বিগত ০১/০৯/২০২০ইং তারিখ মঙ্গলবার দৈনিক আজকের দেশ-বিদেশ ও গণসংযোগ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘‘হাইকোর্টের স্থিতাবস্থায় এগুতে পারছেনা গণপূর্তের উন্নয়ন কাজ’’ শীর্ষক সংবাদের প্রতি আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারীর দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। উক্ত সংবাদ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বাস্তবতার পরিপন্থী ও অসৎ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। উক্ত বানোয়াটি সংবাদে মহামান্য হাইকোর্টের প্রতি বিষোদগার ও অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়েছে। প্রকৃত বিষয় হল, ঝিলংজা মৌজার আর.এস ১৭/৯১২৪ নম্বর দাগের ৫.৪০ একর জমি ২১২/১৯৪৫-৪৬ নম্বর বন্দোবস্ত মোকদ্দমার হুকুমমতে ফিরোজ আহমদের স্বত্ব দখলীয় জমি ছিল। তার নামে জমাবন্দী ১২২৪/২৯২ নম্বর খতিয়ান রেকর্ড লিপি আছে। উক্ত ফিরোজ আহমদ বিগত ০৬/০৯/১৯৫৪ ইং তারিখে হাজী গোলাম হোছন ও ছৈয়দ হোছন ও ছৈয়দ নুরকে এবং বিগত ১৬/০২/১৯৫৫ ইং তারিখে ৪৮২ নম্বর কবলামূলে কবির আহমদ কে বিক্রয় করেন। হাজী গোলাম হোছন ও ছৈয়দ নুর বিগত ০৭/০৫/১৯৫৬ ইং তারিখে ১৪৫৭ নম্বর কবলামূলে কবির আহমদ, নুর আহমদ ও আহমদুর রহমানকে বিক্রি করেন। উক্ত কবির আহমদ হইতে বিগত ১৩/০১/১৯৫৮ ইং তারিখের ১৩৬ নম্বর দলিলমূলে প্রাপ্ত হয়ে ছবির আহমদ ও ছৈয়দ আহমদ পরবর্তীতে বিগত ১২/০৫/১৯৫৮ ইং তারিখের ১৫৪১ নম্বর কবলামূলে আবদুর রহিম ও আলমাছ খাতুন বরাবরে হস্তান্তর করেন। উক্ত আবদুর রহিম ও আলমাছ খাতুন তাহাদের সাকুল্য স্বত্বাংশীয় জমি বিগত ১৪/০৫/১৯৫৮ ইং তারিখের রেজিঃযুক্ত ১৬৬৫ নম্বর কবলা দলিলমূলে অলি আহমদের পুত্র অছিয়র রহমান ও গোলাম রহমানকে বিক্রি করেন ও দখল দেন। উক্ত অছিয়র রহমান ও গোলাম রহমান লোকান্তরে তাদের স্বত্ব দখলীয় জমি তাদের ওয়ারিশ গিয়াস উদ্দিন ও ফরিদুল আলম গং প্রাপ্ত হইয়া কতেকাংশে বসতবাড়ী উপলক্ষে ও বাদ বাকী অংশে ধান্য চাষাবাদে ভোগ-দখলে থাকেন। তাদের পূর্ববর্তী নামে এম.এর.আর.৮১৩ নম্বর খতিয়ান রেকর্ড লিপি আছে। অছিয়র রহমান ও গোলাম রহমানের ওয়ারিশগণ নিতান্ত ও গরীব অসহায় লোক হন। তাদের ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত জমির জন্য বি.এস খতিয়ান ভুলভাবে রেকর্ড হওয়ায় নিম্ন স্বাক্ষরকারী গিয়াস উদ্দিন ও অন্যান্য ওয়ারিশগণ কক্সবাজার যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে উচ্চারণের আবেদনে অপর-১৪৭/২০১১ ইং নম্বর মামলা দায়ের করেন। আর এতে স্থানীয় প্রভাবশালী ও ভূমি খেকো চক্র তাদের উপর ক্ষুদ্ধ হয়। ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট স্থানীয় প্রশাসন ও গণপূর্ত বিভাগকে ব্যবহার করে হীন স্বার্থ হাসিলের চেষ্টায় লিপ্ত হয়। প্রতিবাদী গিয়াস উদ্দিন প্রভাবশালীদের চক্ষুশূলে পরিণত হন। দূর্দান্ত বিবাদীরা জোরপূর্বক বাদী গিয়াস উদ্দিনের পৈতৃক জায়গা জমি দখল করার চেষ্টা করলে বিজ্ঞ আদালত বাদীর আবেদন শুনানীক্রমে ও দলিলপত্র পর্যালোচনা করে বিগত ১০/১১/২০১১ ইং তারিখ নিষেধজ্ঞাদেশ প্রচার করেন। সংবাদে উল্লেখিত জমি কোন সময়ে অধিগ্রহণ করা হয়নি কিংবা অছিয়র রহমানকে কোন নোটিশ দেয়া হয়নি বা তিনি ক্ষতিপূরণের কোন টাকা গ্রহণ করেন নি। কথিত স্মারকে বর্ণিত এল.