বার্তা পরিবেশক:

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন,মহামারী করোনা মোকাবেলায় সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতেই বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এই করোনাকালে বিএনপি নেতারা সাধ্যমত অসহায় কর্মহীন মানুষের পাশে দাড়িয়েছে। অথচ যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে তাদের জীবনযাপন এখন নিরাপদ নয়। সরকারের সর্বশেষ নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দায়ের হওয়া গায়েবী মামলায় নেতাকর্মীরা হাইকোর্টে জামিন নিতে আদালতে হাজির হলে তাদেরকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দিচ্ছে। সরকার তাদের ব্যর্থতা ঢাকতেই নেতাকর্মীদের গ্রেফতার আবারো চালু করেছে। সরকার কোনও দিক সামাল দিতে পারছে না শুধু বিরোধীমতের নেতাদের দমনে উঠে পড়ে লেগেছে। তিনি অবিলম্বে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীসহ গায়েবী মামলায় গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিংশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

আজ ৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর কাজীর দেউড়িস্থ নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ে থানা, ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময়কালে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের চিকিৎসা সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। করোনা সংক্রমণ দিন দিন বেড়ে মানুষ মৃত্যুর মুখে পড়লেও সরকার তা নিয়ে কোন প্রকার চিন্তিত না। আওয়ামী লীগ সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে জনগণকে আজ তার মাশুল দিতে হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামের যে সমস্ত বিএনপি নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের জন্য শোক প্রকাশ করছি। বিএনপির ৪২ তম প্রতিষ্টাবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগররীর আওতাধীন সাংগঠনিক ওয়ার্ড সমূহে কর্মসূচি পালন করা হবে। চসিক নির্বাচনে ওয়ার্ড় কাউন্সিলর প্রার্থী, ওয়ার্ড় ও থানা কমিটি এবং মহানগর নেতৃবৃন্দের সাথে সমন্নয় করে এসব কর্মসূচী পালন করার আহবান জানান তিনি।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, জোর করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টিকে থাকতে অবৈধ সরকারের জুলুম নির্যাতনের মাত্রা এখন ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। স্বাস্থ্য খাতে ব্যর্থ হলেও ভোট চুরির মতো জনগণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ ও ত্রাণ চুরিতে আওয়ামী লীগ পুরোপুরি সফল হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি আলহাজ এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, শামসুল আলম, হাজী মো. আলী, শফিকুর রহমান স্বপন, মাহবুবুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক শাহ আলম, এসকান্দর মির্জা, ইয়াছিন চৌধরী লিটন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, মশিউল আলম স্বপন, মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, থানা বিএনপির সভাপতিবৃন্দ মনজুর রহমান চৌধুরী, হাজী বাবুল হক, মোশাররফ হোসেন ডেপ্টি, মামনুর রশিদ হুমায়ুন, হানিফ সওদাগর, সরফরাজ কাদের চৌধুরী রাসেল,ডা. নুরুল আফসার, মো. সেকান্দর, আলহাজ¦ সালাউদ্দীন, আবদুল্লাহ আল হারুন, , সহ সম্পাদক সালাউদ্দীন কায়সার লাভু, ইদ্রিস আলী, আবু মুছা, হাসান লিটন, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক জেলি চৌধুরী, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ আলহাজ¦ জাকির হোসেন, জাহিদ হাসান, রোকন উদ্দীন মাহমুদ, জসিম উদ্দীন জিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, হাবিবুর রহমান, শাহাব উদ্দীন, মাঈনুদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, আবদুল কাদের জসিম, শরিফ উদ্দীন খান, নুর হোসেন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতিবৃন্দ মো. ইলিয়াস, আকতার খান, আবদুল্লাহ আল ছগির, এস এম মফিজ উল্লাহ, মনজুর আলম মঞ্জু, মো. বেলাল, হাজী মো. ইলিয়াস, ইলিয়াস চৌধুরী, জানে আলম জিকু, মো. আসলাম, কাজী শামসুল আলম, রফিক চৌধুরী, মো. সাইফুল, খাজা আলাউদ্দীন, জাহিদ মাস্টার, রাসেল পারভেজ সুজন, মো. সেকান্দর, খন্দকার নুরুল ইসলাম, আলী আব্বাস খান, এস এম ফরিদুল আলম, মো. শরীফ, মোশাররফ জামান, আবু মুছা বাবলু, ফয়েজ আহমদ, ইসমাইল বালী, ফারুক আহমদ, আজম উদ্দীন, মো. আশরাফ, মো. হারুন, শায়েস্তা উল্লাহ, এফএ সেলিম, সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ মামুন আলম, আবুল কালাম আবু, মাসুদুল কবির রানা, মো. ফিরোজ, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, হাসান ওসমান, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, ফরিদুল আলম, শফি উল্লাহ, একে আজাদ, নাসিম চৌধুরী, হাজী আবু ফয়েজ, এম এ হালিম বাবলু, হাজী এমরান, ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম, সাব্বির আহমদ, জাহিদ উল্লাহ রাশেদ, আলী হায়দার, আনোয়ার হোসেন আরজু, জিয়াউর রহমান জিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, সৈয়দ আবুল বশর, জসিম মিয়া, আবু সাঈদ হারুন, সাদেকুর রহমান রিপন, মো. হাসান, হাজী জাহেদ, মুজিবুর রহমান, মঞ্জুরুল কাদের, শফি মেম্বার, মো. হাসান, কামরুল ইসলাম, আবু মহসীন চৌধুরী, মো. হারুন, লিয়াকত আলী, জেসমিনা খানম, ছকিনা খাতুন, কামরুন নাহার লিজা, খালেদা বোরহান, মনোয়ারা বেগম, রুখসানা বেগম মাধু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।