অনলাইন ডেস্ক :

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের উপর হামলার ঘটনায় এক নৈশপ্রহরীসহ আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পৃথক পৃথকভাবে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে যা জানালো কর্তৃপক্ষ
আটককৃতদের মধ্যে আজ শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টায় সন্দেহভাজন প্রধান আসামি আসাদুল হককে (৩২) হাকিমপুর উপজেলার হিলি সীমান্তের চুড়িপট্রি এলাকা থেকে আটক করে র‌্যাব। তার বাড়ি উপজেলার ৪ নম্বর ঘোড়াঘাট ইউপি’র সাগরপুর গ্রামে। বাবার নাম আমজাদ হোসেন।

এর আগে ঘোড়াঘাট থেকে জাহাঙ্গীর (৩৬) ও মাসুদ রানা (৩৪) নামে দু’জনকে আটক করা হয়। জাহাঙ্গীর ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক। আর মাসুদ উপজেলার সিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা। জাহাঙ্গীর কাছিগাড়ি গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। আর মাসুদ দক্ষিণ দেবিপুর গ্রামের আদু মিয়ার ছেলে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ইউএনও’র বাসভবনের নৈশ্য প্রহরী পলাশকে (৪০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে ডিবি পুলিশ। ইউএনওর উপর হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত আটক করা হয়েছে চার জনকে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম গণমাধ্যমে আসাদুল ও জাহাঙ্গীরকে আটক করার কথা স্বীকার করলেও এখন বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি। তবে র‌্যাব-১৩ এর একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

ওয়াহিদা খানমের উপর হামলা ঘটনায় তার ভাই ফরিদ শেখ ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেছেন। তবে.মামলায় কারো নাম উল্লেখ নেই। এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইউএনওর বাসভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হামলায় অংশ নেয় দু’জন। একজন ছিল মুখোশ পরা। অন্যজন পিপিই পরে ছিলেন।

বুধবার দিবাগত রাত প্রায় ৩ টার দিকে সরকারি বাসভবনে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রংপুরে পাঠানো হয়। ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে রংপুর ডক্টরস ক্লিনিকে আইসিইউতে ও তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওয়াহিদা খানমকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়। গতকাল রাতে তার আড়াই ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচার হয়।

এ ঘটনায় ওয়াহিদা খানমের বড় ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন।
– বিডি জার্নাল