এ ৩৯/১৯৬৩-১৯৬৪ ইং নম্বর মামলার নথিতে ফেরবী উদ্দেশ্যে ঘষাঁমাজা ও কাটা ছেঁড়া করা হয়। গণপূর্ত বিভাগের আবাসিক প্লট বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বরাদ্দ নেয়া হোটেল ব্যবসায়ী ও গণপূর্ত বিভাগের কতেক অসাধু কর্মচারী পরস্পর যোগসাজসে গিয়াস উদ্দিনের জমি জোর পূর্বক দখল করে আত্মসাৎ করার পাঁয়তারায় লিপ্ত হলে অসহায় গিয়াস উদ্দিন আদালতে নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করেন। এ ‘‘অপরাধে’’ প্রভাবশালী মহল তার বাড়ী ঘর ও দোকান পাট ক্ষতিগ্রস্থ করে। গিয়াস উদ্দিন ও তার পরিবারবর্গের প্রতি অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা গোপনে আদালতে দরখাস্ত দিয়া বাদীর অনুপস্থিতিতে একতরফা আদেশ হাসিল করে ও বিগত ১০/১১/২০১১ ইং তারিখের নিষেধাজ্ঞাদেশ রহিত হয়। পরবর্তীতে প্রভাবশালী ও কালো টাকাধারী দূর্বৃত্তদের সংঘবদ্ধ আক্রমণে দিশেহারা নিম্নে স্বাক্ষরকারী গিয়াস উদ্দিন ও তার পরিবার কক্সবাজার যুগ্ন জেলা জজ ১ম আদালতের অপর ১৪৭/২০১১ ইং নম্বর মামলায় পুনরায় নিষেধাজ্ঞাদেশ প্রার্থনা করি। উক্ত মামলার বিগত ১৫/০৪/২০১৮ ইং তারিখের ৬২ নম্বর আদেশের বিরুদ্ধে আইনী প্রতিকার পাওয়ার জন্য নিম্ন স্বাক্ষরকারী বহু কষ্টে ঢাকায় মানবিক আইনজীবীর শরণাপন্ন হন। অতঃপর মহামান্য হাইকোর্ট সিভিল রিভিশন- ১৬১৮/২০১৮ইং নম্বর মামলা দায়ের করতে সক্ষম হন। মহামান্য আদালত গিয়াস উদ্দিনের দলিলপত্র ও স্বত্বের ডকুমেন্ট পর্যালোচনা করে ঙহ সবৎরঃ শুনানীক্রমে গণপূর্ত বিভাগসহ বিবাদীগণের বিরুদ্ধে বিগত ২৮/০১/২০১৯ইং তারিখে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ প্রচার করেন। দূর্দান্ত বিবাদীগণ মহামান্য হাইকোর্টের পবিত্র আদেশ অবজ্ঞা করে গিয়াস উদ্দিনকে উচ্ছেদ করার ও তার রুটি রুজির পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় নিরীহ, দরিদ্র, অশিক্ষিত, অসহায় বাদীগণকে পুনরায় হয়রানী ও ক্ষতিগ্রস্থ করার ফেরাবী উদ্দেশ্যে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করানো হয়েছে। আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির আহমদ পরোক্ষভাবে স্বীকার করেন যে, মহামান্য হাইকোর্টের স্থিতাবস্থার আদেশ বহাল থাকাবস্থায় বিগত ২০১৯ইং সালের ১৪ই নভেম্বর বেআইনীভাবে গিয়াস উদ্দিনকে তার পুরুষানুক্রমে ভোগ-দখলীয় জমি থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্ট করে এবং তার ঘরবাড়ী ভেঙ্গে দেয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয় জনগণের বাধার মুখে প্রভাবশালীরা আপাতত: সরে গেলেও যে কোন সময়ে সংগঠিত হয়ে আবার আক্রমণ করতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। কালো টাকাধারী প্রভাবশালী ও দূর্নীতিবাজ চক্র কোন আইন কানুন মানেনা।এমনকি মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে নিরীহ অসহায় গিয়াস উদ্দিনের পৈতৃক জায়গা জমি কেড়ে নেয়ার জন্য বিগত ২৬/১২/২০১৯ইং তারিখে পুনরায় হামলা চালায় ও ব্যপক ভাংচুর করে। বিগত ০১/০১/২০২০ইং তারিখে জাতীয় পত্রিকা দৈনিক আমার সময়, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ইং তারিখ দৈনিক কক্সবাজার, গণসংযোগ, আমাদের কক্সবাজার, দৈনিক আজকের দেশবিদেশ, কক্সবাজার-৭১, কক্সবাজার প্রতিদিন, দৈনন্দিন, বিগত ৩১/১২/২০১৯ইং তারিখে দৈনিক আজকের দেশ-বিদেশ, দৈনিক কক্সবাজার, সকালের কক্সবাজার পত্রিকায় এতদাসংক্রান্ত বস্তনিষ্ট সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত প্রভাবশালী মহল নিজেদের অপকর্ম আড়াল করে নিম্ন স্বাক্ষরকারী গিয়াস উদ্দিনসহ অপারপর শরীকদারগণকে যুগযুগ ধরে বসবাসরত পৈতৃক জায়গা জমি থেকে বেআইনীভাবে ও জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে উক্ত জায়গা জমি আত্মসাৎ করার কৌশলের অংশ হিসাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করেছে মর্মে সুষ্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়। উক্তরূপ মিথ্যাচার ও মহামান্য হাইকোর্টের প্রতি অবমাননাকর প্রচারণা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করা গেল।

গিয়াস উদ্দিন
পিতা-মৃত অছিয়র রহমান,
সাকিন-উত্তর বাহারছড়া, কক্সবাজার পৌরসভা,
উপজেলা ও জেলা-কক্সবাজার।