবদিয়ার বাসিন্দা ইউসুফ উদ্দিনের পরিবারের মাঝে অনুদান প্রদান করেছে বন বিভাগ। বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরীর নেতৃত্বে বন বিভাগের কর্মকর্তারা আজ ১১ সেপ্টম্বর সকাল ১০ টার দিকে দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়াস্থ বাড়িতে গিয়ে ১০ লক্ষ টাকার চেক পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। শুক্রবার (১১সেপ্টম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের উত্তর মগডেইল গ্রামের নিহত কর্মকর্তা ইউসুফ উদ্দিনের বাড়িতে যান বনবিভাগের উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম। এর নেতৃত্ব দেন প্রধান বন সংরক্ষক মো.আমির হোসাইন চৌধুরী। নিহত ইউসুফ উদ্দিনের পিতা নিজাম উদ্দিনের হাতে তিনি ১০ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিয়েছেন। তারা সেখানে প্রায় আধা ঘন্টা সময় কাটান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন সংরক্ষক, চট্টগ্রাম অঞ্চলের আব্দুল আওয়াল সরকার, উপকূলীয় বনবিভাগ চট্টগ্রামের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস,এম গোলাম মাওলা,চট্টগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মোজাম্মেল, উপকূলীয় বন বিভাগ কক্সবাজারের সহকারী বন সংরক্ষক সাইফুল ইসলাম, উপকূলীয় বন বিভাগ কুতুবদিয়ার রেঞ্জ কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেনসহ মহেশখালীর রেঞ্জ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন জানান, বন দস্যুদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন মহেশখালীর সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা ইউসুফ উদ্দিন। আমরা আর্থিক সহায়তা হিসেবে বনবিভাগের পক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করেছি। সরকারের পক্ষ থেকেও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। সরকার ও বনবিভাগের পক্ষ থেকে ইউসুফের পরিবারের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে। আমরা বনবিভাগের উচ্চ পর্যায়ের টিম ইউসুফের বাড়িতে গিয়েছি। তার পরিবারের সাথে কথা হয়েছে।

প্রসঙ্গত গত ৩০ জুলাই মহেশখালী উপজেলার হোয়ানকে রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানের ইন্দনে বনদস্যুরা পিটিয়ে আহত করে মহেশখালী সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা ইউসুফ উদ্দিনকে। ৬ আগষ্ট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইউসুফ। বনবিভাগের জায়গা জবর দখল করে পানের বরজ করছিল চিহ্নিত বনদস্যুরা। ওইদিন তিনি পানের বরজ জায়গা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানের ইন্দনে হামলার শিকার হয়েছিলেন সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা ইউসুফ উদ্দিন।