অনলাইন ডেস্ক:
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও ) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর উপর চুরির উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আরও তদন্ত করবে র‌্যাব।

শুক্রবার সন্ধ্যায় র‌্যাব-১৩ এর সদর দফতরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস।

ইউএনওকে হত্যাচেষ্টা মামলার সন্দেহভাজন প্রধান আসামি আসাদুল ইসলাম (৩৫) ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও ঘোড়াঘাটের ওসমানপুরের সাগরপুর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে, চকবামুনিয়া বিশ্বনাথপুর এলাকার মৃত ফারাজ উদ্দিনের ছেলে নবীরুল ইসলাম (৩৫) ও একই এলাকার খোকার ছেলে সান্টু চন্দ্র দাস (২৮)।
এ ঘটনায় জড়িত বলে এরই মধ্যে তারা দায় স্বীকার করেছে। তারা জিজ্ঞাসবাদে জানিয়েছে চুরির জন্য তারা ভেন্টিলেটর দিয়ে ঘরে ঢোকেন। তবে ওয়াহিদা জেগে গিয়ে চুরিতে বাধা দেওয়ায় তার উপর হামলা চালায়। তবে গ্রেফতাররা চুরির উদ্দেশ্যেই ঘরে ঢুকেছিল বললেও ঘটনার অধিকতর তদন্ত চলবে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

রেজা আহমেদ ফেরদৌস বলেন, ঘটনার নেপথ্যে আরও কোনো কারণ আছে কি-না তা জানতে সময় লাগবে। অভিযুক্তদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) জাহাঙ্গীরসহ আরও তিনজনকে আটক করা হলেও তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।

এর আগে, বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন ওয়াহিদা খানমের জ্ঞান ফিরেছে। তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে।

শুক্রবার ন্যাশনাল ইন্সটিউট অব নিউরোসাইন্স বিভাগের নিউরোট্রমা বিভাগের প্রধান ডা. জাহিদ হাসান সাংবাদিকদের জানান, ওয়াহিদা খানমের সিটি স্ক্যান ফলাফল খুব ভালো, এক্সিলেন্ট, অপারেশন সাকসেসফুল, তবে এখনও শঙ্কামুক্ত নন তিনি।