মুহাম্মদ মনজুর আলম. চকরিয়া:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক বয়োবৃদ্ধ বীর মুক্তিযোদ্ধার দীর্ঘদিনের ভোগ দখলীয় জমি জবর দখল চেষ্ঠার অভিযোগ উঠেছে স্থাণীয় কতিপয় ভূমিদস্যু চক্রের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের উত্তর হারবাং বৃন্দাবনখিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে লিখিত অভিযোগে ভূক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দু রহমান দাবী করেন, উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের উত্তর হারবাং বৃন্দাবনখিল এলাকায় বিভাগের মালিকানাধিন আমার শাশুড়ের দীর্ঘদিনের ভোগ দখলীয় ৪০ শতক জমি ছিল। পরবর্তীতে উক্ত জমিতে ঝোপ জঙ্গল কেটে আবাদ করার পর আমি পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছিলাম। কিন্তু একই এলাকার আলী হোসন ও তার স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা যথাক্রমে রিজুয়ারা বেগম, মো. কালু, দেলোয়ার হোসেন ও সরুজ বেগম দূর্লোভের বশিভূত হয়ে আমাদের ভোগ দখলীয় জমি জোর পূর্বক জবর দখলে নেয়ার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন। অতচ ওই জমিতে তাদের কোন স্বত্ব দখল নাই এবং অতীতেও ছিলনা।

ভূক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দু রহমান তার লিখিত অভিযোগে আরও দাবী করেন, অভিযোক্ত আলী হোসন একজন নিরাশ্রয় ব্যক্তি ছিলেন। তিনি আমার শাশুড়কে অনেক কাকুতি মিনতি করে একটু মাথা গোঁজার ঠাই হিসেবে আশ্রয়স্থল চাইলে আমার শাশুড় তার অসহায়ত্ব বিবেচনা করে নিজ দখলীয় কিছু জমি দিয়ে আলী হোসনকে একটি বাড়ি নির্মান করে দিয়েছিলেন। কিন্তু আমার শাশুড় মারা যাওয়ার পর আশ্রয় পাওয়া ওই আলী হোসন তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বর্তমানে আমার শাশুড়ের অবশিষ্ট জমি জবর দখলের পায়তারা শুরু করে। এ ব্যাপারে আমরা ওই জবর দখলকারীদের বাঁধা দেয়ার চেষ্ঠা করলে তারা আমাদেরকে মারধর করে বসতবাড়ি জবর দখল ও ভোগ দখলীয় ভিটে থেকে উচ্ছেদের হুমকি প্রদান করে। ফলে আমি একজন বয়োবৃদ্ধ বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এসব জবর দখলকারীদের কাছ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে এ আবেদন করেন বলে জানান তিনি।