অনলাইন ডেস্ক :

নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় নাদিম (৪৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে শনিবার রাত ১১ টা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১ জনে দাঁড়ালো।

এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমামসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ইমামের নাম মো. আব্দুল মালেক (৬০)। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৭ জন।

এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাহারউদ্দিন (৫৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়। তার আগে মারা যান রাসেল (৩৪), মো. নয়ন (২৭) ও কাঞ্চন হাওলাদার (৫৩) নামের আরও তিনজন।

মৃত অন্যরা হলেন- রিফাত (১৮), মোস্তফা কামাল (৩৪), জুবায়ের (১৮), সাব্বির (২১), কুদ্দুস ব্যাপরী (৭২), হুমায়ুন কবির (৭০), ইব্রাহিম (৪৩), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮), জুনায়েদ (১৭), জামাল (৪০), জুয়েল (৭), জয়নাল আবেদিন (৪০) ও মাইনুদ্দিন (১২)।

নিহতদের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, তাদের শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছিল। ১৭ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। তাদের অনেকের অবস্থাই সংকটাপন্ন। এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৫০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

ডা. সামন্ত লাল সেন সে সময় জানান, এ পর্যন্ত ৩৭ মুসল্লিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হ‌য়ে‌ছে। তা‌দের সবারই ডিপ বার্ন রয়ে‌ছে। ত‌বে শতাং‌শের হি‌সে‌বে কোন রোগীর কতটুকু বার্ন হ‌য়ে‌ছে তা তাৎক্ষ‌ণিক বলা যা‌চ্ছে না। ত‌বে প্রাথ‌মিকভা‌বে বলা যায়, কেউ শঙ্কামুক্ত নয়।

এদিকে নারায়ণগঞ্জের ওই মসজিদের যে বিস্ফোরণ হয়েছে তা এসি বিস্ফোরণ নাকি গ্যাস লিকেজ থেকে হয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা। ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা জানান, তারা ঘটনার পর মসজিদে গ্যাস ডিটেক্টর দিয়ে পরিমাপ করেছেন। মসজিদের ভেতরে প্রায় ৭০ ভাগ মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির সদস্যরা বিস্ফোরণের কারণ নির্ণয় করবেন।