সোয়েব সাঈদ, রামু
রামুতে নানা আয়োজনে পালিত হলো স্বেচ্ছাসেবামূলক সংগঠন গ্লোবাল ইংলিশ লার্ণিং সেন্টারের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগে চারা বিতরণ ও বৃক্ষরোপন কর্মসূচি, দিনমজুর ও পরিবহণ চালক-শ্রমিকদের খাবার বিতরণ, কেক কাটা ও সীমিত পরিসরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ইয়ুথ অর্গানাইজেশন ফর সোশ্যাল এ্যাকশন (ইউসা) এর সহযোগিতায় রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রামু সরকারি কলেজে বিভিন্ন প্রজাতির চারা বিতরণ ও বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করা হয়। বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উেেদ্বাধন করেন, রামু সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবদুল হক। এসময় রামু সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মাহমুদুল হাসান তৌহিদ, অধ্যাপক ইজত উল্লাহ, প্রভাষক মোহাম্মদ হোছাইন, সাংবাদিক সোয়েব সাঈদসহ গ্লোবাল ইংলিশ লার্ণিং সেন্টারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বেলা ১২ টায় রামু চৌমুহনী স্টেশন, বাইপাস চত্বর এলাকায় দিনমজুর ও পরিবহণ চালক-শ্রমিকদের খাবার বিতরণ করা হয়।
বেলা ১ টায় রামু স্বপ্নপুরী সড়কস্থ তানি শপিং সেন্টারের ৪র্থ তলায় গ্লোবাল ইংলিশ লার্ণিং সেন্টার ক্যাম্পাসে ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জিইএলসি এর উপদেষ্টা সাংবাদিক ও ছড়াকার সোয়েব সাঈদ।
গ্লোবাল ইংলিশ লার্ণিং সেন্টারের সভাপতি মো. সাহেদুল ইসলাম রায়হানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সাধারণ সম্পাদক ও ট্রেইনার মো. ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে সীমিত আকারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, প্রতিষ্ঠানের সহ সাধারণ সম্পাদক মুসমাদ মাহাদী, মো. আলা উদ্দিন কিশোর, তৌফিকুল ইসলাম, রবি, নয়ন, নাঈম উদ্দিন, রিমা সুলতানা রিমু, সালমা আকতার, রেশমী আকতার, কানিজ ফাতেমা রেশমি, জেসিকা আজাদ প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ফাহিমা ইসলাম আরাবী। পরে অতিথি ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কেক কেটে গ্লোবাল ইংলিশ লার্ণিং সেন্টারের ৩য় বর্ষপূর্তি উদযাপন করেন।
গ্লোবাল ইংলিশ লার্ণিং সেন্টারের সভাপতি মো. সাহেদুল ইসলাম রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, ইংরেজি শিক্ষার প্রসারে স্বেচ্ছাসেবামূলক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ইংলিশ লার্ণিং সেন্টার (জিইএলসি) ভুমিকা রাখছে। গ্লোবালাইজেশনের যুগে ইংরেজী শিক্ষার জন্য ব্যতিক্রমী কর্মকান্ডে ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। চলমান করোনা মহামারীতে এ প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগে এবং ইয়ুথ অর্গানাইজেশন ফর সোশ্যাল এ্যাকশন (ইউসা) এর সহযোগিতায় শতাধিক পরিবারকে ত্রাণ ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
তাঁরা আরো জানান, রামুর মেধাবী-তরুণ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ইংরেজী শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য গ্লোবাল ইংলিশ লার্ণিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়। দীর্ঘ ৩ বছরের যাত্রায় ৪০০ জন শিক্ষার্থী ইংরেজীতে পারদর্শী হয়েছে। যারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুলে তাদের দক্ষতা দেখিয়ে যাচ্ছে এবং বিশ্বের সর্ববৃহৎ শরণার্থী শিবির কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদেশীদের সাথে দোভাষী হিসেবে কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে ১৫ জন শিক্ষার্থী ইউনাইটেড নেশন এর উইমেন এ্যাফেয়ার্স এর গার্লস এ্যাম্বাসেডর হিসেবে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করছে। এছাড়া অনেকে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছে।
প্রতিষ্ঠার প্রথম বছরেই রামু উপজেলার ৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কক্সবাজার জেলায় প্রথম বারের মতো ইংলিশ অলিম্পিয়াড আয়োজন করে এ প্রতিষ্ঠান। সিভি রাইটিং ও ক্যারিয়ার প্লান, লিডারশীপ, কমিউনিকেশন স্কীল, এটিচিউড বিল্ডআপ সহ বিভিন্ন জীবন দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণ এবং গরিব অসহায় মানুষের মাঝে ইফতারী ও ঈদবস্ত্র বিতরণ, বৃক্ষরোপণসহ নানা সামাজিক কর্মকান্ড চালু রেখেছে এ প্রতিষ্ঠানটি।