ওসমান আবির :
কক্সবাজারের টেকনাফ পৌর শহরের ব্যস্তময় প্রধান সড়কটি খানাখন্দে ভরে উঠেছে।দীর্ঘ ১ যুগ যাবত সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন পথচারীসহ পৌর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। হালকা বৃষ্টি হলেই সড়কে জমে থাকে কাঁদা-পানি। নেই পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা।ফলে পায়ে হেঁটে বা যানবাহনে পথ পাড়ি দিতে সাধারণ মানুষকে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কিন্তু শহরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কিংবা পৌর কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পৌর এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল মাজেদ অভিযোগ করে বলেন, এই সড়ক দিয়ে শহরবাসী ও বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ যাতায়াত করেন।অথচ সেটির অবস্থা করুণ দশা। পৌর কর্তৃপক্ষ সড়ক ও জনপথ বিভাগের ওপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে দায় এড়িয়ে চলে।এদিকে সড়ক মেরামতে সড়ক ও জনপথ বিভাগেরও নেই কোন সদয় দৃষ্টি।সওজ কতৃপক্ষ মাঝেমাঝে জোড়াতালি দিয়ে কাজের দায় এড়াতে চাইলেও কদিন যেতেই না যেতে আবার একই অবস্থার সৃষ্টি হয়।তাই, এই সড়কের দীর্ঘস্থায়ী সমাধান চাই ভুক্তভোগী পৌরবাসী ও পথচারীরা।
পৌর শহরের নাইট্যং পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল আমিন বলেন, সড়কের বেহাল দশার কারণে আমরা চরমভাবে দুর্ভোগে পড়েছি। বৈষয়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।পৌর শহরের নাইট্যং পাড়া থেকে শাপলা চত্ত্বর পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা বেহাল। এ সড়ক দিয়ে এখন আর চলাচলের উপযোগী নেই। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের খানাখন্দে পানি ও কাঁদা মাটিতে ভরে যায়।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র হাজী মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, সড়কটির মালিক সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তাই এর রক্ষণাবেক্ষণ তারাই করেন। সঠিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে সড়কটির মেরামত না করার কারণে এটা সবসময় বেহাল দশায় থাকে। আমি সড়ক ও জনপথ বিভাগকে একাধিকবার তাগাদা দিয়েছি।এখনও দিচ্ছি সড়কটি সঠিকভাবে মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য।
কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, সড়কটির পাশে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকার কারণে পানি জমে এটা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় এবং চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠে।সড়কটি পুনরায় মেরামত করে শহরবাসীর চলাচলের উপযোগী করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।খুব শিগ্রই সড়কটির কাজ শুরু হবে।চট্রগ্রামের বিভাগীয় পর্যায় থেকে বড় আকারের একটা টেন্ডারের মাধ্যমে সড়কটি মেরামত করা হবে।এই টেন্ডারের মাধ্যমে টেকনাফের হোয়াইক্যং থেকে পৌরসভার শাপলা চত্ত্বর পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৫ কিলোমিটারের সড়কটি সংস্কার করা হবে।আগামী মাসেই সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।