রাজু দাশ , চকরিয়া :
শ্রীশ্রী লোকনাথ বাবার ২৯০ তম আবির্ভাব দিবসে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বাংলাদেশ সনাতনী সেবক সংঘ কাকারা ইউনিয়নে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় উপজেলা কাকারা ইউনিয়ন কর্মকার পাড়া লোকনাথমন্দিরে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছ। সর্ব সম্মতিতে টুন্টু দাশ কে সভাপতি মোহন কর সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দুই বছরের জন্য গঠন করা হয়েছে। উক্ত সম্মেলনে সুধাংশু দাশের সভাপতিত্বে রুবেল কান্তি দাশের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ লোকনাথ ব্রহ্মচারী সেবক সংঘ কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সনাতনী সেবক সংঘ কক্সবাজার জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী ও চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ।

সন্মেলনে মহান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সনাতনী সেবক সংঘ কক্সবাজার সহ সভাপতি বিধান কান্তি রুদ্র, প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সনাতনী সেবক সংঘ কক্সবাজার জেলা শাখা সাধারণ সম্পাদক ও চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সুধীর চন্দ্র দাশ, বিশেষ অতিথি ছিলেন, সনাতনী সেবক সংঘের চকরিয়া উপজেলা পৃষ্ঠপোষক ও চকরিয়া মা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের ম্যানেজার বিজন কুমার বিশ্বাস, বিশেষ অতিথি ছিলেন, চকরিয়া উপজেলা সনাতনী সেবক সংঘের সভাপতি ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দপ্তর সম্পাদক কৈলাশ দে, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ বৈষ্ণব, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সনাতনী সেবক সংঘ কাকারা ইউনিয়ন সভাপতি টুন্টু দাশ।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, অদ্বৈত অচ্যুত মিশন চকরিয়া পৌরসভার সভাপতি রাজীব দাশ,বাংলাদেশ সনাতনী সেবক সংঘের লামা উপজেলার সভাপতি এডঃ রাজু ধর, চকরিয়া সি-প্লাস প্রতিনিধি সাংবাদিক ইলিয়াস আরমান,বাংলাদেশ সনাতনী সেবক সংঘ চকরিয়া উপজেলার সহ সভাপতি গোপাল দে,অর্থ সম্পাদক নরোত্তম দাশ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী নন্দ দাস,ডুলাহাজারা ইউনিয়ন সহ সভাপতি পলাশ সুশীল, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন সভাপতি তুষার সুশীল, সাধারণ সম্পাদক মিঠুন দাশ,কাকারা কর পাড়া মন্দির উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মিন্টু রাম কর,কাকারা গীতা স্কুলের শিক্ষক প্রদীপ রুদ্র, শান্তা সুশীল, পুষ্পিতা রুদ্র সহ উপজেলা সনাতনী সেবক সংঘের বিভিন্ন ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় প্রধান অতিথি তপন কান্তি দাশ বক্তব্যে বলেন, চকরিয়ায় উপজেলার প্রতিটি মঠ মন্দিরে বাংলাদেশ সনাতনী সেবক সংঘের তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার জেলায় গীতা শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, ব্লাড ও ঔষধ বিতরন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সমাজ উন্নয়ন ও সংস্কারসাধনে মাঠ পর্যায়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে এই সংগঠনটি। আজ সারা বাংলাদেশে একটি মানবতার সেবায় সংগঠন হিসাবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। পূজা উদযাপন পরিষদ এই সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দের সার্বিকভাবে সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরো বলেন, সামনে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা।
এবার পূজা উদযাপন একটু ভিন্ন রুপে হবে
কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস নামে পরিচিত – সাম্প্রতিক সময়ে একটি ভয়াবহ নাম। সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে দুরত্ব বজায় রেখে মাক্স পরতে হবে। আপনারা প্রতিটি মন্ডপে পাহারা রাখবেন,সকলে দুর্গাপূজায় আনন্দ করবেন স্বাস্থ্য বিধি মেনে এটা মাথা রাখতে হবে বলে জানান।