জাহাঙ্গীর আলম শামস:
কক্সবাজার শহরে বেশ কিছুদিন ধরে নিষ্ক্রিয় থেকে আবারও তৎপর হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং। করোনাকালে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কিশোরদের মাঝে অপরাধ প্রবণতা বেড়েই চলেছে। স্কুলপড়ুয়া ছাত্রদের একটা অংশ পাড়া-মহল্লায় আড্ডা দিতে শুরু করেছে। চাঁদাবাজি, ইভটিজিংসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে পড়ার কারণে তাদেরকে গ্যাং হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

কক্সবাজার শহরের গোলদিঘীর পাড়, ডায়াবেটিস পয়েন্ট, মহিলা মাদ্রাসা সড়ক, বৌদ্ধ মন্দির সড়ক, বার্মিজ মার্কেট বিভিন্ন এলাকা দাবিয়ে বেড়াচ্ছে কিশোর গ্যাং।
তাদের একাধিক গ্রুপ শহরজুড়ে রাজত্ব গেড়ে বসেছে। সকাল, সন্ধ্যা এমনকি গভীর রাত জমায় আড্ডা। দলবেঁধে নাম্বারবিহীন মোটরসাইকেলে ছুঁ মারে এদিক সেদিক। তাদের কারণে ব্যবসায়ী, পরচারি থেকে শুরু করে সব শ্রেণির মানুষ বিরক্ত।
লালদিঘী পাড়ের এক ব্যাসায়ীর অভিযোগ, কিশোর গ্যাংয়ের কারণে তারা বিরক্ত। ঠিক মতো ব্যবসা করতে পারে না। শহরের মোড়ে মোড়ে শুধু তাদের আড্ডা। সুযোগ পেলেই চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে চিহ্নিত অপরাধীচক্র। আবার কেউ কেউ মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে।

বাহারছড়া বাজাররর এক পান দোকানদার জানালেন তার দুঃখের কথা।

তিনি জানান, উঠতি বয়সের কিছু ছেলের কারণে রাস্তায় হাঁটা চলা যায়না। তারা তুচ্ছ ঘটনায় মারামারি ও ঝগড়া ফ্যাসাদে জড়িয়ে পড়ে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায়শই বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে হাতাহতির ঘটনাও চোখে পড়ে। তরুণী ও নারীদের উত্ত্যক্ত করতে মোটরবাইক নিয়ে বেপরোয়া গতিতে ঘোরাঘুরি করে।

‘গ্যাং কালচার’ দমনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়াতে হবে বলে মত দিয়েছেন শহরের বাসিন্দারা।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের দায়িত্ব থাকা মাসুম খাঁন জানান, দীর্ঘ লকডাউনের কারণে কিশোর গ্যাং নিষ্ক্রিয় ছিল। বর্তমানে আবার মাথা ছাড়া দিয়ে ওঠছে।

তিনি জানান, মাঠ পর্যায়ে গোয়ান্দা নজরদারী করা হচ্ছে। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

অপরাধীদের দমনে জনসাধারণের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছেন মাসুম খান।