বিজয়া পুরকায়স্থ

ভুল করেই মানুষ অভিজ্ঞ হয় । ঠেকে শেখা যাকে বলে। বড়রাই ভুল করে করে রাখছে না তো ছোটরা তো ভুল করবেই। কিন্তু কথা হলো একটু সাবধান থাকলে ভুলটা একটু কম হয় এই আরকি।

কিন্তু ছোটরা কি করে বুঝবে কোনটা ভুল আর কোনটা ঠিক ? তখন বাড়ীর বড়রা ওদের সাহায্য করে। শিখিয়ে দেয় কোনটা করতে নেই ..কোন কাজটা ভাল।

এখন কথা হলো অল্পবয়সী কারা ? আমি ধরে নিচ্ছি স্কুলের ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস টুয়েলভ অব্দি ছেলেমেয়েদের অল্প বয়সী বলা হয়। পাঁচ বছর থেকে আঠেরো অব্দি। পাঁচের নীচে ওরা একদমই শিশু আর আঠারোর পর ওরা অ্যাডাল্ট বা পূর্ণ বয়স্ক।

এবার কী কী ভুল করতে নেই ব্যাপারটাতে বয়সটা নির্ভর করবে। কিছু বয়সে একা একা দুরে যেতে নেই…একটা বয়সের পর যেতে পারে। সেইভাবে বিভিন্ন বয়সীদের জন্য আমি সাধারণ কয়েকটা পয়েন্ট লিখে জানিয়ে দিচ্ছি।

অপরিচিত মানুষকে এড়িয়ে চলা উচিত।
পড়াশোনায় গাফিলতি করা উচিত না।
মা বাবার জোরে বা বন্ধুবান্ধবদের দেখে বা নিজের পছন্দের বাইরে কোনো স্ট্রিম নিয়ে পড়াশোনা করবে না।
মিথ্যে কথা বলে মা বাবা বা স্কুল কলেজকে বিভ্রান্ত করা উচিত না।
সময়টাকে একদম অবহেলা করবে না। সময় আর ফিরে আসে না।
বাজে কাজে লিপ্ত হবে না।
বন্ধু বাছাইয়ের সময় সতর্ক থাকবে।
বড়দের উপদেশের সম্মান করবে। অল্পবয়সে মনে হতে পারে বড়রা ভুল বলছে কিন্তু বড় হয়ে বুঝবে তুমিই ভুল বুঝেছিলে।
বাবার টাকায় পোদ্দারি করো না। নিজের পায়ে দাঁড়াতে না পারলে এই বাবাই একদিন তোমাকে কটু কথা শোনাবেন সেটা আমার থেকে লিখে নাও।
কারোর কোনো বাজে কাজকে প্রশ্রয় দেবে না। দরকার পড়লে মা বাবাকে তৎক্ষণাৎ জানাবে।
আঠারো বছরের নীচে কেউ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হবে না…সে যতই কেউ তোমায় ভালবাসার কথা বলুক না কেন।
সবধরণের নেশা থেকে দুরে থাকা উচিত।
বাড়ীতে বসে টিভি দেখে আর ভিডিও গেম , প্লে স্টেশন করে জীবনের এই সুন্দর বয়সটাকে নষ্ট করো না। খেলাধুলা কর, নাচ গান নাটক কর , জিম যাও, জুম্বা কর কিন্তু প্লিজ পদিপিসীর মতো বাড়ীতে বসে কুটকাচালি করো না।
পর্নোগ্রাফি, বাজে ভিডিও, বাজে জোকস, বাজে কথা থেকে শতহস্ত দুরে থাকো।
অহংকারী, বদমেজাজি হয়ো না। মা বাবা ছাড়া তোমার অহংকার আর বদমেজাজের স্বভাবকে কেউ পাত্তা দেবে না।